স্নিগ্ধ প্রকৃতি ও পবিত্র তীর্থস্থানের মিলনস্থল, বিহারীনাথ পাহাড়
রাইজ়িং বেঙ্গল নিউজ় ব্যুরো:
লকডাউনে বাড়িতে বসে বসে বিরক্ত হচ্ছেন? ভাবছেন, কবে লকডাউন শেষ হবে, আর আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন, যখন কোনো বাধ্য-বাধকতা থাকবে না, যখন সময় গুনে বাইরে বেরোতে হবে না, যখন ব্যস্ত জীবন একদিকে রেখে প্রকৃতির কোলে গিয়ে আবার আপনি আপনার সমস্ত দুশ্চিন্তা, সমস্ত বিষাদগ্রস্ততা একপাশে রেখে সময় কাটাতে পারবেন।
অবশ্যই ওই সময় আবার ফিরে আসবে। তখন আপনি নিশ্চয়ই যান্ত্রিক জীবনের আড়ালে প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে চাইবেন। এদিকে, এও নিশ্চিত যে, লকডাউনের পরে আপনার পকেটেও একটু চাপ পড়বে। ফলে, ইচ্ছে হলেও, অনেক জায়গায়তেই ঘুরতে যেতে পারবেন না। তবে, আজ আমি এমন এক জায়গার নাম বলব, অতি সাশ্রয়ে প্রকৃতির স্পর্শ পেয়ে যাবেন।
আজ যে স্থানের নিয়ে বিবরণ দিতে চলেছি, তার নাম হল বিহারীনাথ পাহাড়। তবে, এখানে যে শুধু পাহাড়ই আছে তা নয়, আছে আরও অনেক কিছু। আমি নিশ্চিত, আপনি সেখানে অবশ্যই পাবেন মনের শান্তি।
"ঠিক কোথায় এই বিহারীনাথ পাহাড়? "
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অবস্থিত রানীগঞ্জ থেকে সব থেকে কাছে পড়বে বিহারীনাথ। তবে, এই এলাকা মোটেই রানীগঞ্জে অবস্থিত নয়, বাঁকুড়ায় অবস্থিত। বিহারীনাথ পাহাড় বাঁকুড়া শহর থেকে ৫৭ কিমি দূরে এবং রানীগঞ্জ থেকে মাত্র ২৪ কিমি দূরে অবস্থিত।
"কেমন এই বিহারীনাথ এলাকা? "
এই এলাকায় এমন, যেখানে আপনার মনের শান্তি তার ঠিকানা খুঁজে পাবে। সকালের শুরুতেই পাখির কিচির মিচির, কানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হালকা হালকা বাতাস, আপনাকে আলাদাই অনুভূতি দেবে।
বিহারীনাথ পাহাড় বাঁকুড়া জেলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং পূর্ব ঘাট পর্বতমালার দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ, উচ্চতা ১৪৮০ ফুট। এখানে গেলে আপনি শুধু যে প্রকৃতির স্পর্শ পাবেন তাই নয়, পাবেন আধ্যাত্মিক অনুভূতি। হ্যাঁ, লেখা একটি শব্দও মিথ্যা নয়। এই এলাকা বাঁকুড়ার সবচেয়ে ঘন জঙ্গলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে আপনি, বিহারীনাথ মন্দিরও দর্শন করতে পারবেন। এই মন্দির বাংলার পশ্চিমাঞ্চল এবং কখনও বাংলার সীমানা পেরিয়েও সবচেয়ে জনপ্রিয় শিব মন্দিরের মধ্যে অন্যতম। আপনি সারা বছরই এখানে শিব মন্দিরে দর্শনার্থীদের দেখা পাবেন, সারা বছর ধরেই বহু দর্শনার্থীদের আগমন হয় এই মন্দিরে।
“কিভাবে পৌঁছাবেন? ”
আকাশ পথে
বাঁকুড়ার সবচেয়ে নিকটবর্তী এয়ারপোর্ট হল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। আকাশপথে কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার দুরত্ব ২১২ কিমি। বাঁকুড়ায় নেমে আপনি ক্যাব, বাস বা ট্রেন মাধ্যমে বাঁকুড়ায় পৌঁছে যাবেন। বাঁকুড়ায় পৌঁছে সেখানে আপনি ক্যাবের মাধ্যমে বিহারীনাথ পৌঁছে যাবেন।
