শক্তিকুমারের পত্নী লাভ
কাহিনীটি আছে দণ্ডীর লেখা "দশকুমারচরিত" নামে সংস্কৃত উপাখ্যান গ্রন্থে। দণ্ডীকে অনেকে খ্রিস্টিয় অষ্টম শতাব্দীর লোক বলে মনে করেন। উপাখ্যানটিতে তৎকালীন ভারতের সমাজচিত্র ধরা পড়েছে। যেমন, এক, যৌবনেই সে সময় ছেলে-মেয়েদের বিয়ে হতো। দুই, খাবার ছিল সস্তা। এ কাহিনীর নায়ক শক্তিকুমারের বয়স তখন আঠারো। দ্রাবিড়দেশে কাঞ্চীনগরের যুবক শক্তিকুমার। ব্যবসায়ীর ছেলে। বয়স আঠারো। বিয়ে করবেন। পাত্রী চাই। শক্তিকুমারের ধারণা, যাদের বৌ নেই আর যাদের বৌ সুবিধের নয়, তাদের কপালে অশেষ দু: খ। অন্যরা বৌ এনে দিলে তা মনের মতো নাও হতে পারে। তাই শক্তিকুমার নিজে গণক সেজে উপযুক্ত বৌ খুঁজতে বের হলেন। সঙ্গে নিলেন কাপড়ে বেঁধে কেজি দেড়েক শালি ধান। গণক ঠাকুরকে দেখে মানুষজন তাঁকে সমাদর করে ঘরে নিয়ে যেতো এবং মেয়েদের লক্ষণ বিচার করাতো। আর বিবাহযোগ্যা কন্যা দেখলেই শক্তিকুমার তাকে ওই শালি ধান দিয়ে রকমারি সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে বলতেন। কিন্তু কেউই তাতে রাজি হচ্ছিল না। উল্টে এই প্রস্তাব শুনে শক্তিকুমারকেই উপহাস করতো তারা।
নানা জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে শক্তিকুমার একদিন হাজির হলেন কাবেরী নদীর দক্ষিণ তীরে শিবিদেশে। সেখানে এক গরীব ঘরের অনাথা কন্যার লক্ষণ বিচারের জন্য হাজির করলেন তার ধাত্রী মা। মেয়েটির নাম---গোমিনী। মাঝারি গড়ন। গায়ের চামড়া মসৃণ। আঙুলের ভেতরটা লাল। হাতের তালুতে যব, মাছ, কলসি প্রভৃতি মঙ্গলচিহ্ন। ছোট্ট অথচ গভীর নাভিমণ্ডল এবং তা কিছুটি নিচু। পেটে তিনটি স্পষ্ট রেখা। গোটা বুক জুড়ে স্তনযুগল, তার নিচের অংশ বড়ো এবং বৃন্ত উঁচু। নখ মণির মতো চকচকে। আঙুলগুলি সোজা ও তামাটে রঙের, ডগার অংশ সরু। কণ্ঠদেশ শাঁখের মতো গোলাকার। মুখমণ্ডল পদ্মের মতো। ঠোঁটের মাঝের অংশটা গোলাকার। সাদা দাঁত। ধনুকের মতো বাঁকা ভ্রূযুগল। আধফোটা তিল ফুলের মতো নাক। গাঢ় নীল আয়ত দুটি চোখ। আধখানা চাঁদের মতো কপাল। মাথায় গোঁড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ঘন নীল লম্বা কোঁকড়ানো চুল। সব মিলে এককথায় শক্তিকুমারের চোখে এই কন্যা সর্বসুলক্ষণা।
গোমিনীকে দেখেই পছন্দ হয়ে গেল শক্তিকুমারের। এ কন্যাকে কিছুতেই হাতছাড়া করতে চান না তিনি, পাছে সারাজীবন আফশোষ করতে হয়। শক্তিকুমার জিজ্ঞেস করলেন গোমিনীকে, তাঁর সঙ্গে আনা দেড় কেজি ধান দিয়ে উত্তম ভোজনের ব্যবস্থা করতে পারবে কি না। গোমিনী ইঙ্গিতে তার ধাত্রী মাকে ওই ধানগুলি নিতে বললে। ধাত্রী মা শক্তিকুমারের কাছ থেকে শালি ধানের পোঁটলাটি নিয়ে তাকে পা ধোওয়ার জল দিলে এবং দরজার কাছে একটি নিকোনো জায়গায় বসালে। ওদিকে ধানগুলি থেকে চাল বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো গোমিনী। প্রথমে পা দিয়ে ধানগুলিকে কিছুক্ষণ মাড়ালো। তারপর রোদে শুকোতে দিয়ে বার বার নাড়তে লাগলো। শেষে মুষল দিয়ে পিটিয়ে ধান থেকে চাল বের করলো। তুষগুলি আলাদা করে রাখলো। এরপর তুষগুলি ধাত্রী মায়ের হাতে দিয়ে সেগুলি স্যাকরার দোকানে বেচে দিয়ে বললো। আর বেচে যে কড়ি পাবে, তা দিয়ে মাটির হাঁড়ি, কাঠ আর দুটি সরা আনতে বললো।
