গ্রীকদের গঙ্গারিডাই থেকে জাগছে বীর বাঙালির গৌরবময় গাঙ্গেয় বাংলা রাষ্ট্র
বিপাশা নদীর এপারে আলেকজাণ্ডারের সেনাবাহিনী। বিপাশা পেরিয়ে ওপারে আঘাত হানতে কিছুতেই রাজি নয় তারা। বরং তারা পৈতৃক প্রাণটুকু নিয়ে দেশে ফিরতে চায়। কারণ, আলেকজাণ্ডারের শিবিরে খবর এসে পৌঁছেছে, বিপাশার ওপারে প্রবল শক্তিশালী রাজা উগ্রসেন-মহাপদ্মনন্দ তাঁর বিশাল পদাতিক, অশ্বারোহী ও হস্তিবাহিনী নিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। পুরুর সঙ্গে ভয়ংকর যুদ্ধে গ্রীক সৈন্যদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তাতে বিপাশা পেরোলেই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। তাই জেনেশুনে ক্লান্ত সৈন্যরা আর মরতে রাজি নয়। অতএব ম্যাসিডোনিয়ার দিকেই ফিরলেন আলেকজাণ্ডার। বিপাশার ওপারে যে শক্তিশালী রাজ্যটি ছিল, গ্রীক ঐতিহাসিকদের লেখায় তার নাম "গঙ্গারিডাই।" অনেকে এর বাংলা অর্থ করেছেন---"গঙ্গারাষ্ট্র।" গাঙ্গেয় উপত্যকা জুড়ে বিস্তৃত বলে আমরা এর নাম দিচ্ছি "গাঙ্গেয় বাংলা।" সোজা কথায়, "গাঙ্গেয় বাংলা রাষ্ট্র।" ড: দীনেশচন্দ্র সরকার এ বিষয়ে বলছেন, " এই নামটি গঙ্গানদীর নাম থেকে উদ্ভূত এবং ঐ নদীর তীরবর্তী কোন গাঙ্গেয় জাতিবিশেষ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রীক ভাষায় এর একবচন Gangarides এবং বহুবচন Gangaridai ( লাতিন Gangaridae)। এই বহুবচন শব্দটি থেকে 'গঙ্গাহৃদয়', 'গঙ্গারাঢ়', 'গঙ্গারাষ্ট্র' প্রভৃতি ভারতীয় নাম বের করার চেষ্টা নিতান্তই হাস্যকর। গঙ্গা অর্থাৎ Ganges থেকে নামটি Ganrid হওয়া স্বাভাবিক ছিল; কিন্তু কোথা থেকে একটা ' r' জুটিয়ে Gangarid হল? প্রাচীন গ্রীক-লাতিন লেখকরা বহুক্ষেত্রে গঙ্গাতীরবাসী এই জাতির নামের স্থলে গোলমাল করে Gangaridai ( আলেকজান্দারের অনুগামী গ্রীকদের কাছে সুপরিচিত বর্তমান পাকিস্তানের গন্ধার জাতি) বলতেন এবং এই নামটির প্রভাবেই Gangarid নামে 'r'-এর আগম হয়েছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আমরা জানি, আলেকজান্দারের ভারত আক্রমণের সময় অর্থাৎ খ্রীস্ট-পূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর শেষভাগে Gangarid জাতি বিশেষ পরাক্রান্ত ছিল। কিন্তু ভারতীয় সাহিত্যে গঙ্গাতীরবাসী গাঙ্গ বা গাঙ্গেয় নামক কোনো জাতির উল্লেখ নেই। এ থেকে বোঝা যায়, ভারতীয়গণের কাছে এই জাতি অন্য নামে পরিচিত ছিল। খ্রীস্টীয় দ্বিতীয় শতকের মধ্যভাগে রচিত Ptolemy-র ভূগোলে স্পষ্ট বলা আছে যে, গঙ্গানদীর পাঁচটি মোহনার দ্বারা বিধৌত দেশে অর্থাৎ গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে Gangarid জাতি বাস করত। আবার চতুর্থ-পঞ্চম শতাব্দীতে কালিদাস তাঁর 'রঘুবংশ' (৪/৩৬)-এ ঠিক ঐ জনপদে বঙ্গজাতির বাসস্থান নির্দেশ করেছেন। এ থেকে মনে হয়, গ্রীকেরা 'বঙ্গ' (অথবা 'বঙ্গা: ' অর্থাৎ বঙ্গজাতি) নামের সঙ্গে 'গঙ্গা' নামটি গুলিয়ে ফেলে একটি গাঙ্গেয় জাতির অস্তিত্ব প্রচার করে এবং পরে আবার সেটাকে 'গন্ধার' নামের সঙ্গে গোলমাল করে Gangarid নাম সৃষ্টি করে।"
