উল্কি থেকে অলংকার

History of India
discovery of jewelry from tattoos
আগুনের আবিষ্কার হবার পরেই মানুষ নিজের গায়ে ছ‍্যাঁকা দিয়ে উল্কি এঁকেছে। আমাদের দেশের প্রাচীন মানুষেরা উল্কি পরতেন, এখন নতুন করে ট‍্যাটু আঁকছে। প্রাচীনকালে উল্কি পরতেন ব্রিটেনের ব্রাইটনরা, অষ্ট্রেলিয়ার মাউরিরা, আমেরিকার রেড ইণ্ডিয়ানরা। উল্কি ছিল তাদের কাছে অলংকার। পরবর্তীকালে যখন ধাতুর আবিষ্কার হলো, তখন তৈরি হলো ধাতুর অলংকার। তবে মাঝে মাঝে পোড়ামাটির অলংকার তৈরি হতো। অলংকারের আরেক নাম "গহনা" এবং তা থেকে "গয়না।" "গাত্রাভূষণ" থেকে এসেছে গহনা বা গয়না শব্দ। মানুষকে আকৃষ্ট করতে অলংকার বা গয়নার জুড়ি নেই। প্রাচীন গুহাচিত্রেও দেখা যায়, গয়না পরা নর-নারীর ছবি। শুধু মানুষ নয়, দেবতাদেরও অলংকার প্রিয় ছিল, বিশেষ করে বিষ্ণুর। তাই তো বলা হয়েছে, "অলংকারপ্রিয় বিষ্ণু।"
মেয়েদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হচ্ছে গয়না। গয়নার বাক্স হচ্ছে মেয়েদের শৌখিন বস্তু। কত রকমের যে গয়না ছিল মেয়েদের! পা থেকে মাথা পর্যন্ত বিভিন্ন গয়না আছে। পায়ের মল, কোমরের বিছে, বাহুতে বাজুবন্ধ, কব্জিতে চুড়ি, আঙুলে আংটি, গলায় চন্দ্রহার, কপালে টিকলি, নাকে নাকছাবি, কানে কানপাশা-দুল-সীতাদুল, মাথায় ক্লিপ---এ সবই গয়না। বিজয়সেনের নৈহাটি লিপিতে রয়েছে মুক্তাখচিত হার ও মহানীলরক্তাক্ষমালার কথা এবং দেওপাড়া প্রশস্তি থেকে জানা যাচ্ছে, রাজবাড়ির চাকরদের গৃহিণীরাও হার, কণাঙ্গুরী, মালা, মল, সোণার চুড়ি, দামি পাথরের তৈরি ফুল পরতেন।"রামচরিত" থেকে জানা যাচ্ছে, হীরে বসানো বিভিন্ন অলংকার, রত্নখচিত ঘুঙুর, মুক্তো, মরকত মণি, নীলকান্ত মণি, চূণীসহ বিভিন্ন রত্নের কথা। শ্রীহর্ষের "নৈষধচরিত"-এ দময়ন্তির বিয়েতে যে সব গয়নার উল্লেখ রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে বলা হচ্ছে, সখিরা দময়ন্তির কপালে পরালেন মন: শিলার তিলক, কপালে সোণার টিপ, দু'কানে মণিকুণ্ডল, ঠোঁটে আলতা, চোখে কাজল, গলায় সাতলহর মুক্তোর মালা, দু'হাতে শাঁখা ও সোণার বালা, পায়ে আলতা।
চর্যাপদে কুক্করীপাদের একটি গানে উল্লেখ রয়েছে, কানে গয়না পরে গৃহবধূর ঘুমোনোর কথা। যেমন, ---
"আঙ্গণ ঘরপণ সুন বিআতী।
কানেট চোরে নিল অধরাতী। ।"
অর্থাৎ, কানের গয়না কানে পরেই ঘুমিয়েছিল ঘরের বৌ, মাঝরাতে চোর এসে চুরি করে নিয়ে গেল গয়না।
শবর-শবরীদের জীবনযাত্রার উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে শবরপাদের একটি গানে, সেখানে বলা হচ্ছে, ---