এদিকে গোমিনী চালগুলিকে অর্জুন কাঠের উদুখলে রেখে লোহার বেড়ি পরানো খদির কাঠের মুষল দিয়ে পিঠোতে লাগলো। এরপর কুলো দিয়ে ঝেড়ে চাল থেকে কুঁড়ো আলাদা করলো। তারপর চালগুলিকে ভালোভাবে জলে ধুয়ে নিলো। এরপর চালের পাঁচগুণ গরম জলে সেগুলি ফোটালো। তৈরি হলো সুসিদ্ধ ভাত। এবার গোমিনী উনুন নিভিয়ে হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দিয়ে ভাতের মাড় গেলে ফেললো। এরপর আধপোড়া কাঠগুলিতে জল ছিটিয়ে দিলে। তৈরি হলো পোড়া কাঠের আঙার। এবার গোমিনী সেই আঙারগুলি ধাত্রী মাকে দিয়ে বেচতে পাঠালে। আর বলে দিলে, আঙার বেচা কড়ি দিয়ে শাক, ঘি, দৈ, তেল, আমলকি ও তেঁতুল কিনে আনতে। সেগুলি এলে গোমিনী দু'তিনটি তরকারি রাঁধলো।
এরপর গোমিনী শক্তিকুমারকে ধাত্রী মারফৎ স্নান করতে বললে। সঙ্গে দিলে তেল ও বাঁটা আমলকি। আমলকি এখানে সাবানের ভূমিকায় ছিল। সেগুলি দিয়ে স্নান সেরে এলেন শক্তিকুমার। এরপর একটি পরিস্কার মোছা জায়গায় খেতে বসলেন শক্তিকুমার। উঠোনের কলাগাছ থেকে পাতা কেটে পেতে দেওয়া হলো তাঁর সামনে। প্রথমে পরিবেশন করা হলো ভাতের জল। তা পান করে পথের ক্লান্তি দূর হলো শক্তিকুমারের। এরপর দু'হাতা ভাত আর তার সঙ্গে তরকারি। তারপর দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা, দৈ, ঘোল ও আমানি (ভাতের টক জল) দিয়ে সব ভাতটুকু খেয়ে পরিতৃপ্ত হলেন শক্তিকুমার। সব শেষে পদ্মফুলের সুগন্ধি মেশানো ঠাণ্ডা জল দেওয়া হলো মাটির সরায়। জলপান করে তৃষ্ণা মিটে গেল শক্তিকুমারের। এরপর গোমিনী তাঁকে দিলে হাত ধোওয়ার জল।
শক্তিকুমার হাত-মুখ ধুতে উঠে যেতেই ধাত্রী এঁটো জায়গাটা গোবর দিয়ে নিকিয়ে তারপর মুছে দিলে। শক্তিকুমার উত্তরীয় গায়ে দিয়ে সেখানে শুয়ে কিছুক্ষণ ঘুমোলেন। এরপর শক্তিকুমার গোমিনীকে বিয়ে করে নিয়ে গেলেন। ভালোই কাটছিল দু'জনের। কিন্তু কিছুদিন পরেই ঘটলো অঘটন। এক গণিকার পাল্লায় পড়ে গোমিনীর প্রতি অবহেলা করতে লাগলেন শক্তিকুমার। কিন্তু গোমিনীর তাতে কোনো হেলদোল ছিল না। গণিকার সঙ্গে প্রিয় সখির মতো ব্যবহার করতে লাগলো গোমিনী। স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের সেবা-যত্ন দিয়ে তুষ্ট করলেন গোমিনী। শেষে ভুল ভাঙলো শক্তিকুমারের। গোমিনীকেই প্রাণেশ্বরী করলেন শক্তিকুমার। সংসারে আবার বসলো হাসির হাট।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.