হিন্দুধর্মের প্রাচীন বর্ণাশ্রম ধর্মের বিকৃত রূপ "জাতিভেদ" যে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল, রাণী রাসমণির দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ক্রমশ আসছি সে আলোচনায়। সময়টা ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দ। কলকাতা জানবাজারের রাণী রাসমণি (১৭৯৩-১৯৯৬ খ্রি: ) পঁচিশখানি নৌকো নিয়ে কাশীর বিশ্বনাথ দর্শনে চলেছেন। সঙ্গে রয়েছেন আত্মীয়-স্বজন, দাস-দাসী থেকে চিকিৎসকগণ। সেই সঙ্গে নেওয়া হয়েছে চাল-ডাল-নুন-তেল মিলে ছয়মাসের রসদ। লোকজনের পাশাপাশি দুধের জন্য নেওয়া হয় চারটি গাভী এবং তাদের খাবার হিসেবে একটি নৌকো ভর্তি খড়-বিচালি।
নৌবহর ভাগীরথীর বক্ষে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত গিয়েই নদীর স্রোত প্রতিকূল হলে সেখানেই রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কথিত আছে, রাতেই স্বপ্ন দেখলেন রাণী রাসমণি, কাশীর বিশ্বেশ্বর তাঁকে কাশী যাবার দরকার নেই বললেন এবং সেই সঙ্গে ভাগীরথীর তীরে মন্দির তৈরি করে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশও দিলেন।
এই ঘটনায় পরের দিন সকালেই জামাইদের ডেকে কাশীযাত্রা স্থগিত করার কথা জানিয়ে দিলেন। সঙ্গে আনা সমস্ত রসদ মা কালীর নামে এলাকার দু: স্থজনদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হলো। এরপর কলকাতার জানবাজারের বাড়িতে ফিরে জামাই মথুরামোহনকে মন্দির নির্মাণের জন্য উপযুক্ত জমির খোঁজ করতে বললেন।
প্রবাদ আছে, ---
"গঙ্গার পশ্চিম কুল / বারাণসীর সমতুল।"
তাই গঙ্গার পশ্চিম কুলেই জমির খোঁজ চালানো হলো।
জমির খোঁজ চলতে থাকুক। আমরা এই ফাঁকে "গঙ্গার পশ্চিম কুল / বারাণসীর সমতুল"---প্রবাদটির উৎস সন্ধানে যাই। দেখা যাচ্ছে, এর পিছনেও রয়েছে ব্রাহ্মণ্যবাদ। অব্রাহ্মণ ঋষি ব্যাসদেবকে গঙ্গার পশ্চিম কুল থেকে ব্রাহ্মণরা হঠিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর ব্যাসদেব কাশীর গঙ্গার পূর্ব তীরে তাঁর সাধনক্ষেত্র তৈরি করেন। এরপর ব্যাসদেবের পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ অনুরাগীর দল গঙ্গার পূর্ব তীরে তাঁর সাধনক্ষেত্রেই ভীড় করতে থাকেন। অন্যদিকে, পশ্চিম পাড়ে জনসমাগম কমে যায় এবং ব্রাহ্মণ্যবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের রোজগারে আর্থিক মন্দা আসে। এজন্য বুদ্ধিজীবী ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের তরফে প্রচার করা হয়, গঙ্গার পূর্ব কুল হলো অশুচি এবং পশ্চিম কুল হলো পুণ্যস্থান। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল পরিকল্পনামাফিক ওপরের প্রবাদটি।
কাশী থেকে ফিরে আসি দক্ষিণেশ্বরে। দেখা যাচ্ছে, গঙ্গার পশ্চিমকুল তখন ব্রাহ্মণ জমিদারদের অধিকারে। তাঁরা রাণী রাসমণির মতো এক কৈবর্ত কুলের বিধবাকে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুণ্য অর্জনের সুযোগ দিতে নারাজ। অত এব পশ্চিম কুল ছেড়ে এবার জমির খোঁজ চললো গঙ্গার পূর্ব কুলে। কিন্তু সেখানেও কুলীনকুলসর্বস্ব ব্রাহ্মণদের দাপটে জমি পাওয়া গেল না। এমনকি, ব্যারাকপুরের ভাটপাড়ার ব্রাহ্মণদের ভয়েও সেখানকার সাধারণ মানুষ রাণী রাসমণিকে জমি দিতে রাজি হোন নি বলেও জানা যায়।
