লালকেল্লার রং ছিল সাদা, নির্মাতার নাম নিয়েও রহস্য
দিল্লির বহু পরিচিত একটি স্থাপত্য "লালকেল্লা।"
লালকেল্লার ভেতরে রাখা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের একটি পাথরের ফলকে এর পরিচিতি দেওয়া হয়েছে, শাহজাহান (১৬২৮-১৬৪৮ খ্রি: ) ১৬৩৯ থেকে ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এটি নির্মাণ করান। বলা হয়, এর মূল স্থপতি ছিলেন ওস্তাদ আহমেদ লাহোরী। তৈরির সময় এর বিভিন্ন অংশে ব্যবহৃত হয়েছে চূনাপাথর। তাই প্রকৃতপক্ষে সাদাই ছিল এর প্রাকৃতিক রং।
পরবর্তীকালে এর ঔজ্জ্বল্য হারাতে থাকে এবং সেজন্য ব্রিটিশরা এই দুর্গটির দেওয়ালে লাল রং করে দেয়। আর এই উঁচু লাল দেওয়াল দিয়ে ঘেরা বলে লোকেরা একে বলতে শুরু করে "লালকেল্লা।" তখন থেকেই দুর্গটির এই লালকেল্লা নামটিই চালু আছে। মোগল আমলে এর নাম ছিল "কিলা-ই-মুবারক।" ব্রিটিশরা বলতো, "রেড ফোর্ট।" লালকেল্লা নিয়ে রহস্য আরও আছে। যেমন, মোগল সম্রাট শাহজাহান এই লালকেল্লা তৈরি করেন বলে প্রচলিত আছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এবার আলোচনা সেই নিয়েই।
এ বিষয়ে অক্সফোর্ডের বোডলিয়ান (Bodleian) গ্রন্থাগারে রাখা একটি ছবি কিন্তু বলছে, শাহজাহানের আগেও লালকেল্লা ছিল। ওই ছবিতে শাহজাহানকে এক পার্শিয়ান দূতকে "দেওয়ান-ই-আম"-এর মধ্যে অভ্যর্থনা জানাতে দেখা যাচ্ছে। ছবির নিচে তারিখ দেওয়া রয়েছে---১৬২৮ খ্রিস্টাব্দ। ছবিটি "উইকলি অব্ ইণ্ডিয়া"-র ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২ রা মার্চ সংখ্যার ১৩২ পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল। এবার আসুন মোগল ইতিহাসের পাতায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দে শাহজাহানের রাজ্যাভিষেক হয়েছিল। অথচ তখনও লালকেল্লার অস্তিত্ব রয়েছে। যেহেতু শাহজাহান ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসেন, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, লালকেল্লা তিনি তৈরি করতে পারেন না।
এছাড়াও লালকেল্লার ভেতরে রয়েছে আরও কতকগুলি প্রতীক। যেমন, লালকেল্লার প্রধান দরবার কক্ষ বলে পরিচিত খাসমহলে রয়েছে একটি রাজকীয় প্রতীক। প্রতীকটি হলো, দুটি তরবারি, যেগুলির হাতল জুড়ে রয়েছে পরস্পরের সঙ্গে। আর তরবারি দুটির বাঁকানো ফলা উঠে গেছে ওপরের দিকে---একটি ডাইনে, অন্যটি বাঁয়ে। তরবারি দুটির সংযুক্ত হাতলের ওপর রয়েছে একটি কলস, একটি পদ্ম কুঁড়ি আর সবার ওপরে ঝুলছে ন্যায় বিচারের প্রতীক---তুলাদণ্ড। সেই সঙ্গে এই খোদাই করা প্রতীকগুলির চারপাশে রয়েছে প্রাচীন সূর্য বংশীয় রাজাদের প্রতীক---সূর্য। এছাড়া তরবারি দুটির ডগায় রয়েছে দুটি শঙ্খ। আরও দেখা যায়, লালকেল্লার খাসমহলের প্রতিটি দরজায় রয়েছে হাতির পিঠে বসা মাহুতের প্রতিকৃতি।
