মমতার কাছে একটি দশক হারিয়ে এ বার প্রকৃত পরিবর্তন চায় বাংলা

Column
bengal wants real change after losing a decade to mamata banerjee

-সঞ্জু ভার্মা

প্রথম পর্ব
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ, বামেদের ভোটে টান পড়া, হিন্দুদের একজোট হওয়া এগুলি হলো পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানের প্রধান কয়েকটি কারণ। তবে সবচেয়ে বড় কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কয়েকটি প্রকল্প, যেমন দারিদ্রসীমার নীচের মহিলাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা, এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। যদিও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর একাধিক জনমুখী প্রকল্পকে নষ্ট করেছেন, যেমন আয়ুষ্মান ভারত এবং কিষান যোজনা। কেন্দ্রীয় প্রকল্প কার্যকর করতে মমতা অস্বীকার করলেও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বঞ্চিত না হন, সেটা সুনিশ্চিত করেছে মোদী সরকার।

ধর্মীয় মেরুকরণ ও বিজেপি নিয়ে নানা কথা আলোচনা হচ্ছে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, গত লোকসভায় পষ্চিমবঙ্গে যে ১৮টি আসন বিজেপি পেয়েছিল, তার মধ্যে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে সংখ্যালঘুর সংখ্যা বেশ কম। ভোটারদের বড় একটা অংশ জাতপাত ও তুষ্টিকরণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির বাইরে তাকাতে চাইছেন। উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল ছাড়াও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হুগলির মতো আসন ২০১৯-এ জিতেছে বিজেপি। সম্প্রতি ঠাকুরনগর ও কোচবিহারে অমিত শাহের বিশাল জনসভা এবং নবদ্বীপ ও বীরভূমে জেপি নাড্ডার সভার আয়তন থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বাড়তে থাকা প্রভাব সম্পর্কে ধারণা করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা থেকে উপকৃত হয়েছে বাংলার অন্তত দু কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষ যারা গ্রামাঞ্চলে ও আধা শহরে থাকেন। উপকৃত শহরের ১ কোটি ছয় লক্ষ মানুষও। বাংলায় মোট ৩ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন এই প্রকল্পে, যেখানে প্রতি পরিবারে অন্তত এক জনের একটি বেসিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় বাংলায় উপকৃত হয়েছেন ৭৮ লক্ষ ৪৭ হাজার পরিবার। তাঁরা বিনামূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার পেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের পরে যা সর্বোচ্চ। এর থেকে প্রমাণিত যে মোদী সরকার বৈষম্যের রাজনীতি করে না। ২০১৮ সালে গ্রাম বাংলার ৫৫ শতাংশ এলপিজি ব্যবহার করে, যা ২০১৫ সালে ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান দিয়েছে কাউন্সিল ফর এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার। ২০২১ -এ তা আরও বাড়ছে।
মোদী সরকারের প্রকল্পে ২০১৬-১৭ সালে ৪৫, ৬৭১ টি বাড়ি তৈরি হয়েছে। কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শোভা পায় না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন আচরণ সত্ত্বেও স্বচ্ছ ভারত মিশনের মতো কেন্দ্রীয় জনমুখী প্রকল্পের উপকার থেকে যেন বাংলার মানুষ বঞ্চিত না হন তা প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। অন্যদিকে, মমতার ট্র্যাক রেকর্ড খুবই হতাশাজনক। গত দশ বছরে বাংলায় কোনও বড় শিল্প স্থাপন হয়নি। দুর্গাপুর, ফলতা, সল্টলেকের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নষ্ট হতে বসেছে। আর মুর্শিদাবাদ, মালদা, গোসাবা, ব্যারাকপুর, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘাঁটি গেড়েছে বোমা শিল্প। মোদী সরকারের কয়েকটি প্রকল্পকে মমতা নিজের প্রকল্প বলে চালানোর চেষ্টা করলেও দক্ষতার অভাব ও দুর্নীতির কারণে সেগুলি চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। কাটমানি, সিন্ডিকেট-সংস্কৃতি, ঘুষ ও স্বজনপোষণের ফলে সবই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সফল কয়েকটি প্রকল্পকে অনুকরণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মমতা। যেমন, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধিকে অনুকরণ করে মমতা করতে গেছিলেন কৃষক বন্ধু প্রকল্প। কিন্তু এই প্রকল্প ঠিক ভাবে শুরুই করতে পারেননি তিনি। অন্য দিকে, ১২ কোটি