স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রতিষ্ঠাতা সাইদুর রহমান প্যাটেল
রাইজিং বেঙ্গল ঢাকা ব্যুরো: ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল এক অনন্য ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বহির্বিশ্বে জনমত সৃষ্টি এবং তহবিল সংগ্রহে অসামান্য ভূমিকা ছিল এই দলের ফুটবলারদের।
ঐতিহাসিক মুজিব নগর সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গড়ে তোলার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা ছিল তৎকালীন তরুণ সংগঠক ও ফুটবলার সাইদুর রহমান প্যাটেলের। তিনি ছিলেন একাধারে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের উদ্যোক্তা, সংগঠক এবং খেলোয়াড়।
মূলত বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতির ব্যানারে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গড়ে উঠে। তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের কাছে ভাবনার কথা জানান প্যাটেল।
প্রিন্স স্ট্রিটের অফিসে বসে সব শুনে কামারুজ্জামান এবং এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল এসেম্বলি) শামসুল হক কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের কাছে। তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করে বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতির অনুমোদন দিয়ে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনের নির্দেশনা দেন। আট নম্বর থিয়েটার রোডের কার্যালয়ে ১৩ জুন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন প্যাটেলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ১৪ হাজার ভারতীয় রুপি।
ঐ অর্থ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গড়ে তোলার পথ সুগম করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক রেখে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনকে পৃষ্ঠপোষক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতির সভাপতি হন শামসুল হক। পরবর্তীতে তিনি ব্যস্ত হয়ে গেলে আরও দুজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাদের একজন আশরাফ আলি চৌধুরী (এমএনএ) ও এনএ চৌধুরী (ক্রীড়াঙ্গনের কালু ভাই-এমপিএ)।
সাধারণ সম্পাদক ছিলেন লুৎফর রহমান, কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ মোহসীন, সদস্য এমএ হাকিম (এমএনএ), এমএ মতিন (এমপিএ), গাজী গোলাম মোস্তফা (এমপিএ), শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (এমপিএ) ও মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া। উদ্যোক্তা ও সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল। কোচ হিসেবে ননী বসাক এবং ম্যানেজার ছিলেন তানভীর মাজাহার তান্না।
কলকাতা এবং ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের অনুমোদন লাভ। অনুশীলনের জন্য কলকাতার পার্কসার্কাস মাঠ প্রাপ্তি এবং খেলোয়াড়দের থাকার জন্য কুমিল্লার জনৈক আকবরের কর্নানী মেনশন এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ১৭ নম্বর ফ্ল্যাট বিনা ভাড়ায় থাকার সুযোগ নিশ্চিত হওয়ার পর ফুটবলারের খোঁজে নেমেছিলেন প্যাটেল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতির ব্যানারে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল হবে। বাংলাদেশের সকল ফুটবলারকে এই দলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।’
শাহজাহান, লালু এবং সাঈদ ঢাকা থেকে কলকাতা পৌঁছানোর আগেই শেখ আশরাফ আলি, আলী ইমাম, প্রতাপ শংকর হাজরা, খোন্দকার মো: নূরুন্নবী, হাকিমকে খুঁজে বের করেন প্যাটেল। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের কার্গো যোগে কমিটির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, একজন সদস্য এবং প্রতাপ আগরতলা গিয়েছিলেন ফুটবলার আনতে। ২৭ দিন পর যোগ দিয়েছিলেন জাকারিয়া পিন্টু। এক এক করে ৩৫ জন খেলোয়াড় হয়েছিল স্বাধীন বাংলা দলে।
২৫ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। খেলার আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে আপত্তি ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়দের দাবির মুখে সে আপত্তি ধোপে টেকেনি। বিদেশের মাটিতে ফুটবলাররাই বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।
কৃষ্ণনগরের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। গোল করেছিলেন শাহজাহান এবং এনায়েত। ৮ আগস্ট মোহনবাগান মাঠে গোষ্ঠ পাল একাদশের কাছে ৪-২ গোলে হেরেছিল স্বাধীন বাংলা দল। ১৪ আগস্ট রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কলকাতা স্পোর্টিং ফেডারেশন একাদশের বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতেছিল। নরেন্দ্রপুরে চতুর্থ ম্যাচেও জয় পায়। বিহারে মুজাফফরপুরের কাছে হারলেও, সিয়ান ও পূর্ণিয়ায় জয় ছিল। বেনারস মেয়র একাদশ এবং মুম্বাই কুপারেজ স্টেডিয়ামে মুম্বাই স্পোর্টস উইক একাদশের সাথে শেষ ম্যাচ খেলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।
তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের ভাষ্য মতে মুক্তিযোদ্ধা ফান্ডে ১৬ লাখের কিছু বেশি ভারতীয় রুপি জমা দিয়েছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। উল্লেখ্য ৩৫ জন ফুটবলার শেষ পর্যন্ত ছিলেন না। অনেকে মুক্তিযুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন। সাইদুর রহমান প্যাটেলও সরাসরি যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে দুজন অধিনায়কত্ব করেছেন। জাকারিয়া পিন্টু ১০টি এবং তিনটি ম্যাচে আইনুল হক ছিলেন অধিনায়ক।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ৩৫ ফুটবলার হলেন: জাকারিয়া পিন্টু (অধিনায়ক), আইনুল হক (অধিনায়ক), প্রতাপ শংকর হাজরা (সহ-অধিনায়ক), শাহাজাহান আলিম, কায়কোবাদ, তসলিম উদ্দিন আহমেদ, আলী ইমাম, সাইদুর রহমান প্যাটেল, শেখ আশরাফ আলি, খোন্দকার মো: নূরুন্নবী, নওশের, এনায়েত, কাজী মো. সালাউদ্দিন (ছদ্দ নাম-তুর্জ হাজরা), লালু, অমলেশ সেন, বিমল, হাকিম, খোকন, সুভাষ, লুৎফর, মজিবুর, শিরু, সাঈদ, পেয়ারা, নিহার, গোবিন্দ, অনুরুদ্ধ, সাত্তার, বিরু, মোহন, সুরুজ, মাহমুদ, সঞ্জীব, খালেক ও মোজাম্মেল।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.