বেদে বৃত্তান্ত
বহুদিন আগে তেলেঙ্গানা থেকে বেশ কিছু অষ্ট্রিক গোষ্ঠীর মানুষ এসেছিলেন উড়িষ্যায়। এখানে এসে তাঁরা বাসা বেঁধেছিলেন সেখানকার অরণ্যবেষ্টিত অঞ্চলে। তার কারণও ছিল। এইসব জনগোষ্ঠীর মানুষের পেশা ছিল বাঁশের ঝুড়ি, ডালা, চাঙারী তৈরি করা। আর এসবের জন্য সহজলভ্য কাঁচামাল পাওয়া যেতো বনে-জঙ্গলে। তাই তাঁরা বসতি গড়ে তুলেছিলেন বনের মাঝে। তেলেগু ভাষায় বাঁশকে বলা হয় "বেদরু।" আর এই "বেদরু" অর্থাৎ বাঁশের সঙ্গে থাকার জন্য তাঁদের নাম হয়ে যায় "বেদিয়া", এবং তা থেকে পরে "বেদে।" বর্তমানে তাঁদের এই "বেদে" নামটিই চালু আছে।
বেদেরা অন্য সময় সাপ খেলা দেখিয়ে বেড়ান। সেই সঙ্গে সাপের বিষ বিক্রিও করেন বলে জানা যায়।
সংস্কৃত ভাষায় বেদেদের বলা হয়েছে "বিষবৈদ্য।" এই বিষবৈদ্যের আরেক নাম "জাঙ্গুলিক।" "জাঙ্গুল" মানে "বিষ বিদ্যা", আর তা থেকেই এসেছে "জাঙ্গুলিক" কথাটি। প্রায় দু'হাজার বছর আগে লেখা অমর সিংয়ের "অমরকোষ" নামক অভিধানে এই বিষবৈদ্যের উল্লেখ দেখা যায়। তাই বলা যায়, বেদেরা ভারতের প্রাচীন একটি জাতিগোষ্ঠী। কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর লেখা "চণ্ডীমঙ্গল" কাব্যে দেবাদিদেব শিবকে বলা হয়েছে বাদিয়া বা বেদের পো অর্থাৎ বেদের পুত্র।
যেমন, ---
"গৌরীর কপালে ছিল বাদিয়ার পো।
কপালে তিলক দিতে সাপে মারে ছোঁ। ।"
বেদেরা বর্তমানে কেউ হিন্দু, কেউ আবার মুসলমান। কারো পিতার মুসলমান নাম কাদের, অন্যদিকে তাঁর ছেলের নাম সূরজ। এঁদের মধ্যে বেদে, মাল ও দাস পদবি প্রচলিত রয়েছে। তবে একটি জায়গায় মিল আছে, তাঁরা সবাই মা মনসার পুজো করে থাকেন। এ থেকে বোঝা যায়, তাঁদের শেকড় রয়েছে হিন্দুধর্মের, পরে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তাই এখনো মনসা পুজো করে চলেছেন তাঁরা।
আরেক ধরণের যাযাবর গোষ্ঠী রয়েছেন আমাদের দেশে, যাঁদের কোনো স্থায়ী ঘরবাড়ি নেই। এঁরা মূলত শিকারী। একসময় টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া, বুলবুল প্রভৃতি বনের পাখি ধরে গ্রাম-শহরের হাটে-বাজারে বিক্রি করতেন। সেই সঙ্গে বুনো পাখির মাংস বিক্রিও করতেন। এছাড়া বন-জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করেও বিক্রি করতেন। এঁরা সাধারণভাবে "পাখমারা" নামে পরিচিত। নিজেরা " চণ্ডীমঙ্গল" কাব্যের কালকেতু ব্যাধের বংশধর বলে দাবি করেন। শবরদের একটি শাখা হিসেবে মনে করা হয় এঁদের। এঁরাও "বেদে" গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত।
পাখমারাদের মধ্যে পৈতা ধারণ বিধি প্রচলিত আছে। এঁদের পদবি হলো "অক্ষুটী।" এঁরা শিবের উপাসক। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর থানার বেশ কয়েকটি গ্রামে এই পাখমারা গোষ্ঠীর মানুষজন বসবাস করেন বলে জানা গেছে। এঁদের অনেকেই এখন চাষের কাজ করে থাকেন, কেউ বা কৃষি শ্রমিক। এভাবে ধীরে ধীরে পেশার বদল ঘটছে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে। বিবর্তনের নিয়মে ভবিষ্যতে আরও ঘটবে।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.