পৌষ পার্বনেই ইচ্ছামৃত্যু বরণ করেন শরশয্যাশায়ী পিতামহ ভীষ্ম
বাঙলা, বা বাংলা যে বানান লিখি না কেন, পৌষ আমাদের ডাক দেয় কখনো পিকনিকে, কখনো ভ্রমণে আবার কখনো মেলায়। বাঙালির কাছে পৌষ মাস হলো "লক্ষ্মী মাস।" পৌষ সংক্রান্তিতে হয় পৌষ পার্বণ। এটি শস্য উৎসব। সূর্যের দুটি গতি আছে---উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণ। মূলত মাঘ থেকে আষাঢ় হলো উত্তরায়ণ এবং শ্রাবণ থেকে পৌষ হচ্ছে দক্ষিণায়ণ। ইংরেজি বছরের ৪ ঠা জানুয়ারি দিন ছোট এবং রাত বড়ো। সূর্যের উত্তরায়ণ গতি শুরু হলে, তখন থেকেই দিন বড়ো এবং রাত ছোট হতে থাকে। এছাড়া সূর্য ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে বলে পৌষমাসের শেষ দিনটি "মকর সংক্রান্তি" নামেও পরিচিত। সূর্যের এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করাকেই বলে "সংক্রান্তি।" তাই ১২ টি রাশি অনুযায়ী ১২ টি সংক্রান্তি আছে। মকর সংক্রান্তি হচ্ছে একদিকে, নতুন শস্যের উৎসব এবং অন্যদিকে এটি উত্তরায়ণের শুরু।
এই মকর সংক্রান্তি তিথিতেই ইচ্ছামৃত্যু বরণ করে নেন শরশয্যায় শায়িত মহাভারতের ভীষ্ম। তাই বলা হয়, উত্তরায়ণে মৃত্যু হলে মানুষের মুক্তি ঘটে এবং দক্ষিণায়ণে মৃত্যু হলে ফের জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে হয়। আবার কথিত আছে, এদিনেই শেষ হয় দেবাসুর সংগ্রাম। অসুরের বধ করে তাদের কাটা মুণ্ডুগুলিকে মন্দার পর্বতে পুঁতে দেন বিষ্ণু। তাই এদিনটিকে অশুভ সময়ের শেষ সময় ধরা হয়। এছাড়াও বলা হয়, এদিন সূর্য নিজের পুত্র মকর রাশির অধিপতি শনির বাড়িতে এক মাসের জন্য ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাই এই দিনটিকে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের একটি বিশেষ দিন হিসেবেও ধরা হয়। এদিন বাস্তুদেবতা ও পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় তিল পিঠে। তাই এটি তিল সংক্রান্তি নামেও পরিচিত। আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয়েছে তিল পিঠে খাওয়ার প্রচলন। সময়টা যেহেতু শীতকাল, সেহেতু এ সময় দরকার শরীর গরম রাখা। তাই জ্বলন্ত উনুনের ধারে বসে তৈরি হয় নতুন চালের পিঠে।
এর ফলে শরীর যেমন গরম হয়, তেমনি গরম খাবার খেলে আরাম বোধ হয় কনকনে শীতের রাতে। তাই শীতে হরেক রকম পিঠেপুলির আয়োজন হয় বাঙালির ঘরে। তিল পিঠে, আশকে পিঠে, সরু চিকলি, পাটি সাপটা প্রভৃতি পিঠে তৈরি হতে থাকে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে। পৌষ সংক্রান্তিতে পৌষ পার্বণের একটি প্রচলিত প্রথা হলো "চাঁউরি-বাঁউরি।" কোথাও কোথাও একে "আউনি-বাউনি"-ও বলা হয়। হেমন্তে চাষির ঘরে ঢোকে আমন ধান। তার আগে যে "মুঠলক্ষ্মী" আনা হয়েছিল, সেই খড়ের আঁটিটা নদী বা পুকুরে স্নান করিয়ে আনা হয় এবং তারপর তার খড়গুলি ঘরের চারদিকে বিভিন্ন জিনিসপত্রে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর মূলে রয়েছে লক্ষ্মীকে ঘরে বেঁধে রাখার প্রয়াস।
