বীরকন্যা প্রীতিলতা: প্রথম নারী বিপ্লবী যিনি আত্মাহুতি দিয়েছেন

Known Unknown
pritilata waddedar first woman revolutionary to sacrifice herself
রাইজিং বেঙ্গল ঢাকা ব্যুরো: দেশকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করবার স্বপ্ন নিয়ে শহীদ হয়েছিলেন প্রীতিলতা। মাস্টারদা সূর্যসেনের ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, তৎকালীন চট্টগ্রাম শাখার একমাত্র নারী সেনানি ছিলেন তিনি।
মাস্টারদার বিপ্লবী দলের নারী সৈনিক আরো ছিলেন, সেনানি শুধু একজনই। মাত্র ২১ বছর বয়সে সেই জীবনপ্রদীপ অকালে নিভে গিয়েছিল, কিন্তু তার শিখা আজো অমলিন।

পুরো নাম প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। মা আদর করে ডাকতেন রানী বলে। জন্ম ১৯১১ সালের ৫ মে, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে। এখানে জন্ম হয়েছে অনেক বিপ্লবীর। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই গ্রাম ছিল বিপ্লবীদের অন্যতম প্রধান ঘাঁটি।

প্রীতিলতার বাবার নাম জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল অফিসের প্রধান কেরানি। মা প্রতিভাদেবী ছিলেন গৃহিণী। জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার ও প্রতিভাদেবীর ছয় সন্তান। মধুসূদন, প্রীতিলতা, কনকলতা, শান্তিলতা, আশালতা ও সন্তোষ। প্রীতিলতার পড়াশোনার হাতেখড়ি বাবা-মায়ের কাছে।
প্রীতিলতার স্মৃতিশক্তি ছিল বেশ প্রখর। যেজন্য জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার মেয়েকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি না করিয়ে ১৯১৮ সালে ডা. খাস্তগীর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সরাসরি তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করান।
সেটি ওই সময়ের অন্যতম নারী শিক্ষালয় ছিল। এই নামকরা স্কুলে প্রতিটি শ্রেণীতে তিনি প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ছিলেন। অষ্টম শ্রেণীতে প্রীতিলতা বৃত্তি পান।
তখন ১৯২৪ সাল। ওই বছরের খুব সম্ভবত জুলাই-আগস্ট মাসের কোনো একদিন। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর ভ্যাপসা গরম পড়েছে। আকাশেও মেঘ জমেছে। যেকোনো সময় বৃষ্টি হতে পারে। ভাই-বোনরা সবাই পড়ছে। শুধু থেমে আছেন মধুসূদন। রানীর বড়দা। বড়দার পড়া শুনতে না পেয়ে রানী তাঁর দিকে তাকালেন।
মধুসূদন বোনের মুখের দিক তাকিয়ে হঠাৎ বলে উঠলেন, ‘আজ রেল শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন দেয়ার জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা ব্রিটিশ কর্মচারীরা ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিল। ওই গাড়িতে দুজন পুলিশও ছিল। কিন্তু হঠাৎ দিনের বেলায় বড় রাস্তার ধারে চারজন লোক পিস্তল হাতে সামনে দাঁড়িয়ে গাড়ি থামালেন।
তাঁরা গাড়ি থেকে সবাইকে নামিয়ে দিয়ে টাকাসহ গাড়ি নিয়ে চম্পট দিলেন। পরে জানা গেল ওই লোকগুলো ডাকাত নয়, স্বদেশী। স্বদেশী আন্দোলনের কর্মী। দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁরা কাজ করছেন। তাঁরা মৃত্যুকে পরোয়া করেন না।’ এই দুঃসাহসী ডাকাতির কথা সেদিন রানীকে দারুণভাবে আলোড়িত করে।
এক মাস পর, একদিন সেই স্বদেশী আন্দোলনের কর্মীদের আস্তানায় পুলিশ হামলা চালায়। উভয় দলের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ। দীর্ঘ সময় ধরে চলে বন্দুকযুদ্ধ। অবশেষে শোনা গেল সেই স্বদেশী দলের দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আহত দুজনের একজন হলো উমাতারা ইংরেজি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সূর্যসেন।
