কয়েকটি কুলপঞ্জিকায় পাওয়া যায়, রাজা আদিশূর কনৌজ থেকে পাঁচজন বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ আনিয়েছিলেন। সে সময় বাংলায় বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের অভাব ছিল। তাই যাগ-যজ্ঞ ঠিকমতো করা যাচ্ছিল না এবং সেজন্যই রাজা আদিশূর পশ্চিম থেকে পাঁচজন বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ আনিয়েছিলেন। বলা হয়, এঁরাই বাংলার কুলীন ব্রাহ্মণদের পূর্বপুরুষ। আর সেই সঙ্গে তাঁদের ছাতা ও পাদুকা বয়ে এনেছিলেন পাঁচজন চাকর, যাঁদের কুলীন কায়স্থদের পূর্বপুরুষ বলে কথিত আছে।
কুলপঞ্জিকা বা কুলজিগ্রন্থের মধ্যমণি হলেন রাজা আদিশূর। তিনিই কোলাঞ্চ-কনৌজ ( অন্যমতে কাশী) থেকে বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ আনিয়েছিলেন এই বাংলায়। এই রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ কুলজিগ্রন্থ অনুসারে, আদিশূরের পৌত্র ক্ষিতিশূর এবং ক্ষিতিশূরের পুত্র ধরাসূরের নাম আছে। খ্রিস্টিয় একাদশ শতকে দক্ষিণ রাঢ় অঞ্চলে এক শূরবংশ রাজত্ব করতেন বলে জানা যায় এবং এই বংশের একজন রাজা ছিলেন রণশূর। কিন্তু আদিশূর, ক্ষিতিশূর ও ধরাসূরের নাম ইতিহাসে পাওয়া যায় না। তাছাড়া আদিশূরের আগে বাংলায় বেদচর্চা ছিল না এবং সেজন্য আদিশূরকে কনৌজ কিংবা কাশী থেকে ব্রাহ্মণ আনতে হয়েছিল, কুলজিগ্রন্থের এই দাবিও ইতিহাসসম্মত নয়।
কারণ, অন্তত খ্রিস্টিয় পঞ্চম শতক থেকে শুরু করে অষ্টম শতকের আগেই বাংলার সর্বত্র বেদচর্চা যথেষ্ট ছিল। আর খ্রিস্টিয় অষ্টম শতক থেকে শুরু করে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত সময়কালে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু ব্রাহ্মণ বাংলায় এসে বসবাস করতে থাকেন, আবার বাংলা থেকেও বহু ব্রাহ্মণ বাংলার বাইরে গিয়েও সম্মান-সম্বর্ধনা পেয়েছেন।
কুলজিগ্রন্থের বিবরণে এতটাই অসঙ্গতি আছে, যে কারণে এটি ঐতিহাসিক সত্য বলে মেনে নেওয়া কঠিন। যেমন, বিভিন্ন কুলপঞ্জিকায় আদিশূরের ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ রয়েছে। কোথাও আদিশূরকে বলা হয়েছে গৌড়ের রাজা, কোথাও বলা হয়েছে বাংলা-উড়িষ্যার রাজা, আবার কোথাও তাঁকে অঙ্গ, কলিঙ্গ, কর্ণাট, কেরল, কামরূপ, সৌরাষ্ট্র, মগধ, মালব, গুর্জর দেশের রাজা বলা হয়েছে। আদিশূরের রাজধানীর নাম নিয়েও বিভিন্ন মত দেখা যায় এইসব কুলপঞ্জিকায়। যেমন, কারো মতে, তাঁর রাজধানী ছিল গৌড়ে, কারো মতে আবার বিক্রমপুরে।
আগমনের সময় নিয়েও কুলপঞ্জিকায় মতভেদ রয়েছে। ৬৫৪, ৬৭৫, ৮০৪, ৮৫৪, ৮৬৪, ৯১৪, ৯৫৪, ৯৯৪, ৯৯৯ শকাব্দে কনৌজি ব্রাহ্মণদের আগমনের কাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিভিন্ন কুলপঞ্জিকায়। ব্রাহ্মণদের নামগুলিও বিভিন্ন কুলপঞ্জিকায় বিভিন্ন। কাজেই এরপর কনৌজ থেকে বাংলায় আদিশূরের ব্রাহ্মণ আনার বিষয়টি ঐতিহাসিক বলে প্রমাণিত হয় না।
