তুর্কি নাচনে থেমে গিয়েছিল বাংলার সংস্কৃতি
প্রাচীনকালে ধর্মই ছিল মানুষের জীবনযাত্রার মাপকাঠি। ধর্মের সঙ্গেই তখন জড়িয়ে ছিল রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে সবকিছুই। মধ্যযুগ পর্যন্ত এই ধর্ম ধারণ করে রেখেছে মানুষকে। আর তুর্কি শাসন সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছিল "তুর্কি নাচন।" কথাটা আজও প্রবাদের মতো শোনায়। বাংলায় তুর্কি শাসনের প্রথমপর্বটা ছিল ধ্বংসকাল। খ্রিস্টিয় ১২০২ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় কোনো রকম সাংস্কৃতিক অগ্রগতির নিদর্শণ দেখা যায় না। এই সার্ধ শতাব্দী সময়কাল ধরে বাংলা সংস্কৃতি জগতে এই শূন্যতাই তুর্কি অপশাসনের ফল। ১২০২ খ্রিস্টাব্দে ইকতিয়ারউদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির নদীয়া আক্রমণের পর বাংলায় তুর্কি অনুপ্রবেশ শুরু। তারপর ১২০২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে খিলজি, তুঘলক (১২২৭-১২৮৭ খ্রি: ) এবং বলবন শাসকদের আমলে (১২৮৬-১৩২৮ খ্রি: ) বাংলায় চলে ঘন ঘন শাসক বদলের পালা। সেনরাজ লক্ষ্মণসেনের নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত উত্তরবঙ্গের লক্ষ্মণাবতী, মধ্য বাংলার সপ্তগ্রাম, মধ্য পূর্ববঙ্গের সোনারগাঁও এবং পূর্ববঙ্গের চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে তুর্কি থেকে বলবন বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এরপর সুফি-ফকির-দরবেশের দল এসে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ইসলাম শাসিত এলাকায় বিধর্মীদের মাঝে স্বধর্মের প্রচার করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। এই সময় স্থানীয় হিন্দু শাসকদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়ে মৃত্যুর পর "গাজী" অর্থাৎ ধর্মযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়ে গেলেন। বাংলার বহু জায়গায় এরকম শহীদ গাজীর মাজার আছে, যার নেপথ্যে রয়েছে এরকম যুদ্ধের কাহিনী। তবে বাংলার তুর্কি শাসকদের মধ্যে যেরকম হানাহানি লেগেছিল, তার ফলে দেশে অরাজকতা লেগেই ছিল। গোটা বাংলা হয়ে উঠেছিল যুদ্ধক্ষেত্র।
পরে শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের আমলে (১৩৪২-১৩৫৭ খ্রি: ) কিছুটা স্থিতাবস্থা আসে বাংলায়। কিন্তু ইলিয়াস শাহী বংশের শাসকরাও ক্রমশ ডুবে যান অপরিমিত বিলাসে। আর এই সুযোগে হিন্দুরা নতুন করে জেগে ওঠে। এর মধ্যে এক হিন্দু ---রাজা গণেশ, ভাতুয়ার রাজা হয়ে বসেন। পরে তাঁর পুত্র যদু যদিও জালালুদ্দীন নাম নিয়ে ইসলামধর্ম গ্রহণ করে সিংহাসনে বসেন, কিন্তু এ বংশ বেশিদিন টেকেনি। ফের বাংলার শাসকপদে বসেন ইলিয়াস শাহী বংশ এবং ১৪৪২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তাঁরা শাসকপদে বহাল ছিলেন। এরপর ১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত হাবসী পাইকদের অরাজকতার শাসনকালে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে গৌড়-বঙ্গের বাঙালির জনজীবন।
এরপর ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে আরব মক্কার শরীফ বংশোদ্ভূত হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রি: ) হোন বাংলার শাসক। হুসেন শাহের মৃত্যুর পর বাংলার শাসক হোন তাঁর পুত্র নসরৎ শাহ (১৫১৯-১৫৩২ খ্রি: )। হুসেন শাহী জমানা শেষ হলে বাংলা আফগানী সুলতানদের দখলে আসে এবং ১৫৫৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার শাসনভার তাঁদের হাতেই ছিল। এরপর আসে মোগল যুগ এবং তা চলে ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
১২০২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তুর্কি নাচনে বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি থেমে গিয়েছিল। তুর্কি অত্যাচারের একটি বর্ণনা পাওয়া যায় খ্রিস্টিয় সপ্তদশ শতকে রামাই পণ্ডিতের লেখা "শূন্যপুরাণ"-এর "নিরঞ্জনের রুষ্মা" অংশে। সেখানে রয়েছে উড়িষ্যার কোণারক মন্দির ধ্বংসের কথা, যেমন, ---
"ব্রাহ্মণের জাতিধ্বংস হেতু নিরঞ্জন।
সাম্বাইল জাজপুরে হইয়া যবন। ।
দেউল দোহারা ভাঙ্গে গো-হাড়ের ঘায়।
হাতে পুঁথি কর্যা যত দেয়াসী পালায়। ।
ভালের তিলক যত পুঁছিয়া ফেলিল
ধর্মের গাজনে ভাই যবন আইল। ।
দেউল দোহারা যত ছিল ঠাঁই ঠাঁই।
ভগ্ন করি পাড়ে তারে না মানে দোহাই। ।"
মিথিলার কবি বিদ্যাপতির "কীর্তিলতা" কাব্যেও দেখা যায় এক বর্ণনা। সেখানে বলা হয়েছে, প্রায় দুই থেকে আড়াইশো বছর পাশাপাশি বাস করার পরেও খ্রিস্টিয় পঞ্চদশ শতকে দেখা যাচ্ছে, পথচলতি হিন্দুদের ধরে তুর্কিরা বেগার বানায়, বামুনের ছেলেকে দিয়ে গোমাংস বয়ে আনায়, তার পৈতে ছিঁড়ে দেয়, তিলক মুছে দেয়, রোয়া ধানে মদ চোলাই করে খায়, মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে, হাটে তোলা তোলে, নিচু স্তরের তুর্কিও উচ্চ বর্ণের হিন্দুকে যাচ্ছেতাই অপমান করে।
দেখা যাচ্ছে, ভারতে মুসলমানরা শুধুমাত্র সামরিক জয়লাভ করেছে, কিন্তু সামাজিক ও ধর্মীয় জয় আনতে পারে নি। বিজয়ী মুসলমানরা যেদেশেই গেছে, খুব তাড়াতাড়ি সেখানকার অধিবাসীরা ইসলামধর্ম নিয়েছে, কিন্তু ভারতে হয়েছে তার ব্যতিক্রম। প্রায় পাঁচশো বছর মুসলমান শাসনের পরেও হিন্দু জাতি, হিন্দু ধর্ম সগৌরবে টিকে থাকলো এবং আশ্চর্যজনকভাবে ভারতের শতকরা ৩০ জন মানুষও ইসলাম কবুল করলো না। আশ্চর্য হলেও এটাই সত্যি।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.