অন্যজন পোস্ট অফিসের কেরানি অম্বিকা চক্রবর্তী। গরুর গাড়িতে করে রহমতগঞ্জের রাস্তা দিয়ে জেএম সেন হলের পাশ দিয়ে গ্রেফতারকৃত স্বদেশী দুজনকে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন রানী তাঁর এক সহপাঠিনীর বাসার জানালার ধারে বসে তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখছিলেন।
সহপাঠিনীর যে ভাইটি উমাতারা স্কুলে পড়ে, সে বলে উঠল, ‘ওই তো আমাদের মাস্টারমশাই, চাদর গায়ে বসে আছেন। উনি আমাদের অঙ্কের মাস্টার।’ এই কথা শুনে সবাই অবাক হলেন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁদেরকে লাথি, চড় মারছে। ক্লান্ত অবস্থায় দুজনই গাড়ির মধ্যে বারবার ঢুলে পড়ছেন। এই দৃশ্য দেখে রানী খুব কষ্ট পেলেন।
তাঁদের জন্য খুব মায়া হলো। কিন্তু কিছুই করার নেই তাঁর। বাসায় গিয়ে রানী মা-বাবাকে বললেন, ‘চল আমরা মাস্টারমশাইকে দেখে আসি।’ বাবা সরকারি চাকরি করার কারণে রানীর অনুরোধ রাখতে পারলেন না। একবুক কষ্ট নিয়ে নিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না রানীর।
কিছুদিন পর শোনা গেল, কলকাতা থেকে বিখ্যাত ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত সূর্যসেন ও অম্বিকা চক্রবর্তীর পক্ষ সমর্থন করে চট্টগ্রাম এসেছেন। এ মামলা দেখার জন্য কোর্টে অনেক লোকের ভিড় জমল। কিছু দিন পর তাঁরা দুজন বেকসুর খালাস পেলেন।
রানীর স্কুলের শিক্ষিকা উষাদি একদিন মধ্যাহ্ন বিরতির সময় গল্প করার জন্য অন্য মেয়েদের সঙ্গে রানীকে ডেকে নিয়ে গেলেন। তাঁদেরকে দেশ-বিদেশের অনেক গল্প শুনালেন। ওইদিন উষাদি তাঁকে একখানা বই ‘ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাই’ দিয়ে বললেন, ‘এটা ভালো করে পড়ো। এটা পড়া শেষ হলে আরো বই পড়তে দেব।’
উষাদি ছিলেন স্বদেশীদের গোপন সহযোগী। বাড়িতে ফিরে তিনি ওই বইখানি পড়ে শেষ করলেন। তাঁর মামাতো ভাই পূর্ণেন্দু দস্তিদার ও উষাদির সংস্পর্শে এসে রানী রাজনীতির অনেক কিছু বুঝতে শিখলেন।
যথারীতি ডা. খাস্তগীর স্কুল থেকে প্রীতিলতা ১৯২৭ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাস করার পর ভর্তি হন ঢাকার ইডেন কলেজে। থাকেন কলেজের ছাত্রীনিবাসে।
এ সময় প্রীতিলতা বিপ্লবী লীলা নাগের সংস্পর্শে আসেন। তখন বিপ্লবী লীলা নাগের নেতৃত্বে ‘দীপালী সংঘ’ সংগঠনটি পরিচালিত হতো। দীপালী সংঘ ছিল ‘শ্রীসংঘ’ -এর মহিলা শাখা সংগঠন। ‘শ্রীসংঘ’ ছিল তখনকার ঢাকার একটি বিপ্লবী দল।
অনেক দিন পর লীলা নাগের সঙ্গে প্রীতিলতার দীপালী সংঘ নিয়ে কথা হলো। কথাবার্তার মাধ্যমে লীলা নাগ বুঝে নিলেন প্রীতিলতাকে দিয়ে দেশের কাজ হবে। তাই লীলা নাগ তাঁকে দীপালী সংঘের সদস্য হওয়ার জন্য একটি ফর্ম দিয়ে বললেন, ‘তুমি এর উদ্দেশ্য ও আদর্শের সাথে একমত পোষণ করলে বাড়ি থেকে এসে ফর্মটি পূরণ করে দিও।’
বাড়ি আসার পরের দিন তিনি ওই ফর্মটি পূর্ণেন্দু দস্তিদারকে দেখিয়ে বললেন, দাদা, আমি এই সংঘের সঙ্গে কাজ করব। তোমরা তো আর আমাকে তোমাদের দলে নেবে না, তাই এখানে যুক্ত হয়ে আমি দেশের জন্য কাজ করব। পূর্ণেন্দু দস্তিদার ওই ফর্মটি প্রীতিলতার কাছ থেকে নিয়ে গেলেন এবং বললেন, দলনেতাকে দেখিয়ে তোমাকে এটি ফেরত দেব।
১৯২৯ সাল। তখন সূর্যসেন চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক। পূর্ণেন্দু দস্তিদার প্রীতিলতার কাছ থেকে ফর্মটি নেয়ার পরের দিন বিকালবেলা বিপ্লবীদের গোপন বৈঠকে উপস্থিত হলেন। বৈঠক শেষে জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ে তিনি মাস্টারদা সূর্যসেনকে ওই ফর্মটি দেখালেন এবং প্রীতিলতার মনের কথাগুলো বললেন।
মাস্টারদা সূর্যসেন সবকিছু শুনে পূর্ণেন্দু দস্তিদারকে বললেন, আজ থেকে আমরা প্রীতিলতাকে আমাদের দলের সদস্য করে নিলাম। কিন্তু এই কথা আপাতত আমরা তিনজন ছাড়া অন্য কাউকে জানানো যাবে না। প্রীতিলতাকে একদিন আমার কাছে নিয়ে এসো।
