রক্তের প্রলেপে রাঙা এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

History of India
remembering jallianwala bagh massacre revisiting the horrors of the fateful day after 102 years
রাইজ়িং বেঙ্গল নিউজ় ব্যুরো: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। তারিখটা ছিল ১৩ই এপ্রিল, সাল ছিল ১৯১৯, রক্তে রাঙা হয়ে গেছিল ৬-৭ হেক্টরের এলাকার জালিয়ানওয়ালাবাগ। আজ শতবর্ষপূর্ণ হল সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের। ব্রিটিশ আঙ্গিকে প্রায় ৪০০ ও ভারতীয় আঙ্গিকে প্রায় হাজারের মতো সাধারণ মানুষ চিৎকারে কম্পিত হয়েছিল জালিয়ানওয়ালাবাগ।

“জালিয়ানওয়ালাবাগে জড়ো হওয়ার কারণ”

পাঞ্জাবি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে অবিভক্ত পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে জড়ো হয়েছিলেন ১৫-২০ হাজারের মতো মানুষ। জালিয়ানওয়ালাবাগে জড়ো হওয়ার পিছনে আরেক উদ্দেশ্য ছিল রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। একই সঙ্গে সত্য পাল ও ডঃ সাইফুদ্দিন কিশ্লের নির্বাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন।

“হত্যাকাণ্ডের পটভূমি”

১৯১৪ সালে হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে ১৯১৯ সালে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশরাজ প্রতিশ্রুতি দেয় যে, ব্রিটিশরাজের অধীন দেশগুলি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে, পরে তারা স্বায়ত্তশাসনপাবে। কিন্তু, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইতি পড়লেও ইংরেজরা তাঁদের প্রতিশ্রুতি না রেখে, তাঁদের সৈন্যের হয়ে অংশ নেওয়া সমস্ত ভারতবাসীকে তাঁদের গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। ফলত, আর্থিক মন্দা, দুর্ভিক্ষ, মহামারীর প্রকোপ দেখা দেয়। ফলে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন ভারতবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্রিটিশরাজ একদিকে ভারতবাসীকে শান্ত করার জন্য প্রবর্তন করে “মন্টেগু- চেমসফোর্ড সংস্কার আইন” ও আরেকদিকে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব কঠোরভাবে দমন করার জন্য প্রবর্তন করে “রাওলাট আইন”। এই রাওলাট আইন প্রবর্তনের মাধ্যমেই জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের বীজ পোঁতা হয়েগেছিল।
রাওলাট আইনের প্রতিবাদে একদিকে গান্ধীজী অহিংস ও সত্যাগ্রহের পথ ধরে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলেও, পাঞ্জাব যাওয়ার পথে গান্ধীজীকে গ্রেফতার করা হয়। ফলত আহমেদাবাদের শ্রমিকগণ ও পাঞ্জাবের সাধারণ মানুষ ক্ষুধ হয়ে ওঠে। এরপরে গান্ধীজীকে মুক্তি দেওয়া হলেও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে না আসায়, দুই রাজনৈতিক নেতা তথা সত্য পাল ও ডঃ সাইফুদ্দিন কিশ্লকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার।

“কী এই রাওলাট আইন? ”

ব্রিটিশ কর্তৃক জারি হওয়া এক বিশেষ আইন। যার মাধ্যমে খর্ব হয়েছিল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, যার মাধ্যমে জারি হয়েছিল বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার এবং অনির্দিষ্ট সাজা দেওয়ার আইনি সুযোগ।

“কী হয়েছিল সেদিন? ”

১৩ই এপ্রিল জড়ো হওয়া মানুষদের মধ্যে সিংহভাগই ছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের। কিছু মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য, কিছু মানুষ উৎসব পালন উপলক্ষ্যে জমা হয়েছিলেন। হঠাৎই জেনারেল ও’ ডায়ারের নেতৃত্বে জালিয়ানওয়ালাবাগ ঘেরাও করে ব্রিটিশ সৈন্য। একটানা ১০ মিনিট ধরে চলতে থাকে ১৬৫০ রাউন্ড গোলাবর্ষণ। কিছু বোঝার আগেই ঐ নারকীয় হত্যাকাণ্ডে জালিয়ানওয়ালাবাগেই প্রাণ হারায় শয়ে শয়ে মানুষ। কিছু মানুষ দেওয়াল বেয়ে উঠে কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে ওঠেন, আবার কেউ গোলাবর্ষণ থেকে বাঁচতে কুয়োতে ঝাঁপ দেওয়ালেই শ্রেয় মনে করে।

“কত মানুষকে বলি হতে হয়েছিল এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের? ”

ব্রিটিশ কর্তৃক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে প্রায় ৪০০-এর মতো সাধারণ মানুষ বলি হয়েছিলেন। কিন্তু, ভারতীয় তদন্ত অনুযায়ী প্রায় ১ হাজারের মতো মানুষ বলি হয়েছিলেন।

“জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড একটি “লজ্জাজনক ক্ষত”

২০১৯ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডকে “লজ্জাজনক ক্ষত” হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তিনি জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, “১৯৯৭ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ সফরে গিয়েছিলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সেখানে গিয়ে তিনি উপলব্ধি করেন যে, আমাদের সঙ্গে ভারতের ইতিহাস খুব একটা সুখকর ছিল না”।

“প্রতিক্রিয়া”

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সমগ্র দেশ শিহরিত হয় এবং ইংরেজ কর্তৃক নেওয়া এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে ধিক্কার জানায় সমগ্র দেশবাসী। একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, উইন্সটন চার্চিল, মহাত্মা গান্ধীও জনসমক্ষে ধিক্কার জানান। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশদের দেওয়া “নাইট” উপাধি ত্যাগ করেন। সুরেন্দ্রনাথ এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “এই ঘটনা ভারতে মহাজুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং এই আগুন ভারতের চারিদিকে ছড়িয়ে সবার হৃদয়কে আন্দোলিত করেছিল”। এদিকে সি. এফ. এন্ডুজ এই এই ঘটনাকে “কসাইখানার গণহত্যা” সমতুল্য বলে নিন্দা করেন।

“ডায়ারের পরিণতি”

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ভার দেওয়া হয় “হান্টার কমিশন” -এর ওপর এবং জেনারেল ও’ ডায়ারকে ১৯২০ সালে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। তিনি “অমৃতসরের কসাই” নামে কুখ্যাতি লাভ করেন। পরে ১৯২৭ সালে ইংল্যান্ডের সমারসেট কাউন্টিতে সেরিব্রাল হেমারেজের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।

“বর্তমানের পাতায় জালিয়ানওয়ালাবাগ”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে “জালিয়ানওয়ালাবাগ-কে পুনরায় জনসাধারণের উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোভিড-১৯ –এর প্রকোপের কারণে আপাতত জালিয়ানওয়ালাবাগ উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.