অগ্নিশিখায় ভাসমান আর্তনাদের বৃত্তান্ত, ১৯৬৬ সালের লন্ডনের মহা অগ্নিকাণ্ড
রাইজ়িং বেঙ্গল নিউজ় ব্যুরো: আজকের দিনে ২০২১ সমগ্র পৃথিবীতে যেমন আতঙ্কের আরেক বছর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিক তেমনই ১৬৬৬ সালটা লন্ডনের জন্য আতঙ্ক ও দুর্দশার বছর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে রোগের প্রকোপ কারণ ছিল না, অগ্নিদানবের কবলে ঝলসে যাওয়া ছিল লন্ডন বিপর্যয়ের কারণ।
মানুষ আজ আগুনকে উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত পদ্ধতির সহায়তায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গেছে। ফলে প্রকান্ড অগ্নিদানবকেও আজ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর হয়েছে। কিন্তু, এমনও এক সময় ছিল, যখন মানুষ আগুনের ব্যবহার শিখলেও, ছোট ফুল্কির মতো আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখলেও, দ্রুত কোনো অগ্নিদানবকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।
এরকমই এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল লন্ডন। সালটা ছিল ১৬৬৬, তারিখ সেপ্টেম্বরের ২, দিন রবিবার। সেদিন যেন আকাশ ছুঁতে চেয়েছিল আগুনের ঊর্ধ্বমুখী লেলিহান শিখা। ঘটনাস্থল ছিল, এক বেকারি, লন্ডনের ব্রিজের কাছে পুডিং লেন তথা ফিস ইয়ার্ড। এই বেকারির মালিক ছিল থমাস ফ্যারিনার। একই সাথে গ্রীষ্মকালীন সময়, কয়েক সপ্তাহধরে বৃষ্টির অনুপস্থিতি, ফলত কাঠের বাড়িগুলো শুষ্ক থেকে যাওয়া এবং পূর্বমুখী বাতাস আগুনের ছড়িয়ে যাওয়াকে আরও ত্বরান্বিত করা হয়েছিল।
এই অগ্নিকান্ড গ্রেট ফায়ার অফ লন্ডন বা লন্ডনের মহা অগ্নিকাণ্ড নামেও পরিচিত। ১৬৬৬-এর আগেও ১৬৩২ সালে অগ্নিকান্ডও দেখা গিয়েছিল। এর পর থেকে কাঠ দিয়ে বাড়ি বানানোয় সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, সস্তার জিনিস কেউ ছাড়তে চায়নি। এদিকে, শুধুমাত্র লন্ডনের মধ্যবর্তী এলাকায় পাথরের তৈরি ঘরবাড়ি ছিল, বাকি অংশ পুরোই কাঠের। ফল ১৬৬৬-এর লন্ডনের মহা অগ্নিকাণ্ড।
সেই সময় আজকের মতো আধুনিক পুলিশকর্মী বা দমকল কর্মী ছিল না। গির্জার ঘণ্টা বাজিয়ে সবাইকে সতর্ক করে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু হত। বিপদে উদ্ধারকার্য থেকে শুরু করে সারা রাত ‘ওয়াচ ম্যান’ বা ‘বেল ম্যান’ -এর মতো সারা রাত পাহারা দেওয়া, কিংবা সব রকমের আপতকালীন কাজে হাজির হওয়া ছিল তাদের কাজ। এদের বলা হত ‘মিশিয়াল’ বা ‘Trained Bands’।
আগুন বেকারিতে থেকে দ্রুত শহরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তৎকালীন মেয়র স্যার থমাস ব্লাডওয়ার্থের দূরদর্শিতার অভাব ও সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিলম্বের কারণে। রবিবার গড়িয়ে সোমবারে পা দিতেই অচিরেই সেই অগ্নিঝড় শহরের প্রাণকেন্দ্রকে গ্রাস করতে পৌঁছে গেছিল। আতঙ্কে অনেক মানুষ টেমস নদীর মাধ্যমে শহর থেকে বেরনোর চেষ্টা করেছিল।
