দেশটার নাম "ভারতবর্ষ", যেখানে দাদা রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে তাঁর নামে রাজ্যশাসন চালান ভাই ভরত, আবার শত্রুর হাত থেকে বোন রাজ্যশ্রীকে উদ্ধার করতে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজা হর্ষবর্ধনের মতো দাদা। তাই আজও ভায়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে তার মঙ্গল কামনা করে থাকেন এদেশের বোনেরা।
আজ রাজা হর্ষবর্ধনের হাতে বোন রাজ্যশ্রী উদ্ধারের কথা। এই লেখার তথ্যসূত্র বাণভট্টের লেখা "হর্ষচরিত, " ও চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের লেখা ভ্রমণ বৃত্তান্ত।
রাজ্যশ্রী উদ্ধার বৃত্তান্তের আগে আমাদের শশাঙ্কের সঙ্গে পরিচয় করতে হবে। প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম বাঙালি শাসক এই শশাঙ্ক। তাঁর আরেক নাম---"নরেন্দ্রগুপ্ত।" নামের শেষে "গুপ্ত" থাকলেও শশাঙ্ক অবশ্য গুপ্তরাজবংশের মানুষ ছিলেন না। তার প্রমাণ প্রাচীন রোহিতাশ্ব (রোটাসগড়) গিরিলেখতে উল্লেখ করা হয়েছে "শ্রীমহাসামন্ত শশাঙ্ক।" সুতরাং, শশাঙ্ক প্রথম জীবনে ছিলেন একজন মহাসামন্ত। খ্রিস্টিয় ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগে গুপ্তরাজ মহাসেনগুপ্ত ছিলেন মগধ ও গৌড়ের শাসক। এই মহাসেনগুপ্তের অধীনস্থ একজন মহাসামন্ত ছিলেন শশাঙ্ক।
পরে ৬০৬ খ্রিস্টাব্দের আগেই গৌড়ে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন শশাঙ্ক। রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের ৬ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে কর্ণসুবর্ণ (বর্তমানে রাঙামাটি )। শশাঙ্ক জয় করেন দক্ষিণে দণ্ডভুক্তি (বর্তমান মেদিনীপুর জেলা), উড়িষ্যার উৎকল এবং গঞ্জাম জেলার কোঙ্গোদ রাজ্য। শৈলোদ্ভব বংশীয় রাজারা শশাঙ্কের অধীনস্থ সামন্ত হিসেবে কোঙ্গোদ রাজ্যটি শাসন করতেন। পশ্চিমে মগধ রাজ্যটিও জয় করেন শশাঙ্ক। গৌড়ের চিরশত্রু ছিলেন মৌখরীরাজারা। মৌখরীরাজ গ্রহবর্মা বিয়ে করেন শক্তিশালী পুষ্যভূতি বংশোদ্ভূত স্থানীশ্বররাজ (থানেশ্বর) প্রভাকরবর্ধনের কন্যা রাজ্যশ্রীকে। আবার শশাঙ্কের ভয়ে কামরূপরাজ ভাস্করবর্মা বন্ধুত্ব করেন থানেশ্বররাজের সঙ্গে। এ অবস্থায় শশাঙ্ক চুপ করে বসে থাকলেন না। তিনিও এই জোটশক্তির বিরুদ্ধে সন্ধি করলেন মালবরাজ দেবগুপ্তের সঙ্গে।
এরপর শশাঙ্ক বারাণসী দখল করে পশ্চিমে এগিয়ে যান। আর দেবগুপ্ত মালব থেকে সসৈন্যে এগিয়ে চললেন কান্যকুব্জ বা কনৌজের দিকে। এর পরের ঘটনা বাণভট্টের "হর্ষচরিত" অনুসারে, থানেশ্বররাজ প্রভাকরবর্ধনের মৃত্যুর পর রাজা হয়েছেন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজ্যবর্ধন। এমন সময় কান্যকুব্জ থেকে দূত এসে খবর দিলো, মালবরাজ দেবগুপ্ত কান্যকুব্জরাজ গ্রহবর্মাকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করে রাণী রাজ্যশ্রীকে বন্দিনী করেছেন এবং থানেশ্বর আক্রমণের উদ্যোগ নিচ্ছেন।