এছাড়াও একটি খিলানে রয়েছে জ্বলন্ত সূর্য এবং তার পাশে প্রণব চিহ্ন "ওঁ।" এর ঠিক নিচেই আছে রাজকীয় প্রতীক।
এইসব প্রতীকগুলির মাঝে কিছু উর্দু অক্ষর রয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে মোগল আমলে লেখা হয় বলে স্পষ্ট বোঝা যায়।
আর লালকেল্লার দিল্লি দরওয়াজার দু'পাশে রয়েছে দুটি বড়ো হাতির মূর্তি। আবার লালকেল্লার ভেতরে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৈরি বলে প্রচলিত মোতি মসজিদের দুটি গম্বুজের মাঝের খিলানে রয়েছে কলার ছড়া। আর খিলানের ওপরে রয়েছে দুই ধারে পাঁচটি করে ফল সাজানো। দিল্লির এই লালকেল্লার প্রতীকগুলির সঙ্গে আশ্চর্যজনকভাবে মিল রয়েছে গোয়ালিয়র ও উদয়পুর দুর্গের।
বলা বাহুল্য, এই প্রতীকগুলির সবগুলিই হিন্দু সংস্কৃতির অঙ্গ। তাহলে লালকেল্লার প্রকৃত নির্মাতা কে? দেখা যাচ্ছে, পৃথ্বীরাজ চৌহানের সভাকবি চাঁদ বরদৈ-এর লেখা "পৃথ্বীরাজ রাসো"-তে রয়েছে এই সম্পর্কে তথ্য। তাতে রয়েছে, রাজপুত তোমর বংশের রাজা অনঙ্গপাল ৭৩৬ খ্রিস্টাব্দে একটি দুর্গ তৈরি করেন। তার নাম ছিল---"লালকোট", অর্থাৎ লালকেল্লা। তাহলেও প্রশ্ন, প্রাকৃতিকভাবে সাদা চূনাপাথরে তৈরি দুর্গ আবার "লাল" হয় কি করে? তাই রহস্য রয়েছেই। প্রশ্ন আরও রয়েছে। যেমন, দেখা যাচ্ছে, শাহজাহানের প্রায় আড়াই শো বছর আগে ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে তৈমুর লঙের লেখায় পুরোনো দিল্লির কথা রয়েছে। আর পুরোনো দিল্লির অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই লালকেল্লা।
তাছাড়া দুর্গের নিকাশি ব্যবস্থাও রাজপুত স্থাপত্য শৈলীর পরিচয় বহন করছে। আর লালকেল্লার সামনে দুটি প্রাচীন মন্দিরের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে এই এলাকা আগে হিন্দু অধ্যুষিত ছিল এবং হিন্দু স্থাপত্য লালকেল্লা ছিল বলেই কাছাকাছি এই মন্দির দুটি তৈরি হয়েছিল। মন্দির দুটির একটি হলো---লাল জৈন মন্দির এবং অপরটি গৌরীশঙ্কর মন্দির। এছাড়া পুরোনো দিল্লির অধিকাংশ মানুষ হিন্দু এবং এই এলাকার বেশির ভাগ বাড়িই হিন্দু রীতিতে তৈরি।
শেষ কথা বলেছেন স্যার এইচ. এম. ইলিয়ট ও জন ডাউসন, মধ্য যুগের মুসলমান ইতিবৃত্ত নিয়ে তাঁদের আট খণ্ডে লেখা গ্রন্থে। শেষ খণ্ডে স্যার এইম. এম. ইলিয়টের পর্যবেক্ষণে, ভারতে মুসলমান শাসনকালের ইতিহাস হলো এক উদ্দেশ্যমূলক জালিয়াতি। লালকেল্লা তৈরির নেপথ্যের ইতিহাস কি সেই রকমই? লালকেল্লার নিদর্শনগুলি থেকেই প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.