রামায়ণ, রামসেতু ও তার পাথর রহস্য
রামায়ণ অনুসারে, শ্রীরামচন্দ্র সীতা উদ্ধারের জন্য লঙ্কায় পৌঁছুতে সাগরের ওপর তৈরি করেছিলেন একটি ভাসমান সেতু। রামায়ণের স্মৃতিবিজড়িত সেই সেতু "রামসেতু" নামে পরিচিত। দক্ষিণ ভারতের "কম্ব রামায়ণ" অনুসারে, সেতুটি তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মার পুত্র নল। নলের জলে পাথর ভাসানোর ক্ষমতা ছিল। বাল্মীকি রামায়ণ অনুসারে, ছোটবেলায় ধ্যানমগ্ন ঋষিদের পাথর ছুঁড়ে তাঁদের বড়োই জ্বালাতন করতেন নল। ঋষিরা রেগে গিয়ে অভিশাপ দেন, নলের ছোঁড়া পাথর জলে ডুববে না, জলের ওপরেই ভেসে থাকবে। উত্তরকালে ঋষিদের এই অভিশাপ নলের কাছে আশির্বাদ হয়ে উঠেছিল। অন্যদিকে, তুলসীদাসের অবধি ভাষায় লেখা রামায়ণ "রামচরিতমানস"-এ নলের সঙ্গে তাঁর ভাই নীলও রামসেতু তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে উল্লেখ আছে।
খ্রিস্টিয় পঞ্চদশ শতাব্দীর লেখা "আনন্দ রামায়ণ" অনুসারে, সেতু তৈরির আগে শ্রীরামচন্দ্র বিশ্বকর্মা-পুত্র নলের আনা ৯ টি জ্যোতির্ময় পাথরকে নবগ্রহ হিসেবে পুজো করেছিলেন। সেতুটি জলের নিচে ডুবে রয়েছে বলে খালি চোখে দেখা যায় না। তবে উপগ্রহ ছবিতে সেতুটির অস্তিত্ব স্পষ্ট। এটি "রামসেতু", "নলসেতু", "সেতুবন্ধন" ও "আদম সেতু" নামেও পরিচিত। বাস্তবে দেখা যায়, ভারতের তামিলনাড়ুর দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে রামেশ্বর দ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত সংযুক্ত অংশ এখনো ভাসমান রয়েছে। উপগ্রহ ছবিতে এই সেতুটি ভাসমান দেখা যায়।
সেতুর নিচে রয়েছে বালির স্তর এবং এখানে সমুদ্র বেশ অগভীর। কোনো কোনো অংশ ৩ থেকে ৩০ ফুট মাত্র গভীর। সুতরাং, বলা যায়, সেতুটি সমুদ্রতল থেকে বেশ উপরেই ছিল। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একসময় যুক্ত ছিল এই সেতুটি। পার্সিয়ান ভূগোলবিদ্ ইরণ্ খোরদাদবেহ্ (৮২০-৯১২ খ্রি: ) তাঁর লেখা "কিতাব-আল্-মাসালিক ওয়াল মামালিক" ( Books of Roads and Kingdoms) গ্রন্থে এটিকে "সেতু বান্ধাই" অর্থাৎ "সমুদ্র সেতু" বলে উল্লেখ করেছেন।
এরপর গঙ্গারাম গর্গ রচিত "এনসাইক্লোপিডিয়া অব্ দ্য হিন্দু ওয়ার্ল্ড" ( ১৯৯২) গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, প্রায় খ্রিস্টিয় পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত পায়ে হেঁটে এই সেতু পার হওয়া যেতো। আদ্রিয়ান রুম রচিত "প্লেসনেমস্ অব্ দ্য ওয়ার্ল্ড" (২০০৬) গ্রন্থ অনুসারে, ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে এক ব্রিটিশ মানচিত্রবিদ্ এটিকে "আদম সেতু" বলে মানচিত্রে চিহ্নিত করেন।
স্থানীয় মন্দিরের রেকর্ড অনুযায়ী, ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে প্রবল সাইক্লোনে সেতুটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। তার আগে পর্যন্ত এটি সমুদ্রের ওপর ভাসমান ছিল।
প্রায় ৪৮ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দীর্ঘ এবং ৩ কিলোমিটার চওড়া এই রামসেতুর বিষয়ে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ হলো:
"A Chain of shoals, coral reefs, a ridge formed in the region owing to thinning of the earths crust, a double tomblo, a sand spit, or barrier islands" শ্রীলঙ্কার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে বলা হয়, সেতুটির বয়স ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ বছর হতে পারে। তবে এটি প্রাকৃতিক, না মনুষ্যসৃষ্ট, তা তাঁরা বলতে পারেন না। কার্বন ডেটিং পরীক্ষায় রামসেতুর কোনো কোনো অংশের বয়স ৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার পুরোনো বলে জানা গেছে।
বিতর্ক দেখা দিয়েছে, রামসেতু প্রাকৃতিক, না মনুষ্যসৃষ্ট?
এ বিষয়ে "জিওলজিক্যাল সার্ভে অব্ ইণ্ডিয়া"-র প্রাক্তন ডাইরেক্টর এস. বদ্রীনারায়ণ জানিয়েছেন, এই পুরো রামসেতু জুড়ে প্রবাল গঠনের নিচে একটি ঝুরঝুরে বালির স্তর রয়েছে। তাই এটি প্রাকৃতিক নয়, এটি মনুষ্যসৃষ্ট। ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক চেলসা রোজ বলেছেন, বালির ওপর যে পাথরগুলি বসানো হয়েছিল, সেগুলি বালির চেয়ে পুরোনো। বালির বয়স ৪ হাজার বছর, কিন্তু পাথরের বয়স ৭ হাজার বছর।
সুতরাং, রামসেতু মনুষ্যসৃষ্ট এবং তা রামায়ণের সময়কালের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেতুর পাথরগুলিও বেশ রহস্যপূর্ণ, কারণ সেগুলি জলে ভেসে থাকে। জানা গেছে, এই পাথরগুলি হলো পিউমিস স্টোন অর্থাৎ ঝামা পাথর, আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে যা উৎপন্ন। আগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত লাভা যখন ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন তা পাথরের আকার নেয়। এগুলি তখন হয়ে যায় স্পঞ্জের মতো ছিদ্রযুক্ত। ছিদ্রে বাতাস থাকে, তাই সেগুলি জলে ডোবে না। তবে জলের মধ্যে থাকলে আস্তে আস্তে বাতাসের জায়গায় জল ঢুকে যায় এবং তখন ডুবে যায়।
তাই রামসেতুর ভাসমান পাথরগুলি এক এক করে ডুবে গেছে। অল্পকিছু অবশিষ্ট এখনো জলের ওপর ভেসে রয়েছে।
তবে রামসেতুর আশেপাশের বহুদূর পর্যন্ত কোনো আগ্নেয়গিরি নেই। তাহলে পাথরগুলি এলো কোথা থেকে? জানা গেছে, এই ধরণের পাথর পাওয়া যায় জ্বালামুখীর লাভা থেকে এবং সুতরাং সেখান থেকেই এইসব পাথরগুলি আনা হয়েছিল। তাই বলা যায়, রামসেতু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি নয়, এটি হাত দিয়ে কৃত্রিমভাবেই তৈরি করা হয়েছিল।
বাল্মীকি রামায়ণে বানর সেনাদের আমরা এই সেতু তৈরিতে দেখি। সাগরের বুকে এখনো ভাসমান এই রামসেতু রামায়ণের অস্তিত্বকেই জানান দিচ্ছে।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.