কৃষককে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষান প্রকল্পে। বাংলায় ৮০ শতাংশ কৃষিজীবী পরিবারের কিষান ক্রেডিট কার্ড নেই, কারণ জমির মালিকানায় অস্বচ্ছতা আছে। কী ভাবে আবেদন করবেন তাও তাঁরা জানে না, কারণ তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল সরকারের কর্মদক্ষতার অভাব ও গা জোয়ারি মনোভাবের জন্য ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২১৫ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। এঁদের অধিকাংশই ধান ও আলুচাষী। গত বছর তৃণমূল সরকার ৪২ হাজার টন আলু বাইরে থেকে কেনে যাতে বাজারে স্থিতাবস্থা আসে ও চাষীরা ন্যায্য মূল্য পান। কিন্তু আলুর দাম আকাশ ছোঁয়, ৪০ টাকা প্রতি কেজি হয়। মজুত করা আলু ঠিক সময়ে কেন ছাড়া হলো না, তার কোনও কৈফিয়ত মমতা দেননি।
কন্যাশিশু ও বালিকাদের অল্প বয়সে বিয়ে আটকানো ও শিক্ষাদানে সাহায্যের জন্য তৃণমূল সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প আসলে একটি আইওয়াশ। ২০১৭ সালে সিএজি এই প্রকল্প সম্পর্কে বিশদে জানতে চাইলে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কারণে সে সব তথ্য দিতে তাদের অপারগত জানায় রাজ্য সরকার। জেলা স্তর থেকে পাওয়া বিশ্নেষণ অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদে ৩৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। ২০০৫-২০০৬ সালের ৩৩ শতাংশের চেয়ে থেকে যা বেশি। তার মানে পরিষ্কার যে বাল্যবিবাহ রুখতে কন্যাশ্রী ব্যর্থ হয়েছে। ১২ হাজার কিমি রাস্তা সারাইয়ের আর একটি প্রকল্প পথশ্রী কোনওদিন চালুই হয়নি। কেন্দ্রীয় সফল প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনাকেই নতুন নাম দিয়ে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারতের অনুকরণে মমতা চালু করেছেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। মমতার প্রকল্প মাত্র ১৫৮০টি হাসপাতালের জন্য, আর আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় আছে ১৮, ২৩৬ হাসপাতাল। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্প। স্বাস্থ্য সাথী হাসপাতালে ভর্তির আগের ও পরের খরচ কাভার করে না। কিন্তু আষুষ্মান ভারত হাসপাতালে ভর্তির আগের তিন দিন ও পরের ১৫ দিনকে কাভার করে। পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ওষুধের খরচও দেয়।
তৃণমূল সরকারের আর একটি প্রকল্প জলধারা, যা ২০১৭ সালে আনা হয়েছিল, তা চালু হয়নি। এই প্রকল্পটি দেশি নৌকোকে মেশিনের সাহায্যে নিরাপদ করার ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য প্রস্তাবিত ছিল। ওই প্রকল্পের কী হলো, তা কেউ জানে না, কোনও সরকারি পরিসংখ্যান নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার একের পর এক প্রকল্প শুধু ঘোষণা করে গেছেন, কিন্তু সেগুলো কার্যকর করার কোনও চেষ্টাই করেনি।
আর একটি উদাহরণ দিই। ২০১৬ সালে স্মার্ট সিটি প্রকল্প বাতিল করে দেয় টিএমসি সরকার। পরে তারা গ্রীন সিটি প্রজেক্ট নিয়ে আসে। যা আদতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পের রূপান্তর। ২০১৪ সালে টিএমসি বলে ১০টি শহরকে স্মার্ট সিটির আওতায় উন্নয়ন করা হবে। পরে তা কমিয়ে ৭ শহর করা হয়। ২০১৭-২০১৮ সালে এর জন্য ৭২০ কোটি টাকা অনুমোদন করে। কিন্তু এই প্রকল্প বা কেন এত বেশি টাকা অনুমোদন হলো সেই নিয়ে কোনও তথ্য কোথাও নেই। এই ধরনের স্বচ্ছতার অভাব তৃণমূল সরকারের নিয়মিত ঘটনা।
বাংলার দুই জেলা মুর্শিদাবাদ ও মালদা জাতীয় নিরাপত্তার নিরিখে দেশের মধ্যে অন্যতম দুটি বিপজ্জনক জেলা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ন্যাশন্যাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি মুর্শিদাবাদ থেকে পাঁচ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। তারা কোচি, মুম্বই ও দিল্লিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে খবর। ধৃতদের মধ্যে এক জন ছিল রোহিঙ্গা ও জাকির নায়েকের অনুগামী। সে ইসলামের জন্য যুদ্ধ করায় বিশ্বাসী। (চলবে)
bengal wants real change after losing a decade to mamata banerjee

লেখক অর্থনীতিবিদ ও বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র। তাঁর লেখা ‘Truth & Dare: The Modi Dynamic’ একটি বেস্টসেলিং বই। এখানে লেখকের মতামত তাঁর ব্যক্তিগত

(লেখাটি thedailyguardian.com এ প্রকাশিত)

Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.