আইএ পরীক্ষা শেষ করে প্রীতিলতা চট্টগ্রামে চলে আসেন। সূর্যসেনের সঙ্গে প্রীতিলতার ভবিষ্যত্ কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়। কিছুদিন পর প্রীতিলতার আইএ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তিনি মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। মাসিক ২০ টাকা বৃত্তি পাবেন তিনি। ঠিক হলো কলকাতার বেথুন কলেজে পড়াশোনা করবেন। দর্শন নিয়ে বি, এ ক্লাসে ভর্তি হলেন প্রীতিলতা। থাকেন ছাত্রীনিবাসে।
এখানে মাস্টারদার নির্দেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করলেন তিনি। গড়ে তুললেন এক বিপ্লবী চক্র। এই বিপ্লবী চক্রে অনেক মেয়ে সদস্য যোগ দিলেন। তাঁদের মূল কাজই হলো অর্থ সংগ্রহ। নারী চক্রের মেয়েদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে প্রীতিলতা চট্টগ্রামে পাঠাতে লাগলেন। কলকাতার এক গোপন কারখানায় তখন তৈরি হয় বোমার খোল। মাস্টারদার নির্দেশ অনুযায়ী সেই বোমার খোল সংগ্রহ করেন প্রীতিলতা।
১৯২৯ সালে পূজার ছুটিতে কল্পনা দত্ত, সরোজিনি পাল, নলিনী পাল, কুমুদিনীকে নিয়ে প্রীতিলতা চট্টগ্রাম আসেন। বোমার খোলগুলো পৌঁছে দেন বিপ্লবীদের হাতে। মাস্টারদার নির্দেশ অনুযায়ী প্রীতিলতা এর পর প্রকাশ্য বিপ্লবী কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন। অনেক দায়িত্বপূর্ণ কাজের ভারও তাঁকে নিতে হয়। কলকাতায় যে বিপ্লবী চক্র গঠন করা হয়েছে, তাঁদের সব ধরনের প্রশিক্ষণও প্রীতিলতাকে দিতে হতো।
বিএ শেষ বর্ষে পড়ার সময় চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার দখল, জালালাবাদ সংঘর্ষ ও সেই যুদ্ধে তাঁর আত্মীয় শহীদ হওয়ায় লেখাপড়ায় তিনি অমনোযোগী হয়ে ওঠেন এবং রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসির পর থেকে তিনি বিএ পরীক্ষা না দেয়ার জন্য মনস্থির করেন। কিন্তু তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুবান্ধবদের আত্মীয় স্বজনদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বিএ পরীক্ষা দিয়ে ডিসটিংশনে পাস করলেন তিনি।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মহানায়ক সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম দখল হলো। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামে ইংরেজ শাসন অচল হয়ে গেল। টেলিগ্রাফ-টেলিফোন বিকল, সরকারি অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, রিজার্ভ পুলিশ ছত্রভঙ্গ ও রেললাইন উপড়ে ফেলা হলো। স্বদেশী বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম শহর দখল করে ফেলেছে। এ সময় প্রীতিলতা কলকাতায়। চট্টগ্রামে আসার জন্য ব্যাকুল। সশস্ত্র বিপ্লবে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তখন পর্যন্ত মাস্টারদার অনুমতি মেলেনি।
বিএ পরীক্ষা শেষে মাস্টারদার নির্দেশে স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে আসেন। ১৯৩২ সালে বিএ পাস করার পর চট্টগ্রাম অপর্ণাচরণ ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় বিপ্লবী কাজে আরো বেশি সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দিলেন মাস্টারদা সূর্যসেন।