---পাল-পূর্ব যুগের বংশানুচরিত, সাহিত্যলোক, কলকাতা, জুন ১৯৮৫, পৃ: ৭৬
এখন দেখা যাক, এর অবস্থান কোথায়। মেগাস্থিনিস বলছেন, গঙ্গানদী উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত এবং গঙ্গারিডাই রাজ্যের পূর্ব সীমানায় সমুদ্রে মিলেছে। টলেমি বলছেন, গঙ্গানদীর মোহনায় সমগ্র এলাকা জুড়ে রাজ্য গঙ্গারিডাই। গঙ্গারিডাই রাজ্যের ভেতর দিয়ে গঙ্গা নদীর শেষ অংশ প্রবাহিত হয়েছে। গঙ্গার পাঁচটি মুখ সংলগ্ন প্রায় গোটা এলাকা দখল করে রেখেছিল গঙ্গারিডাইগণ। রাজধানী ছিল গাঙ্গে বন্দর। টলেমির বিবরণ অনুসারে, বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত গঙ্গার প্রধান দুটি শাখার মধ্যবর্তী অঞ্চলটিকে গঙ্গারিডাই বলে চিহ্নিত করা যায়। অন্যদিকে, "পেরিপ্লাস" অনুসারে, গাঙ্গে দেশ বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উড়িষ্যা উপকূলের পূর্বে অবস্থিত।
প্লিনি বলছেন, গঙ্গার দক্ষিণ অংশের মানুষদের গায়ের রঙ ছিল রোদে পোড়া কালো। আলেকজাণ্ডারের কাছে খবর ছিল, বিপাশার পূর্বদিকে Agrammes বা Xandrames নামে এক মহাপ্রতাপশালী রাজা ২ লক্ষ পদাতিক, ২০ হাজার অশ্বারোহী, ২ হাজার যুদ্ধরথ ও ৪ হাজার হস্তি বাহিনী নিয়ে আলেকজাণ্ডারের মুখোমুখি হতে তৈরি। ভারতের মাটিতে আলেকজাণ্ডারের সৈন্যরা এর আগে এত বড়ো বাহিনীর মুখোমুখি হয় নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই গ্রীক বাহিনীর মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল।
৩২৬ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ নাগাদ সময়ে আলেকজাণ্ডারের ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেই সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের অধিকার এবং এরপর প্রায় ৩০৫ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ নাগাদ ব্যাবিলনের গ্রীকরাজ সেলুকাস নিকাটার আক্রমণ করে বসেন তাঁর রাজ্যের পশ্চিম অঞ্চল। এ থেকে বোঝা যায়, গ্রীক ঐতিহাসিকদের উল্লিখিত এগ্রাম্মেস আর কেউ নন, তিনি পুরাণ বর্ণিত নন্দবংশীয় রাজা মহাপদ্মনন্দ। নন্দরাজ মহাপদ্মনন্দের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র এবং তিনি ছিলেন গঙ্গারিডাই, কিংবা প্রাসি অথবা গঙ্গারিডাই ও প্রাসি নামে দুটি জাতি কিংবা এই দুটি জাতি নিয়ে গঠিত একটি জাতির রাজা।"প্রাসি" হচ্ছে প্রাচ্য দেশ অর্থাৎ পূর্ব ভারত। বর্তমান উত্তর প্রদেশ এলাকা ছিল মধ্যদেশ, তার পূর্বে ছিল প্রাচ্য, পশ্চিমে পাশ্চাত্য, দক্ষিণে দাক্ষিণাত্য এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্বে ছিল উদীচ্য দেশ। এককথায় প্রাচ্য বলতে ভারতের পূর্বাঞ্চলের সমস্ত দেশকেই বোঝাতো। গঙ্গারিড বা গাঙ্গেয় নামে প্রাচ্য দেশের একটি জাতিকে গ্রীক ঐতিহাসিকরা বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এর কারণ কি?