একটি চালের হাঁড়ির গলায় কয়েক গাছি বাঁউরি খড় দিয়ে মালার মতো পরিয়ে দেওয়া হয়। এই হাঁড়িকে বলা হয় "বাঁউরি বাঁধা হাঁড়ি।" বাড়ির সব চাল শেষ হয়ে গেলে এই শেষ সম্বল চাল রান্না হয়। এটি শেষ হবার আগেই গৃহস্থকে খাবার জোগাড় করতে হয়। পরের দিন ভোরে নদী বা পুকুরে অবগাহন স্নান সেরে ঘটি ভর্তি জল এনে ছিটিয়ে চাঁউরি-বাঁউরির গায়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তারপর খড়গুলি একটি একটি করে তুলে নিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় কাছাকাছি নদী বা পুকুরে।
বিভিন্ন জায়গায় পৌষ পার্বণের বিভিন্ন নাম প্রচলিত আছে, যেমন---
১) থাইল্যাণ্ডে: সংক্রান্,
২) মায়ানমারে: থিং ইয়ান,
৩) কম্বোডিয়ায়: মহাসংক্রান্,
৪) লাওসে: পি মা লাও,
৫) পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, জম্মুতে: লহরী,
৬) কর্ণাটকে: ইল্লু বিল্লা,
৭) মহারাষ্ট্রে: তিলগুল,
৮) গুজরাটে: উত্তরায়ণ,
৯) তামিলনাড়ুতে: পোঙ্গল,
১০) বিহার, ঝাড়খণ্ডে: খিচড়ি পর্ব,
১১) অসমে: ভোগালি বিহু।
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমকে ঘিরে আয়োজিত হয় গঙ্গাসাগর মেলা। প্রবাদ আছে, ---
"সব তীর্থ বার বার।
গঙ্গাসাগর একবার। ।"
অর্থাৎ, গঙ্গাসাগরে একবার পুণ্যস্নান করলেই মুক্তি ঘটে। গঙ্গাসাগর ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের আরেকটি বিখ্যাত মেলা হলো, বীরভূমের অজয় নদের তীরে জয়দেব-কেঁন্দুলির মেলা। গীতগোবিন্দের কবি জয়দেবের জন্মস্থান বলে পরিচিত কেন্দ্রবিল্ব গ্রাম, অপভ্রংশে কেঁন্দুলি নামে পরিচিত। এখানকার বাউল-কীর্তনের মেলায় ভীড় জমান দেশ-বিদেশের বহু মানুষ।
একসময় এই মেলা বসতো অজয় নদের চড়ায়। তখন স্থানীয় মানুষজন বেচাকেনা সেরে সন্ধেবেলায় যে যার ঘরে ফিরে যেতেন। পরবর্তীকালে স্থানীয় নিম্বার্ক আশ্রমের উদ্যোগে এই মেলা একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকে মেলার পরিধি। বহু দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা মেলায় দোকান সাজিয়ে বসতে থাকেন। আর মেলা শেষে সমস্ত অবিক্রিত জিনিস কিনে নিতেন নিম্বার্ক আশ্রমের মোহান্তরা। তাই সমস্ত দোকানিরাই হাসি মুখে বাড়ি ফিরে যেতেন।
পরে এই মেলা পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহণ করেন। পৌষ সংক্রান্তির কনকনে ঠাণ্ডায় অজয় নদের তীরে জয়দেব-কেঁন্দুলির মেলায় আখড়ায় আখড়ায় যখন বাউল-কীর্তনে টক্কর চলে, তখন বাঙলার পল্লী বধূ ভোরে পৌষ আগলান। ঘরে-খামারে সর্বত্র গোবরের গোলাকার মাড়ুলি দিয়ে তার ওপর আতপ চালের গুঁড়ো আর মূলো, সর্ষে ফুল রেখে লক্ষ্মীমাস পৌষকে যেতে না দেওয়ার আকুলতা নিয়ে বলতে থাকেন, ---
"এসো পৌষ, যেও না,
জনম জনম ছেড়ো না,
এসো পৌষ এসো, এসো
চুপটি করে আমার দুয়ারে বসো।"
পৌষ পার্বণকে কোথাও কোথাও "সাকরাণ " নামেও অভিহিত করা হয়। এবার ১৪ ই জানুয়ারি পৌষ পার্বণ।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.