অনেক খোঁজাখুঁজি চললো। অবশেষে পাওয়া গেল কোনো হিন্দুর জমি নয়, পাওয়া গেল এক খ্রিস্টান সাহেবের জমি। সাহেবের নাম---হেস্টি। সংশ্লিষ্ট জমিতে সাহেবের একটি কুঠিবাড়ি ছিল। এরপর সাহেব সেখানে একটি পাটকল বসানোর পরিকল্পনা নেন এবং এজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে বিলেত পাড়ি দেন। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্ণি জেমস হোস্টিকে ওই জমির পাওয়ার অব্ অ্যাটর্ণি দেওয়া ছিল। ওই জমি এবং আশেপাশের কিছু জমি মিলে মোট ষাট বিঘে জমি কেনা হলো পঞ্চান্ন হাজার টাকায়, ১৯৪৭-এর ৬ ই সেপ্টেম্বরে। জমিটির মালিক খ্রিস্টান বলে ব্রাহ্মণরা জমি কেনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা দিতে পারে নি।
জমি কেনার পর তৎকালীন বিখ্যাত নির্মাণ সংস্থা "ম্যাকিন্টস অ্যাণ্ড বার্ণ কোম্পানি"-কে দেওয়া হলো মন্দির তৈরির বরাত। কিন্তু মন্দির তৈরির কাজ শুরু হতেই তথাকথিত হিন্দুরাই বাধা দিতে এগিয়ে এলেন। নড়াইলের জমিদার রামরতন রায় একাই রাণী রাসমণির বিরুদ্ধে ষোলোটি মামলা ঠুকে দিলেন। মামলার কারণগুলিও ছিল অদ্ভুত, যেমন---নারীর মন্দির প্রতিষ্ঠার অধিকার নেই, শ্মশানভূমিতে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা অশাস্ত্রীয় ইত্যাদি। তবে মন্দির তৈরির কাজ বন্ধ করা যায় নি। ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে নয় লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হলো দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
দক্ষিণেশ্বরের নামকরণ সম্পর্কে জানা যায়, দেউলপোঁতার জমিদার বামরাজা এখানে "দক্ষিণেশ্বর" নামে তাঁর স্বপ্নাদিষ্ট শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তা থেকেই এলাকার নাম হয় "দক্ষিণেশ্বর।" দক্ষিণেশ্বর ঘাটের "বুড়ো শিব"-কে অনেকে বামরাজা প্রতিষ্ঠিত শিব বলে থাকেন। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে মে, (বাংলা ১২৬২ সনের ১৮ ই জ্যৈষ্ঠ), বৃহস্পতিবার, জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিন প্রতিষ্ঠা হয় দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দির। ব্রাহ্মণরা রাসমণিকে পদে পদে বাধা দিয়েছেন, কিন্তু তথাকথিত সমস্ত পণ্ডিতদের বিচার অগ্রাহ্য করে তাঁদের সব শাস্ত্রীয় যুক্তির ঊর্ধ্বে উঠে নিজের ব্যক্তিত্বে অটল রাণী রাসমণি গড়ে তুলেছেন এই দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
ব্রাহ্মণদের একচেটিয়া অধিকার থাকলে মন্দির ও জনগণের কি হতে পারে, তা ভেবেই রাণী রাসমণি তাঁর প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পাণ্ডাপ্রথা রাখেন নি। মাইনে করা পুরোহিত রেখেছেন। তাই এটিও রাণী রাসমণির অভিজ্ঞতালব্ধ দূরদর্শিতার একটি উল্লেখযোগ্য পরিচয়। আর সৌদামিনী নামে তাঁর বাগ্দী পরিচারিকার সঙ্গে ব্রাহ্মণ কৃষ্ণকান্তের বিয়ে দিয়ে সমাজের জাতপাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এই নবদম্পতিকে রাণী রাসমণি তাঁর কলকাতার জানবাজারের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
I am a history aficionado, wandering along the path in search of history, archaeology and folk culture. This journey is aimed at constructing an undiscussed chapter of the forgotten Bangla with the information obtained from field survey.