সাগরদ্বীপ অনেকের কাছে শাকদ্বীপ। এককথায় সাংখ্য দর্শন প্রণেতা চন্দ্রবংশোদ্ভূত কপিল মুনির আশ্রমের জন্য আজও বিখ্যাত সাগরদ্বীপ। প্রতি বছর সাগরদ্বীপের গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় জমান গোটা ভারতের মানুষ। সাগরদ্বীপ তখন হয়ে ওঠে এক টুকরো ভারতবর্ষ। প্রাকৃতিক কারণেই ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটেছে সাগরদ্বীপের। গঙ্গানদীর মোহনায় বঙ্গোপসাগরের উপকূল ভাগ জুড়ে একসময় এই সাগরদ্বীপ বা শাকদ্বীপ ছিল দৈর্ঘ্যে প্রায় সাতশো মাইল এবং চওড়ায় প্রায় চারশো মাইল। এই বিশাল দ্বীপটি আয়তনে ছিল একটি দেশের সমান। সেসময় পৃথিবীতে ছিল সাতটি দ্বীপ---জম্বুদ্বীপ, প্লক্ষ দ্বীপ, শাল্মলী দ্বীপ, কুশ দ্বীপ, কৌঞ্চ দ্বীপ, শাকদ্বীপ ও পুষ্কর দ্বীপ। ভারতবর্ষের অবস্থান ছিল জম্বুদ্বীপে।
এই শাকদ্বীপবাসী ছিলেন ঋষি ব্যাসদেব। পরবর্তীকালে ভারতের গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্ত ছিলেন এই দ্বীপের বাসিন্দা। এই দ্বীপটি গঙ্গারিডির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। গঙ্গারিডির আরেকটি পরিচয় ছিল কলিঙ্গ দেশ হিসেবে। তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল কলিঙ্গ দেশ, ১) গঙ্গারাঢ়ী কলিঙ্গ: ব্রহ্মদেশ থেকে সুবর্ণরেখা নদী পর্যন্ত।
২) মধ্য কলিঙ্গ: সুবর্ণরেখা নদী থেকে উড়িষ্যার চিল্কা হ্রদ পর্যন্ত এবং
৩) মুখ্য কলিঙ্গ: উড়িষ্যার চিল্কা হ্রদ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের গোদাবরী নদী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা।
এই মুখ্য কলিঙ্গের রাজধানী ছিল গঙ্গানগর, যা বিস্তৃত ছিল হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া থেকে বর্ধমান জেলার গাংপুর পর্যন্ত।
তিনভাগে বিভক্ত এই কলিঙ্গ দেশের জনগণ ছিলেন চন্দ্রবংশোদ্ভূত বাঙালি। তাঁদের আরেকটি পরিচয় ছিল, তাঁরা ছিলেন আজকের দিনের মতো মণিপুর, সিন্ধু, গুজরাট ও কুর্গের মতো এক বর্ণ এবং এক জাতিভুক্ত, যার নাম গঙ্গারাঢ়ী কলিঙ্গ জাতি। মেগাস্থিনিস, ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাঙ, ইৎ-সিং প্রমুখ বিদেশি পর্যটকদের লেখায় আমরা এই গৌরবময় কলিঙ্গ জাতি ও দেশটির বিবরণ পাই। শুধু তাই নয়, এই গঙ্গারিডিদের বীরত্বের কথা শুনে তাঁর দিগ্বিজয় অসমাপ্ত রেখে বিপাশা নদীর এপার থেকেই স্বদেশের পথে ফিরে গিয়েছিলেন গ্রীক বীর আলেকজাণ্ডার। এই দ্বীপটির জনসংখ্যা ছিল প্রায় তিন কোটি। এর মধ্যে গৌড় বা বৈদিক ব্রাহ্মণ ছিলেন সংখ্যায় প্রায় এক লক্ষেরও বেশি।
গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সময় প্রাকৃতিক কারণেই এই দ্বীপটি ধ্বংস হয়ে যায়। তখন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত এখানকার প্রজাদের তাঁর অধীনে থাকা ভারতের বিভিন্ন অংশে পুনর্বাসন দেন। পরবর্তীকালে রাজা হয়ে মৌর্য সম্রাট অশোক প্রায় লক্ষাধিক মানুষের রক্তের বিনিময়ে কলিঙ্গ জয় করেন। এটি বহু চর্চিত ইতিহাস। অশোকের কলিঙ্গ আক্রমণের কারণ সম্পর্কে আমরা অন্য একটি লেখায় আলোচনা করবো। আজ শুধু শাকদ্বীপবাসীদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গেই আলোচনায় আসি। যাই হোক্, শাকদ্বীপে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর সেখানকার নাগরিকদের ভারতের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলেন গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত "বিক্রমাদিত্য।" এরপর কলিঙ্গ যুদ্ধে বন্দি প্রায় লক্ষাধিক কলিঙ্গবাসী বাঙালিকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন দিয়েছিলেন সম্রাট অশোক।
এইসব পুনর্বাসন পাওয়া উদ্বাস্তুরা ভারতের যেসব স্থানে বসতি গড়ে তুলেছিলেন, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলেমিশে বিভিন্ন জাতি নামে পরিচিত হয়ে যান। যেমন, "বতর্মান কালের অন্ধ্রের রাজু (রাপুত), রেড্ডি (রাঢ়ী) ও গৌড়গণ, উড়িষ্যার করণ ও খণ্ডাইতগণ, মাদ্রাজের তামিল নাইডুগণ, কেরল ও মালব দেশের রাজপুত বা নায়ারগণ, কর্ণাটের গৌড়গণ, কুর্গ ও মহারাষ্ট্রের রাজপুতগণ, সিন্ধু ও গুর্জরগণ এবং পাঞ্জাবের জাঠগণ সকলেই পূর্বে বাংলাদেশের শাকদ্বীপ, রাঢ় অথবা গৌড়ের কলিঙ্গ বা মাহিষ্য ছিল। কেহ বা অশোকের কলিঙ্গযুদ্ধের ফলে রাঢ় ও গৌড় হইতে উদ্বাস্তু হইয়া আবার কেহ শাকদ্বীপ ধ্বংসের ফলে উদ্বাস্তু হইয়া ঐ সকল দেশে বসতি স্থাপন করিয়াছিল।"
---বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস, দ্বিতীয় খণ্ড: ধনঞ্জয় দাস মজুমদার, পৃষ্ঠা-১৪০.
আর এইসব উদ্বাস্তু নাগরিকদের সহযাত্রী হয়ে যে লক্ষাধিক গৌড় ব্রাহ্মণেরাও সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছিলেন গোটা ভারতবর্ষে। পরবর্তীকালে তাঁরাই গড়ে তোলেন কাশ্মীর, কাশী, উজ্জ্বয়িনী, মিথিলা, কনৌজ, জয়পুর প্রভৃতি স্থানে বিভিন্ন নামী সংস্কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। বর্তমান সময়ের দ্বিবেদী, ত্রিবেদী, চতুর্বেদী পদবির ব্রাহ্মণরা একসময় ছিলেন শাকদ্বীপবাসী। পরে পরিস্থিতির কারণে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসতি গড়ে তুলেছেন। এককথায়, বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতি ছড়িয়ে রয়েছে গোটা ভারতময়। তাই আজকের প্রাদেশিকতাবাদ ইতিহাসের চোখে ধোপে টেকে না। সবটাই বাংলা ও বাঙালির অস্থি-মজ্জায় শিকড়ের সঙ্গে জড়িত।
তাই খ্রিস্ট পূর্ব ষষ্ঠ শতকে গঙ্গারাঢ়ীগণ যে এক বর্ণ ও এক জাতি গঠন করে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে-ধনে-সামাজিক ঐক্যবদ্ধতায় যে একটি উন্নত দেশ গঠন করতে পেরেছিল, তা আজকের দিনে তথাকথিত প্রাদেশিকতাবাদের মুখে ঝামা ঘষে দেবার মতোই উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
I am a history aficionado, wandering along the path in search of history, archaeology and folk culture. This journey is aimed at constructing an undiscussed chapter of the forgotten Bangla with the information obtained from field survey.