দিল্লি দখলের পর ভারতবর্ষ লুন্ঠনেই মনোনিবেশ করেছিল স্বৈরাচারী রক্তপিপাসু তৈমুর লঙ
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আগে রাজতন্ত্রই ছিলো বিশ্বের নিয়ন্ত্রক। রাজা ও তার পারিষদরা তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে অনেক কিছুই করত। কিছু লোক শান্তি বজায় রেখে প্রজাদের কল্যাণার্থে শাসন করতে চেয়েছিল, কিছু লোক নিষ্ঠুরতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছিলো। এবার এমন এক নিষ্ঠুর শাসক সম্পর্কে পাঠক জানবেন যাকে শাসক উচিত নয় বরং শান্তির ও মানবতার শত্রু বলা উচিত।
চৌদ্দ শতকের শাসক তৈমুর লঙ, ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে সমরখন্দের আমিরের উত্তরাধিকারী হিসেবে সিংহাসনে বসার পরে তৈমুর বিশ্ব জয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। অনেক দেশ জয় করার পর তৈমুর ১৩৮৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত আক্রমণ করেন এবং দিল্লি দখলের পথে অগ্রসর হন। ইতিহাস অনুসারে তিনি দিল্লিতে মাত্র ১৫ দিন অবস্থান করেছিলেন। তিনি সৈন্যদের নিয়ে প্রচুর লুটপাট করেন এবং সমস্ত লুটের মাল নিয়ে নিজের দেশে ফিরে যান।
তৈমুর লঙ চেঙ্গিস খানের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন। তবে নির্মমতা ও নৃশংসতার বিচারে তিনি চেঙ্গিস খানের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে ছিলেন। ইতিহাস তৈমুরকে খুনি ও রক্তপিপাসু যোদ্ধা হিসাবে মনে রেখেছে। তৈমুর যখনই যুদ্ধের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতেন, প্রচুর পরিমাণে লাশ বিছিয়ে থাকত। কথিত আছে যে এক জায়গায় তিনি দুই হাজার জীবিত লোকের একটি মিনার তৈরি করেছিলেন। দুহাজার জীবিত মানুষকে ইট ও চুন দিয়ে গেঁথে এই মিনার বানান।
ভারত এর সমৃদ্ধি এবং জাঁকজমকের জন্য তৎকালীন বিশ্বব্যাপী লোকেরাই এই দেশের প্রতি কৌতুহলী ছিলো। এ কারণে এই দেশটি সর্বদা আক্রমণকারীদের লক্ষ্যবস্তু ছিল। তৈমুর লঙও ভারত সম্পর্কে অনেক গল্প শুনেছিলেন। সুতরাং, এখানে সম্পদ লুণ্ঠন করার জন্য, তিনি আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেন। ভারতে, তৈমুর প্রচুর সম্পদ লুট করেছিলেন তবে যখন তিনি দিল্লি থেকে সমরখন্দে ফিরে যান, তখন তিনি তাঁর সাথে বহু যুবক এবং বন্দী মহিলা ও কলাকুশলীদের নিয়ে গিয়েছিলেন।
তৈমুর লঙয়ের নাম আগে কেবল তৈমুর ছিল। নামটির পিছনে লঙ যোগ হওয়ার কারণ তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, অল্প বয়সে তৈমুরের দেহের ডানদিক খারাপভাবে আহত হয়েছিল। ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যে তৈমুরের এই অবস্থা একটি দুর্ঘটনার কারণে হয়েছিল। তৈমুর খোরাশানে খনিতে ভাড়াটে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। এই খনিতে দুর্ঘটনার সময় তিনি আহত হয়েছিলেন।
তৈমুর সম্পর্কে বিভিন্ন ঐতিহাসিকের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। সিরিয়ার ইতিহাসবিদ ইবনে আরব শাহ বলেছেন যে একটি মেষপালকদের চারণভূমি থেকে ভেড়া চুরি করার সময় তৈমুরকে তারা তীর দিয়ে আঘাত করেছিল। রাখালের একটি তীর তৈমুরের কাঁধে এবং অন্য একটি তীর পশ্চাৎদেশে লাগে।
তৈমুর যখন দিল্লী আক্রমণ করেন তখন সিংহাসনে নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহ তুঘলক। যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৭ ই ডিসেম্বর, ১৩৯৮। তৈমুর ভারতীয় হাতিদের নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন। আলেকজান্ডারের বাহিনীকে অবধি যুদ্ধের হাতিরা নাকানিচোবানি খাওয়ায়। হাতির ভয়ে তৈমুর তার লোকদের তার বাহিনীর সামনে একটি পরিখা খননের আদেশ দেন। তৈমুর তার উটগুলিকে যতটা কাঠ এবং খড় বহন করতে পারে তাই দিয়ে বোঝাই করেন। যুদ্ধের হাতিদের আটকানোর জন্য তৈমুর খড়ে আগুন ধরিয়ে দেন এবং উটগুলিকে লোহার দণ্ড দিয়ে সজ্জিত করেন, যার ফলে হাতির বাহিনী এগিয়ে এলে আহত হয়ে যন্ত্রণায় হাতিরা চিৎকার করতে থাকে। তৈমুর বুঝতে পেরেছিলেন যে এইভাবে সহজেই হাতিগুলিকে দিশেহারা করে দেওয়া যাবে। তাদের সামনে থেকে আগুনের শিখাসমন্বিত উটগুলি সরাসরি তাদের দিকে ধেয়ে যাওয়ার বিস্ময়কর দৃশ্যের মুখোমুখি হয়ে, হাতিগুলি ঘুরে দাঁড়ায় এবং তাদের নিজস্ববাহিনীকেই পদদলিত করে। তৈমুর পরবর্তী সময়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহ তুঘলকের বাহিনীর ভীতিকে পুঁজি করে একটি সহজ বিজয় অর্জন করেন। নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহ তুঘলক তাঁর বাহিনীর অবশিষ্টাংশ নিয়ে পালিয়ে যান। দিল্লিকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়। দিল্লির পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য তৈমুর কমবেশি ১, ০০, ০০০ বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিলেন।
দিল্লির সুলতানত দখল করা ছিল তৈমুরের অন্যতম সেরা বিজয়, যেহেতু তখনকার সময়ে দিল্লি ছিল বিশ্বের অন্যতম ধনী শহর। দিল্লি তৈমুরের সেনাবাহিনীর পদানত হওয়ার পরে, তুর্কি-মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে নাগরিকদের বিদ্রোহ শুরু হয়, এবং শহরের অভ্যন্তরে একটি প্রতিশোধমূলক রক্তক্ষয়ী গণহত্যা ঘটানো হয়। দিল্লির অভ্যন্তরে তিন দিন নাগরিক বিদ্রোহের পরে শহরটিতে মৃতদেহের স্তূপ তৈরি হয়। মৃতদেহগুলির মাথা স্তুপাকারে সাজিয়ে রাখা হয় এবং পুতিগন্ধময় মৃতদেহগুলি তৈমুরের সৈন্যদের দ্বারা পাখির খাদ্য হিসাবে রেখে দেওয়া হয়। তৈমুরের আক্রমণ ও দিল্লির ধ্বংস এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যা তৎকালীন ভারতকে গ্রাস করেছিল এবং দিল্লীর প্রায় এক শতাব্দী লেগেছিল, যে বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.