ট্রেনে করে
রেলপথে কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার দুরত্ব ২৩৩ কিমি। সাধারণ দিনে, অনায়াসেই আপনি বাঁকুড়ায় পৌঁছানোর ট্রেন পেয়ে যাবেন। বাঁকুড়া থেকে বিহারীনাথ পাহাড়ে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে ক্যাব ভাড়া করতে হবে।
সড়ক পথে
সড়কপথেও আপনি ভালোভাবেই বাঁকুড়া পৌঁছে যেতে পাবেন। বাঁকুড়া সড়কপথে খুব ভালো ব্যবস্থা-সহ কলকাতা, আরও পার্শ্ববর্তী এলাকা যেমন আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, পানাগড় এবং রাজ্যের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে যুক্ত। বাঁকুড়ায় পৌঁছে আপনি শুধু ক্যাব ভাড়া করলেই পৌঁছে যাবেন বিহারীনাথ পাহাড়ে।
"বিহারীনাথ পাহাড়"
এককথায় এই এলাকাকে "জল-জঙ্গল-পাহাড়" বলা যেতে পারে। মাঝে দন্ডায়মান পাহাড়, একদিকে দামোদর নদী, আর পাহাড় জুড়ে সবুজের আবরণ, শহর জনজীবনের থেকে আলাদা সে এক পরিবেশ। বর্ষাকালের এই পাহাড়ের ক্যানভাসকে প্রকৃতির তুলি এক আলাদাই সবুজ রঙে রাঙিয়ে দেয়। চারিদিক সবুজাভ হয়ে যায়। বৃষ্টির জলে সিক্ত পাতা, জলের বিন্দু ঝরতে থাকা ডালপালা আলাদাই মাত্রা এনে দেয় এই ঘন জঙ্গলকে। বসন্তের রঙে আবার উজ্জ্বল রঙের রেঙে যায় এই ক্যানভাস। রকমারি রঙে আবৃত হয়ে যায় এই এলাকা। বসন্তকালে এই এলাকায় পাবেন পলাশের দেখা, সঙ্গীরূপে পাবেন শিমুলকেও। মনে হবে যেন, বিষাক্ত পরিবেশ থেকে শত ক্রোশ দূরে কোনো কমলা ছাউনির তলায় আত্মার শুদ্ধিকরণ হচ্ছে। শুধু দেখেই যে সময় কেটে যাবে, তা নয়, আপনি যদি পাহাড়ে চড়া পছন্দ করেন তাহলে তো আপনি জানবেন যে, আপনি ঠিক জায়গাতেই এসে পৌঁছে গেছেন। একটু সমতল এলাকা থেকে হালকা চড়া এলাকা, তারপরে পাহাড়ের জঙ্গলের বুক চিরে শক্ত পাথর অতিক্রম করে পৌঁছে যাবেন পাহাড়ের নির্জন কোলে, যেখানে আশেপাশের কোনো ব্যস্ততা আপনাকে বিরক্ত করতে পারবে না, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন নীচের দিকে ফেলে আসা অপরূপ দৃশ্য।
"বিহারীনাথ মন্দির"
পাহাড়ের কোলেই আধ্যাত্মিক অনুভূতির জন্য রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বিখ্যাত মন্দির "শিব মন্দির"। প্রকৃতি প্রেমীরা উপরিলাভরূপে পাবেন শিব মন্দিরের দর্শন। পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে এই মন্দির। দর্শনার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই মন্দির স্থিত "শিবলিঙ্গ" তথা "বিহারীনাথ" খুবই জাগ্রত। ভগবান শিবের নামানুসারেই আসলে এই পাহাড়ের নামকরণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা বিশেষ করে "মহা শিবরাত্রি"-র সময়ে এই মন্দিরে আসেন।"শ্রাবণ" ও "মহা শিবরাত্রি"-এর মাসে এই মন্দির পবিত্র তীর্থস্থানে পরিণত হয়।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.