অনেকেই এটা ‘দুর্ঘটনা’ হিসাবে মানতে অস্বীকার করেছিল। কোনরূপ প্রমাণ না পেলেও সন্দেহের তীর ছুঁটে গেছিল ফ্রেঞ্চ এবং ডাচেদের দিকে। সেই সময়ে ডাচদের সাথে ইংল্যান্ডের চলতে থাকা যুদ্ধই ছিল এই ধরণের গুজব জন্মের কারণ।
এদিকে, আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে, রাজা দ্বিতীয় চার্লসের নির্দেশে আগুন ছড়ানোর পথে বাধা সৃষ্টি করার জন্য ‘ফায়ার ব্রেক’ হিসেবে সমস্ত ঘরবাড়িকে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। ৪ঠা সেপ্টেম্বর সেন্ট পল ক্যাথেড্রাল সহ রিভার ফ্লীটের তির অব্দি পৌঁছে গেছিল। তবে, রিভার ফ্লীট পেরিয়ে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসের দরবার অব্দি পৌঁছানোর আগে অগ্নিঝড়কে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে গেছিল। সেদিন তিনি নিজে এসে মিশিয়ালদের সাথে যোগ দেন এবং জল সরবরাহ করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে লন্ডন টাওয়ারের গ্যারিসনে মজুত সমস্ত গোলাবারুদের সাহায্যে বিস্ফোরণ করে অগ্নিত্রাস নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। তবে পূর্বমুখী বাতাস বওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়াও অগ্নিঝড়ের বিস্তারে ভাঁটার কাজ করেছিল।
হাজারে হাজারে মানুষ গৃহহীন হয়ে গেছিল। কারণ প্রায় সমস্ত বিল্ডিং, ১৩, ২০০ হাজারের মতো জনবসতি, ৮৭ টি প্যারিস চার্চ, জেল, বাজার, ৫৭ টি হলঘর পুড়ে ছারখার হয়ে গেছিল। প্রায় ৭০, ০০০ থেকে ৮০, ০০০-এর মতো মানুষ গৃহহীন হয়ে গেছিলেন। সরকারি তরফে মৃতের সংখ্যা ৮-১০ ঘোষণা করা হলেও, বাতাসে ভেসে আসা কটু দুর্গন্ধের কারণে জন এভেলিন তা মানতে অস্বীকার করেছিলেন। ঠিক এই সময়েই অন্ধকারে প্রাপ্ত আলোর এক আশার মতো কয়েকজন পরিত্রাতার আবির্ভাব ঘটেছিল। স্বইচ্ছায় দায়িত্ব পালন করে তারা অজানা গলিতে হারিয়ে যেত।
ডাচদের ওপর সন্দেহ করে, প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে স্যার রবার্ট হোমসের নেতৃত্বে ডাচ অধিবাসীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল, ১৫০ টি ডাচ বাহিনী জাহাজ এবং ডাচদের West-Terschelling শহর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১৬৬২ সালের চুক্তি অনুসারে ফ্রেঞ্চরা ডাচদের মিত্রপক্ষ হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল। রাজা লুই-এর আদেশে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ত্রানসামগ্রী রওনা করা হয়েছিল এবং তিনি এও নির্দেশ দেন যে লন্ডনে ঘটিত অগ্নিকান্ডের জন্য ফ্রান্সে উৎসব পালন করা যাবে না।
১৬৭৫ সালে স্যার ক্রিস্টোফার রেনের নেতৃত্বে অগ্নিগ্রাসে যাওয়া লন্ডনকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পুরানো ভবনগুলোকে গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৫২ টি চার্চ সহ সমগ্র লন্ডনকে পুনর্গঠন করার মাধ্যমে শেষে ১৭১১ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল, যেটা আমাদের কাছে আজকের লন্ডন হিসেবে পরিচিত।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.