একাত্তরে গণহত্যায় রক্তাক্ত যুগীশো পালশা গ্রাম

History of India
bloody history of jogisho and palsha massacre in 1971
পূর্ববঙ্গের পশ্চিম অঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের অন্তর্গত হিন্দু অধ‍্যুষিত দুটি গ্রাম---যুগীশো ও পালশা। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে পাশের পবা থানার দারুসা গ্রামে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হয়েছিল। আর এর জেরে তখন যুগীশো গ্রামের পাঁচ-ছয়টি হিন্দুর বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর দু'পক্ষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল একটি শান্তি কমিটি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে এই যুগীশো ও পালশা গ্রাম দুটি ফের রক্তাক্ত হয়ে উঠলো ১৯৭১-এর ১৬ ই মে'র সকালে।

ওইদিন স্থানীয় রাজাকারদের সাহায্যে ৬টি ভ‍্যানে গ্রামে আসে পাক বাহিনীর একটি দল। খবর পেয়ে প্রাণে বাঁচতে আতঙ্কিত গ্রামের লোকজন আশ্রয় নেয় কাছাকাছি জঙ্গলে। তবুও রেহাই মেলে নি। ডাকপিয়ন আব্দুল কাদের গ্রামের লোকজনদের লুকিয়ে থাকা ঠিকানার সন্ধান দিয়ে দেন রাজাকারদের। এরপর রাজাকাররা গ্রামের লোকজনদের খুঁজে নিয়ে এসে হাজির করে যুগীশো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারা শান্তি কমিটির নাম করে ডেকে আনে। যাঁরা ধরে পড়েননি, তাঁরা ভারতের দিকে পালিয়ে যান। এখানে হিন্দু ও মুসলমানদের বেছে আলাদা করা হয়। তারপর ৪২ জন নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দুকে কাছাকাছি একটি কুঁড়ে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং গুলি করে হত্যা করা হয়।

bloody history of jogisho and palsha massacre in 1971
মেশিনগানের গুলি খেয়েও কিছুজন বেঁচেছিলেন তখনও। তাদের বেয়নট দিয়ে নির্মমভাবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয়।
এরপর মৃতদেহগুলি পাশের একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ফেরার পথে আশেপাশের ফাঁকা বাড়িগুলিতে লুটপাট চালানো হয়। ঘটনাটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো, হয়নি। মৃত মানুষদের তখনও অনেক দুর্ভোগ বাকি ছিল। আর সেটা শুরু হলো স্বাধীন বাংলাদেশে। কি ঘটেছিল এরপর? আসছি সে প্রসঙ্গেই।
bloody history of jogisho and palsha massacre in 1971
১৯৯৬-এ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের আমলে যুগীশো গণ কবরের জন্য পাঁচ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয় রাজশাহী জেলা পরিষদের তরফে। এরপর সেখানে নেমপ্লেট অর্থাৎ নামফলক লাগানো হয়। এই অধিগৃহীত জমির পাশেই ছিল আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলীর জমি। ২০০৮-এ রুস্তম আলী আওয়ামী লীগের নওপাড়া ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হোন এবং নামফলক ভেঙে গণকবরের জমি দখল করে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। আর সেখানে তৈরি হয় সুফী তৈয়ব আলী খানকাহ শরীফ।
এতে আপত্তি জানান স্থানীয় মানুষজন। এরপর রুস্তম আলী ওই খানকাহ শরীফের গায়ে গণকবরের নেমপ্লেটটি লাগিয়ে দেন। বিচারের বাণী কেঁদে যায় নীরবে নিভৃতে‌।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.