তবে কি নন্দরাজ বংশ গঙ্গারিড বা বঙ্গ জাতীয় ছিল? কিন্তু কিভাবে কোন্ সূত্রে নন্দরাজারা গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ থেকে পাটলিপুত্রে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হোন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিশাখ দত্তের "মুদ্রারাক্ষস" নাটকে নন্দবংশকে সম্ভ্রান্ত বলে দাবি করা হয়েছে। আর পরবর্তীকালে নন্দবংশ ধ্বংস করে সেখানে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তাঁর মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কিন্তু সেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে গঙ্গারিড জাতির রাজা বলা হচ্ছে না, যদিও বঙ্গদেশ মৌর্য শাসনাধীনে ছিল। উপরের আলোচনা থেকে বোঝা গেল, গ্রীক ঐতিহাসিকরা যাকে "গঙ্গারিড" বলেছেন, আসলে সেটি হলো "বঙ্গ, আরও স্পষ্ট করে বললে "গাঙ্গেয় বাংলা।" টলেমির ভূগোল অনুসারে, এই "বঙ্গ" জাতির রাজধানী ছিল "গঙ্গে' নগরী এবং অন্যদিকে, পাটলিপুত্র ছিল অন্য রাজার রাজধানী। পাটলিপুত্রে আমরা নন্দবংশের রাজধানী ছিল বলে ইতিপূর্বে জেনেছি।
তবে কি এই "গঙ্গে" মানে গঙ্গাসাগর? কেননা, গঙ্গাসাগরকে দুটো নামেই অভিহিত করা যায়---"গঙ্গা" ও " সাগর।" গঙ্গা মোহনার কিছু জায়গায় শুঙ্গ, কুষাণ ও গুপ্তযুগের নিদর্শণ আবিষ্কৃত হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত, গঙ্গার অনেক মোহনার ওপরেই বিভিন্ন সমৃদ্ধ নগরী ছিল। তবে বাংলায় গুপ্ত আমলের কিছু আগে গঙ্গারিড ও পাটলিপুত্র যে আলাদা দুটি রাজার অধীনে ছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায় টলেমির আগে গাইয়াস জুলিয়াস সোলিনাস (Gaius Julius Solinus) নামে খ্রিস্টিয় তৃতীয় শতাব্দীর প্রথমার্ধের জনৈক লেখকের লেখায়। সেখানে বলা হচ্ছে, গঙ্গারিড জাতির সৈন্যবাহিনীতে ছিল ১ হাজার অশ্বারোহী, ৭০০ হাতি ও ৬ হাজার পদাতিক। অপরদিকে, পাটলিপুত্রের প্রাচ্য অর্থাৎ পাটলীপুত্রীয় জাতির রাজার সৈন্যবাহিনী ছিল এর থেকে বেশি, যেখানে ছিল ৩০ হাজার অশ্বারোহী, ৮ হাজার হাতি ও ৬০ হাজার পদাতিক। গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্ব তীরে অবস্থিত ছিল গঙ্গারিডাই এবং অন্যদিকে গঙ্গা-ভাগীরথী থেকে পশ্চিমে গোটা গাঙ্গেয় উপত্যকা জুড়ে ছিল প্রাচ্য রাষ্ট্র। এই প্রাচ্য রাষ্ট্রের মধ্যে ছিল তাম্রলিপ্ত (হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী)।
অন্যভাবে বলা যায়, বিপাশা নদীর পূর্ব তীরে ছিল দুটি শক্তিশালী রাষ্ট্র--- প্রাচ্য ও গঙ্গারিডাই। প্রাচ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র এবং গঙ্গারিডাইয়ের রাজধানী ছিল "গঙ্গে"নগর। খ্রিস্ট পূর্ব চতুর্থ শতকের তৃতীয় পাদের কাছাকাছি সময়ে প্রাচ্য ও গঙ্গারিডাই রাষ্ট্র দুটি একসঙ্গে মিলে যায় বলে জানাচ্ছেন নীহাররঞ্জন রায়। আর তাই ডিওডোরাস বলছেন, প্রাচ্য ও গঙ্গারিডাই একই দেশ। সোমদেব ভট্ট রচিত "কথাসরিৎসাগর"-এ যে নন্দরাজাদের ধনের পরিমাণ বলা হয়েছে ৯৯ কোটি স্বর্ণখণ্ড, তার