১৯৩২ সালের মে মাসে প্রীতিলতার জন্মস্থান ধলঘাটে সাবিত্রী দেবীর বাড়িতে মাস্টারদা তাঁর সহযোদ্ধাদের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেন। এই বৈঠক চলার সময় ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে বিপ্লবীদের বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে প্রাণ দেন নির্মল সেন ও অপূর্ব সেন। সূর্যসেন প্রীতিলতাকে নিয়ে বাড়ির পাশে ডোবার পানিতে ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকেন। সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর মাস্টারদা বলেন, ‘প্রীতি, তুমি বাড়ি ফিরে গিয়ে স্কুলের কাজে যোগ দেবে, তাহলে গত রাতের ঘটনায় কেউ তোমাকে সন্দেহ করবে না।’ সাবিত্রী দেবীর বাড়িটি পুলিশ পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার পর ব্রিটিশ সরকার প্রীতিলতাকে সন্দেহ করা শুরু করে। মাস্টারদার নির্দেশে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। অন্য একটি বিপ্লবী গ্রুপ ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে ব্যর্থ হয়।
যার কারণে পরবর্তী পর্যায়ে মাস্টারদা প্রীতিলতাকে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে বলেন। এই জন্য কাট্টলি সমুদ্রসৈকতে বিপ্লবী দলকে মাস্টারদা সামরিক প্রশিক্ষণ দেন। ১৯৩২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কাট্টলী গ্রামে এক গোপন বৈঠকে মাস্টারদার নির্দেশে প্রীতিলতা ও কল্পনা দত্ত ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের পরিকল্পনা করার জন্য একটি গ্রামের উদ্দেশ্যে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তন করে পুরুষের বেশে রওনা দেন। কিন্তু পথে পাহাড়তলীতে কল্পনা দত্ত ধরা পড়েন। প্রীতিলতা নিরাপদে নির্দিষ্ট গ্রামে এসে পৌঁছেন। এখানেই প্রীতিলতার নেতৃত্বে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য কাট্টলীর সাগরতীরে প্রীতিলতা ও তাঁর সঙ্গীদের অস্ত্র প্রশিক্ষন শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শেষে বীরকন্যা প্রীতিলতার নেতৃত্বে বিপ্লবীরা ১৯৩২ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর রাতে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে সফল হন।
আক্রমণ শেষে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় প্রীতিলতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ অবস্থায় ধরা পড়ার আগে সঙ্গে রাখা সায়ানাইড বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। কারণ ধরা পড়লে বিপ্লবীদের অনেক গোপন তথ্য ব্রিটিশ পুলিশের মারের মুখে ফাঁস হয়ে যেতে পারে। এভাবে দেশের জন্য আত্মাহুতি দেন তিনি। প্রীতিলতা চেয়েছিলেন তার আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত হয়ে নারীরা এগিয়ে আসুক, মাতৃভূমির মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষিত হোক। ব্যর্থ হয়নি তার আকাঙ্ক্ষা, তার আত্মদান। তার উত্তরসূরিরা এগিয়ে এসেছেন নতুনতর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। অমর শহীদ প্রীতিলতার রক্তধারার সঙ্গে মিশে গেছে শত শত নারী শহীদের রক্ত। প্রীতিলতার প্রাসঙ্গিকতা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। ব্রিটিশের শোষণ থেকে মুক্তির মতো আজো আমরা লড়াই করে চলেছি শ্রেণী ও নারী-পুরুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে। নিত্য সংগ্রাম করে চলেছি নারীর সমানাধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য। জনগণের শোষণ মুক্তির সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলেছে নারীমুক্তির সংগ্রাম।
শত শত শহীদের আত্মদানের মহীয়ান মুক্তি সংগ্রামের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী আমরা। আমাদের জাতীয় মুক্তি ও নারীমুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে প্রথম নারী শহীদ বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চির উজ্জ্বল ও অনুসরণীয় এক নাম।
আজ ৫ মে এই বিপ্লবী বীর প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্মবার্ষিকী।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.