সুফি, শাসক আনুকূল্যে ধর্মান্তরকরণ ও ব্রাত্য জনগোষ্ঠীর বাধা দান
খ্রিস্টিয় ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতকে গৌড়ের সুলতানের মদতে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে মুসলমান সুফিদের দল ভারতে আসতে শুরু করেন। প্রধানত, ব্রাত্য হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষকে ধর্মান্তরিত করে তাঁরা ইসলামের প্রচার প্রসারে মন দেন।
এইসব সুফিরা হিন্দু রাজা জমিদারদের এলাকায় আস্তানা তৈরি করতেন এবং অত্যন্ত সুকৌশলে তাদের সঙ্গে বিবাদ লাগিয়ে গৌড়ের সুলতানের হস্তক্ষেপ চাইতেন। এরপর বহু ক্ষেত্রেই গৌড়ের সুলতান সুফিদের ডাকে সাড়া দিয়ে সসৈন্যে ধর্মপ্রচারে অংশ নিতেন। ক্ষেত্র সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাঢ়-বাংলার যে সব স্থানে "ধর্মঠাকুরের থান" ( স্থান) রয়েছে, সে সব এলাকাতেই রয়েছে বহু সুফি-পীর- ফকির-দরবেশের আস্তানা বা মাজার। সুতরাং, এইসব ব্রাত্য গোষ্ঠীর এলাকায় যে ইসলামের নামে ব্যাপক ধর্মান্তরকরণ ঘটেছিল, তা বলাই যায়। আর ওইসব পীরের আস্তানা বা মাজার এলাকার আশেপাশের মানুষজন বা তার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা একদিন হিন্দু ধর্ম থেকেই মুসলমান হয়েছেন, প্রচলিত কিছু রীতি-নীতি সেই সাক্ষ্য দেয়।
যেমন, অনেক মুসলমান পরিবারে শিশু জন্মালে পাঁচ দিনে "পাঁচুটে" কিংবা "ষাট" অর্থাৎ কাঠের পিঁড়িতে ষষ্ঠী পাতার রেওয়াজ আছে। যদিও এসব আচার এখন কমে গেছে, তবুও বিগত দিনে মুসলমান পরিবারের মধ্যে এ ধরণের হিন্দু আচার পালন অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। এ সব ঘটনা থেকে বোঝা যায়, ওইসব পরিবার আদিতে হিন্দু ছিল, পরবর্তীতে মুসলমান হয়েও সে সব প্রথা পরিবারে রয়ে গেছে। সুতরাং, সুফিদের সাহায্যে ধর্মান্তরকরণ যে ঘটেছিল, এই আচারগুলিই তার প্রমাণ। এছাড়াও অনেক মুসলমান পাড়ায় দেখা যায় হিন্দু স্থাপত্য। এমনকি, পাড়ার নাম পর্যন্ত হিন্দু। এসব সুফিদের ধর্মান্তরকরণের ফল।
ক্ষেত্র সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাঢ়-বাংলার বিভিন্ন স্থানে বীরত্বব্যঞ্জক নামের বেশ কিছু লৌকিক দেবতা রয়েছেন, যেমন---বাঘরাস, মহাদানা, কালো বীর ইত্যাদি। মূলত খেটে খাওয়া গরীব ব্রাত্য হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষেরাই এইসব দেবতাদের পূজারী। পুজোর কোনো সংস্কৃত মন্ত্র নেই, যা আছে, তা হলো বিশ্বাস ও ভক্তি। সাধারণত, পৌষ সংক্রান্তির শেষে পয়লা মাঘ তারিখে সূর্যের উত্তরায়ণ গতির শুরুর দিনে এইসব লৌকিক দেবতাদের পুজো হয়। ক্ষেত্র সমীক্ষায় জানা গেছে, এইসব দেবতারা একসময় এখানকার রক্ত-মাংসের মানুষ ছিলেন। এমনকি, এঁদের কেউ কেউ ছিলেন বর্তমান পুজারীদের পূর্ব পুরুষ।