বড়ো অংশটি এসেছিল সুজলা সুফলা গাঙ্গেয় উপত্যকার গঙ্গারিডাই অর্থাৎ গাঙ্গেয় বাংলা থেকেই। মেগাস্থিনিস ও স্ট্র্যাবোর সাক্ষ্য অনুসারে, সে সময় ভাগীরথী-গঙ্গার উজান বেয়ে সমুদ্র বন্দর থেকে প্রাচ্য ও গঙ্গারিডাই রাষ্ট্রের তদানীন্তন রাজধানী পাটলিপুত্র পর্যন্ত যাতায়াত করতো বিভিন্ন বাণিজ্য তরী। আর নদীপথে এই গঙ্গা-ভাগীরথী বেয়েই বাংলার সঙ্গে উত্তর ভারতের যোগাযোগ ছিল। কারণ, এটিই ছিল প্রাগৈতিহাসিক পথ।
ড: নীহাররঞ্জন রায় জানাচ্ছেন, কুমার নদীর মোহনায় অবস্থিত ছিল এই "গঙ্গে" বন্দর। এই কুমার নদী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে প্রবাহিত হয়েছে, যেমন---কাঁসাই, ভাগীরথীর সাগরমুখ, হরিণঘাটা মুখ, পদ্মা-মেঘনার মিলিত মুখ, বুড়িগঙ্গা মুখ। বতর্মান বাংলাদেশের কুমার তালক মণ্ডল ও গড়াই নদীর কাছে ফরিদপুরের অদূরে কুমারখালি নদী কুমার নদীর ইঙ্গিত বহন করছে। বর্তমান কুমার নদী পদ্মা উৎসারিত মাথাভাঙা নদী থেকে বেরিয়ে এখনকার গড়াই নদীর সঙ্গে মিলে বিভিন্ন অংশে গড়াই, মধুমতী, শিলাইদহ, বালেশ্বর নাম নিয়ে হরিণঘাটায় গিয়ে সমুদ্রে মিশেছে। যাই হোক, গঙ্গা নদীর তীরে সেই নদীর নামেই ছিল গঙ্গে বা গাঙ্গে বন্দর। এক্ষেত্রে পেরিপ্লাস, টলেমি ও কালিদাসের "রঘুবংশ"-এর বাংলার বিবরণ সমার্থক। এই গঙ্গে বন্দর থেকে সূক্ষ্ম মসলিন যেতো বিদেশে।
গ্রীক ঐতিহাসিকরা নন্দরাজাদেরই গঙ্গারিডির শ্রেষ্ঠ রাজা বলেছেন। গ্রীকদের বর্ণিত প্রাসি বা প্রাসিয়াই বা প্রাচ্য বা মগধ এবং গঙ্গারিড বা গাঙ্গেয় বাংলা ছিল মহাপরাক্রমশালী নন্দরাজ মহাপদ্মনন্দের অধীনে। বাংলা-বিহার যে নন্দরাজাদের অধীনস্থ ছিল, গ্রীক বিবরণেই তা স্পষ্ট। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাত মহকুমার দেগঙ্গা থানার চন্দ্রকেতুগড়ে এক উন্নত প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শণ পাওয়া গিয়েছে। অনেক গবেষকের মতে, এটিই হলো পেরিপ্লাস ও টলেমি বর্ণিত গঙ্গেনগরী। মাটি খুঁড়ে এখান থেকে মিলেছে মৌর্য (৩২২খ্রি: পূ: ) ও শুঙ্গ (১৭৮ খ্রি: পূ: ) যুগের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণ।
জানা গিয়েছে, এখানকার শেষ হিন্দু রাজা ছিলেন চন্দ্রকেতু। তাঁর নামেই এলাকার নাম "চন্দ্রকেতুগড়।" বহু দেবালয় ছিল বলে তাঁর আমলে এই অঞ্চলের নাম ছিল "দেউলিয়া।" এখনো বেড়াচাঁপা সংলগ্ন গ্রামটির নাম রয়েছে "দেউলিয়া।"
খ্রিস্ট পূর্ব চতুর্থ শতকের মধ্যভাগ থেকে খ্রিস্ট পূর্ব তৃতীয় শতক পর্যন্ত ছিল গঙ্গারিড অর্থাৎ গাঙ্গেয় বাংলা রাষ্ট্রের বিকাশ সীমা। গবেষকদের মতে, বাংলাদেশের চারটি বড়ো জেলা---ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা এবং পশ্চিমবঙ্গের দুই চব্বিশ পরগণা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জুড়ে ছিল এই গঙ্গারিডাই বা গাঙ্গেয় বাংলা রাষ্ট্র। দেরিতে হলেও বীর বাঙালির গৌরবময় গঙ্গারিডাই অর্থাৎ গাঙ্গেয় বাংলা রাষ্ট্র জাগছে।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.