তবে এ বিষয়ে একটি তামিল কিংবদন্তির সঙ্গে আদিশূরের কনৌজি ব্রাহ্মণ আনার কাহিনীর মিল দেখা যায়। কর্ণাট দেশের হাঙ্গলপ্রান্তীয় কদম্বরাজাদের লেখমালা থেকে জানা যায়, এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ময়ূরবর্মা বা ত্রিলোচনকদম্ব হিমালয় থেকে দক্ষিণ ভারতে গিয়েছিলেন। তিনি অহিচ্ছত্র নগর থেকে পণ্ডিত ব্রাহ্মণ এনে কর্ণাটকে তাঁদের বসতি করে দেন। আবার মধ্যযুগের পল্লবরাজাদের লেখমালায় উল্লিখিত হয়েছে, রাজা ত্রিলোচনপল্লব অহিচ্ছত্র থেকে ব্রাহ্মণ আনিয়ে শ্রীপর্বতের পূর্বদিকে তাঁদের বসিয়েছিলেন।
এখানে উল্লেখ্য, ত্রিলোচনকদম্ব বা ত্রিলোচনপল্লব নাম দুটি ঐতিহাসিক ব্যক্তির নাম নয়। খ্রিস্টিয় চতুর্থ শতাব্দীর কদম্বরাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ময়ূরশর্মা। এই ময়ূরশর্মা নামটি মধ্যযুগের কাহিনীতে হয়ে গিয়েছেন "ময়ূরবর্মা।"
এ বিষয়ে আরেকটি কিংবদন্তির উল্লেখ রয়েছে চোলরাজ তৃতীয় কুলোত্তুঙ্গের (১১৭৮-১২১৬ খ্রি: ) সময়কালের একটি অভিলেখ থেকে। তাতে বলা হয়েছে, চোলরাজ অরিন্দম অন্তর্বেদী দেশ থেকে ব্রাহ্মণ পণ্ডিত আনিয়ে তামিলভাষী অঞ্চলে বসিয়েছিলেন। সে সময় তামিলভাষী অঞ্চলে অব্রাহ্মণ জাতিগুলি দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল---বামহস্ত ও দক্ষিণ হস্ত। প্রথমভাগে ছিল কারুশিল্পীরা এবং দ্বিতীয়ভাগে কৃষকরা। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদের সঙ্গে তাঁদের পাদুকা ও ছাতা বয়ে এনেছিলেন এই "বামহস্ত" জাতির পূর্বপুরুষরা এবং দক্ষিণ ভারতে এসে তিরুচিরাপল্লী জেলার পাঁচটি গ্রামে বসতি গড়ে তোলেন।
খ্রিস্টিয় দশম শতাব্দীর রাজা অরিঞ্জয় কিংবদন্তিতে হয়ে গেছেন "অরিন্দম।" এ বিষয়ে অভিধান গ্রন্থ "ত্রিকাণ্ডশেষ" অনুসারে, অন্তর্বেদী স্থানের অন্য নাম "কুশস্থলী।" আবার "কান্যকুব্জ" বা কনৌজ এবং "কুশস্থল" --- এ দুটি একই জায়গার নাম। সুতরাং, চোলরাজ অরিন্দমের কনৌজ থেকে পণ্ডিত ব্রাহ্মণ আনার বিবরণের সঙ্গে বাংলায় আদিশূরের কনৌজি ব্রাহ্মণ আনার প্রচলিত লোককথার সঙ্গে আশ্চর্য মিল রয়েছে। তাছাড়া অরিন্দম কাহিনীটি বাংলায় আদিশূরের চেয়েও প্রাচীন।
সন্ধ্যাকর নন্দীর "রামচরিত" অনুসারে, বাংলা-বিহারের পালরাজাদের অনেকেই দক্ষিণ ভারতের রাষ্ট্রকূট রাজাদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্বন্ধে আবদ্ধ ছিলেন। সেই সূত্রে অনেক দক্ষিণ ভারতীয় রাজপুত্র ও সেনানায়ক পালরাজাদের সামন্ত কিংবা কর্মচারি হিসেবে পূর্ব ভারতে বসতি গড়ে তুলেছিলেন। পালরাজ দেবপালের (আনুমানিক ৮১২-৮৫০ খ্রি: ) সময় থেকে পাল সৈন্যবাহিনীতে কর্ণাট দেশের সৈন্যদের নেওয়া হয়েছিল। বাংলার সেনরাজারা ছিলেন কর্ণাট দেশীয় এবং সেই সূত্রে তামিলদেশের অরিন্দমের কনৌজি ব্রাহ্মণ আনার কাহিনীটি বাংলায় আদিশূরের নামে প্রচলিত হয়ে যায়।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
I am a history aficionado, wandering along the path in search of history, archaeology and folk culture. This journey is aimed at constructing an undiscussed chapter of the forgotten Bangla with the information obtained from field survey.