"উঁচা উঁচা পাবত তহিঁ বসহি সবরী বালী।
মোরঙ্গী পীচছ পরহিণ সবরী গিবত গুঞ্জরী মালী। ।"
অর্থাৎ, লোকালয় থেকে দূরে উঁচু পাহাড়ে শবর-শবরীদের বাস। শবরী গলায় পরেন গুঞ্জামালা, কোমরে জড়ান ময়ূরের পালক, কানে কুণ্ডল।
খ্রিস্টিয় তৃতীয় শতক নাগাদ রচিত ভরতমুনির নাট‍্যশাস্ত্রে রয়েছে, ---
"গৌড়ীনামলকপ্রায়ং সশিখাপাশবেণিকম।"
অর্থাৎ, গৌড়ীয় নারীদের মাথায় কোঁকড়ানো চুল আর সেই চুলের বেণির শেষের দিকটা শিখার (টিকি বা চৈতন) মতো মুক্ত।
দামোদরদেবের চট্টগ্রাম লিপিতে মেয়েদের চোখে কাজল পরার ইঙ্গিত রয়েছে। এছাড়া মদনপালের মনহলি লিপিতে মেয়েদের প্রসাধনের কাজে কর্পূর ব‍্যবহারের ইঙ্গিত আছে এবং নারায়ণপালের ভাগলপুর লিপিতে মেয়েদের প্রসাধনী দ্রব্য হিসেবে রঙের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে।
মেয়েদের সঙ্গে প্রসাধনের বিষয়ে পুরুষরাও অনেক সময় পাল্লা দিতেন। বাৎস্যায়নের "কামসূত্র" গ্রন্থে দেখা যাচ্ছে, পুরুষরা হাতে লম্বা লম্বা নখ রাখতেন এবং সেই নখে রঙ লাগাতেন। নারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই যে এই ব‍্যবস্থা, তা বলাই বাহুল্য।
নারায়ণপালের ভাগলপুর লিপি ও কেশবসেনের ইদিলপুর লিপিতে দেখা যাচ্ছে, মেয়েরা গলায় ফুলের মালা এবং মাথায় চুলের খোঁপায় ফুল গুঁজে রাখতেন। এছাড়া নারায়ণপালের ভাগলপুর লিপিতে উল্লেখ রয়েছে, বুকের বসন সরে যাওয়ায় লজ্জায় আনতনয়না নারী গলার ফুলের মালা দিয়ে কিছুটা লজ্জা ঢাকছেন।
বিশ্বরূপসেনের সাহিত্য পরিষদ লিপিসহ সমসাময়িক অন‍্যান‍্য লিপি থেকে জানা যাচ্ছে, বিবাহিতা নারীরা নদী কিংবা দীঘিতে স্নানের পর প্রতি সন্ধ্যায় সাজগোজ করতেন।
রাজশেখর তাঁর "কাব‍্যমীমাংসা" গ্রন্থের তৃতীয় অধ‍্যায়ে বলছেন, ---
"আদ্রার্দ্রচন্দন কুচার্পিত সূত্রহার:
সীমন্তচুম্বিসিচয়: স্ফুটবাহুমূল: ।
দূর্বাগ্রকাণ্ড রুচিরাস্বগুরূপভোগাদ্
গোড়াঙ্গনাসু চিরমেষ চকাস্তু বেষ: । ।"
অর্থাৎ, বুকে ভিজে চন্দন, গলায় সুতোর হার, সিঁথি পর্যন্ত আনত মাথার কাপড়, অনাবৃত বাহুমূল, গায়ে অগুরু মাখা, শরীর যেন দুর্বাদলের মতো শ‍্যামবর্ণ---সব মিলিয়ে এই হচ্ছে গৌড়ের মেয়েদের বেশভূষা। আজও মেয়েদের মধ্যে এই বেশভূষা লক্ষ্য করা যায়। ইতিহাসের পথ বেয়ে এখন সেলাই করা পোশাকের প্রচলন ঘটেছে। তবে অলংকার বা গয়নার বিশেষ হেরফের হয়নি। আগেও যেসব গয়না প্রচলিত ছিল, এখনো তা আছে। আর গয়নার প্রতি আকর্ষণ আগের মতোই আছে। তফাতটা শুধু সময়ের।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.