একথা শুনে রাজ্যবর্ধন তাঁর ছোট ভাই হর্ষবর্ধনের হাতে রাজ্যভার দিয়ে দশ হাজার অশ্বারোহী সৈন্য নিয়ে ছুটলেন বোন রাজ্যশ্রীকে উদ্ধার করতে। পথে মালবরাজ দেবগুপ্তের সঙ্গে তাঁর দেখা হলো। রাজ্যবর্ধন মালবরাজকে যুদ্ধে হারিয়ে তাঁর বহু সৈন্যকে বন্দি করে পাঠিয়ে দিলেন থানেশ্বরে। আসলে মালবরাজ দেবগুপ্ত তখন কান্যকুব্জ জয় করেই শশাঙ্কের জন্য অপেক্ষা না করে যুদ্ধ শুরু করে দেন থানেশ্বররাজের বিরুদ্ধে। কান্যকুব্জে পৌঁছানোর পর এই খবর পান শশাঙ্ক। তখন তিনি দেবগুপ্তকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। কিন্তু তার আগেই রাজ্যবর্ধনের হাতে মালবরাজ দেবগুপ্ত পরাজিত ও নিহত হোন।
এদিকে দেবগুপ্তের মতো জয়ের আনন্দে বিভোর ছিলেন রাজ্যবর্ধন এবং তাই তিনি সামনের বিপদের কথা না ভেবে নিজের ছোট সৈন্যদলের কিছু সৈন্যকে বন্দি মালব সৈন্যদের সঙ্গে পাঠিয়ে দেন থানেশ্বরে। আর বাকি সৈন্য নিয়ে এগিয়ে যান কান্যকুব্জের দিকে। কিন্তু পথেই শশাঙ্কের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় এবং যুদ্ধ হয়। আর শশাঙ্কের সঙ্গে সে যুদ্ধে নিহত হোন রাজ্যবর্ধন। রাজ্যবর্ধনের নিহত হবার বিষয়ে শশাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে বাণভট্ট ও হিউয়েন সাঙ বিশ্বস্ত নন। শশাঙ্ক বিশ্বাসঘাতকতা করে রাজ্যবর্ধনকে হত্যা করেছেন, বাণ ও হিউয়েন সাঙের এই অভিযোগের সমর্থনে হর্ষবর্ধনের শিলালিপিতে তার উল্লেখ নেই। তাই বলা যায়, যুদ্ধক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় কিছু সৈন্য নিয়ে প্রবল প্রতাপশালী শশাঙ্কের সঙ্গে সামনাসামনি যুদ্ধেই একাকী রাজ্যবর্ধনের মৃত্যু হয়। এরপর দাদা রাজ্যবর্ধনের মৃত্যু সংবাদ শুনে হর্ষবর্ধন প্রতিজ্ঞা করেন, নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে শশাঙ্কের নিধন করতে না পারলে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বিসর্জন দেবেন তিনি।
শুরু হয়ে গেলো সমরসজ্জা। শশাঙ্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলেন হর্ষ। পথে শুনলেন, বোন রাজ্যশ্রী কারাগার থেকে পালিয়ে চলে গেছেন বিন্ধ্যপর্বতের দিকে। একথা শুনে তৎক্ষণাৎ সেনাপতি ভণ্ডীকে এগোনোর আদেশ দিয়ে বোনের খোঁজে বিন্ধ্যপর্বতের দিকে গেলেন হর্ষবর্ধন। এদিকে রাজ্যশ্রী তখন চিতা জ্বালিয়ে সেই জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই অবস্থায় বোন রাজ্যশ্রীকে উদ্ধার করে গঙ্গাতীরে নিজের সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হলেন হর্ষবর্ধন। বাণভট্টের "হর্ষচরিত" এখানেই শেষ। শশাঙ্কের সঙ্গে হর্ষবর্ধনের যুদ্ধের কোনো কথাই লেখেননি বাণভট্ট।
৬১৯ খ্রিস্টাব্দের উড়িষ্যার গঞ্জাম জেলার কোঙ্গোদ রাজ্যের শৈলোদ্ভব বংশীয় রাজা "চতুরুদধি-সলিলবীচিমেখলা দ্বীপগিরিপত্তনবতী" বসুন্ধরার অধিপতি মহারাজাধিরাজ শ্রীশশাঙ্কের মহাসামন্ত বলে নিজেকে উল্লেখ করেছেন।
তাই বলা যায়, আর্যাবর্তে অন্তত ৬১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এক শক্তিশালী রাজা হিসেবেই বর্তমান ছিলেন বাঙালি বীর শশাঙ্ক।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
I am a history aficionado, wandering along the path in search of history, archaeology and folk culture. This journey is aimed at constructing an undiscussed chapter of the forgotten Bangla with the information obtained from field survey.