এইসব এলাকায় গরীব খেটে খাওয়া মানুষজন আজও বহাল তবিয়তে আছেন, লৌকিক দেবতারাও পুজো পাচ্ছেন তাঁদের হাতে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এইসব লৌকিক দেবতাদের স্থান বা থানের আশেপাশে কোনো মুসলমান বসতি, পীরের আস্তানা বা মাজার কোনো কিছুই নেই। তার বদলে এইসব লৌকিক দেবতাদের বীরত্বের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে রয়েছে এলাকার মানুষের জনশ্রুতিতে। তাই এইসব এলাকার মানুষ যে ইসলাম নেননি, তার প্রমাণ তাঁরা নিজেরাই। আর সুফিদের ইসলাম প্রচারে বাধা দিয়ে তাঁদের গোষ্ঠীর বাহুবলী মানুষেরা আজ লৌকিক দেবতা।
আদিতে রক্ত-মাংসের এইসব বাহুবলীদের আসল নামগুলি হারিয়ে গিয়েছে, তার বদলে স্থানীয় মানুষজন তাঁদের বীরত্বের কথা মনে রেখে "বাঘরাস", "মহাদানা", " কালো বীর" ইত্যাদি বীরত্বব্যঞ্জক নাম দিয়েছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে কৃতজ্ঞ মানুষ তাঁদের দেবত্বে বরণ করে নিয়েছেন। তাঁরা আজও এলাকার ব্রাত্য মানুষের কাছে সুপারম্যান।
প্রতি বছর এক্ষেণ দিনে পূজিত হচ্ছেন এইসব লৌকিক দেবতারা।
এ বিষয়ে হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সাহিত্যরত্ন তাঁর "গৌড়-বঙ্গ সংস্কৃতি" গ্রন্থে জানাচ্ছেন, ---"...রাঢ়ের পল্লীতে ভ্রমণ করিলে দেখিতে পাইবেন, হিন্দুবীরের স্মৃতিজড়িত অসংখ্য ধ্বংসস্তূপ, মাঝে মাঝে মুসলমান শহীদ পীরের আস্তানা এবং শুনিবেন শ্বেত বসন্তের মত রাজার মর্মন্তুদ পরিণামের করুণ কাহিনী। বাঙ্গালা, এমনকি পশ্চিমবঙ্গে রাঢ়দেশও একদিনে বিজিত হয় নাই। সমগ্র দেশ অধিকার করিতে মুসলমানের বহুদিন গত হইয়াছিল। রাজধানী অধিকারের পরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘাটোয়াল বা ঘাটরক্ষকগণ, সমৃদ্ধ পল্লীর ভূ-স্বামীগণ কিছুদিন এই বিদেশীদের বাধাদান করিয়াছিল।
মুসলমান ধর্মপ্রচারকের বেশে বা ভাগ্যান্বেষী সৈনিকরূপে এই সমস্ত ঘাটোয়াল বা ভূ-স্বামীর অধিকারে প্রবেশ করিয়া বিরোধ বাধাইয়াছে, পরে সেই বিরোধের ছল করিয়া গৌড়েশ্বরের বা নিকটবর্তী শাসনকর্তার নিকট নালিশ করিয়া সৈন্যের সাহায্য লইয়া সেই সেই স্থান অধিকার করিয়াছে। কোথাও বা নিজে হত হইয়া শহীদ গাজীরূপে সম্মানিত হইয়াছে। এই বিরোধের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা এবং ষড়যন্ত্রের কাহিনীরও অসদ্ভাব নাই।"
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে, বৃহত্তর হিন্দু সমাজের খেটে খাওয়া গরীব সাধারণ মানুষেরা ইসলাম নেননি, বরং তাঁরা স্বধর্ম রক্ষায় লড়াই করেছেন। আর এভাবে লড়াই করে রক্ষা করেছেন নিজেদের গোষ্ঠীর লোকজনদের। তাই এই লড়াইয়ে যখন মুসলমান পীররা নিহত হয়ে শহীদ গাজী হয়েছেন, অন্যদিকে তেমনি খেটে খাওয়া গরীব মানুষের বাহুবলী গোষ্ঠীপতিরা পরিচিত হয়েছেন লৌকিক দেবতা হিসেবে। এইসব লৌকিক দেবতারা আজও এলাকার মানুষের কাছে স্মরণীয় বরণীয় এবং আতুর আর্তজনের আশ্রয়স্থল।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.