প্রশান্ত কি প্রশান্তি আনিবে

Editorial
sampadakiya
অশান্ত বাংলায় প্রশান্তের আবির্ভাব ঘটিয়াছে জানিয়া জনমানসে অভূতপূর্ব এক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হইয়াছে। প্রশান্ত কিশোর ! এই মুহূর্তের সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত, সফলতম পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজিস্ট তথা রাজনৈতিক প্রকৌশলী যিনি ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করিয়াছিলেন। আপামর গেরুয়া শিবিরে যে বিজয়ের আস্বাদ ছড়াইয়া পড়িয়াছিল, তাহা অদ্যাপি অম্লান। প্রশান্তের সাফল্য ইহাতেই সীমাবদ্ধ থাকে নাই। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে বিহারের এসেম্বলি নির্বাচনে মাননীয় নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে যে মহাজোট হইয়াছিল তাহার কপালেও তিনি জয়ের টিকা পরাইয়া দিয়াছিলেন। গেরুয়া দলটির বিরুদ্ধেই সেই জোট গড়িয়া উঠিয়াছিল। যদিও তিনি পরবর্তীকালে লালুপ্রসাদের আর জে ডি-র সহিত সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া বিজেপির নিকট ফিরিয়া আসেন। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। প্রশান্তবাবুর প্রশান্তি প্রদান করিবার তালিকাটি কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়নাই। সাম্প্রতিককালে তাঁর আর একটি সাফল্য তাক লাগাইয়া দিয়াছে। অন্ধ্রপ্রদেশে জগমোহন রেড্ডির নেতৃত্বে ওয়াই এস আর কংগ্রেসের দুরন্ত জয়। ২৫টি লোক সভা আসনের ২২টি এবং ১৭৫ টি এসেম্বলি সিটের ১৫১টিতেই বিজয় প্রাপ্তি যে অত্যন্ত চমকপ্রদ সেবিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই।
“বাঙালি অন্ত প্রাণ” মাননীয়া ঠিক কি কারণে এবং কি উদ্দেশ্যে এই অবাঙালি পলিটিক্যাল স্ট্যাটেজিস্ট মহোদয়ের সহিত চুক্তিবদ্ধ হইয়াছেন তাহা এতক্ষনে এ পাড়ার ভুলো এবং ওপাড়ার হুলো সকলেই বুঝিয়া ফেলিয়াছেন। গেরুয়া আগ্রাসনে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়িয়া যাওয়া তৃণ শিবিরে যদি প্রশান্ত কিশোর কিঞ্চিৎ প্রশান্তি আনয়ন করিতে পারেন এই আশা লইয়াই ভাইপো সমভিব্যাহারে এই চুক্তি সম্পাদন। মধুই সার সত্য। সে মধু আহরণে বাঙালি অবাঙালি ভেদ করিলে চলেনা। ইহা পাগলেও বোঝে। বলাই বাহুল্য মাননীয়াও ইহার ব্যতিক্রম হইবেননা। বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশের স্বপ্ন দেখা মাননীয়া বাইশের বাম্পারে আটকাইয়া গিয়াছেন। গেরুয়া রঙের এই বাম্পারটিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাইয়া মাননীয়ার তৃণরথটি যাহাতে পুনরায় দিগ্বিজয়ে বাহির হইতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই চুক্তি।
প্রশান্ত কিশোর পেশাদার ব্যক্তি। তিনি ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো দল, সংগঠনের হইয়া কাজ করিতে পারেন। অর্থের বিনিময়েই তিনি মূল্যবান পরিষেবা প্রদান করিয়া থাকেন। মাননীয়াকেও এই ফেল কড়ি মাখো তেলের পন্থা অনুসরণ করিতে হইয়াছে সেবিষয়েও কোনো সন্দেহ নাই। ইহাতে হংস না অশ্ব কোন ডিম্বটি প্রসব হইবে সেই আলোচনা পরেই করিব। সর্বাগ্রে দেখা যাক অশান্ত বাংলায় প্রশান্তের আগমন কী বার্তা প্রদান করিতেছে। নির্বাচনে জয় পরাজয় অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এই মাহেন্দ্রক্ষণে মাননীয়ার এই সিদ্ধান্ত তাঁর অসহায়তাকেই চিহ্নিত করিতেছে। স্বমহিমা এবং ক্যারিশমার উপর নির্ভর করিয়া একের পর এক নির্বাচনে জয়লাভ করা নেত্রীর প্রশান্ত কিশোর জাতীয় প্রকৌশলীর দরকার পড়িল কেন? অশান্ত বঙ্গে প্রশান্তের নিয়োগ নিম্নলিখিত সংকেতগুলির প্রতিফলন – ১] মাননীয়া আত্মবিশ্বাস হারাইয়াছেন। হাড়ে হাড়ে বুঝিয়াছেন হাওয়াই চটির ক্যারিশ্মা অস্তগামী। অধুনা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের একমাত্র “Mass leader “এর আকর্ষণ তলানিতে ঠেকিয়াছে। ২] বাংলা তথা বাঙালির দরদের শ্লোগান, ঘটা করিয়া জয় হিন্দ বাহিনীর উদ্বোধন, জয় শ্রীরামের পাল্টা আর একটি শক্তিশালী উচ্চারণের জন্ম দেওয়া ইত্যাদি সকল পদক্ষেপেই ওঁর আস্থা এখন হরিবোল। ৩] চপ শিল্প, ল্যাংচা হাব, সাইকেল, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সবুজ সাথী ইত্যাদি ক্রমে ক্রমে অবুঝ হইয়া তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়াই ধাবিত হইতেছে। ৪] ভোট ক্রয় করিবার উদ্দেশ্যে ক্লাবে ক্লাবে অর্থ অনুদান শেষ রক্ষা করিতে পারে নাই। ভবিষ্যতেও পারিবেনা। ৫] অনিবার্য মেরুকরণের দিকে ছুটে চলা এই রাজ্যটিতে ২৭% সংখ্যালঘু ভোট [পড়ুন মুসলিম ভোট] তাঁহাকে আর বাঁচাইতে পারিবেনা। নিরন্তর মুসলমান তোষণের ফলশ্রুতি এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি ৭০% হিন্দুকে একত্র করিয়াই ছাড়িবে, যাহা তাঁহার দলটির শবযাত্রা প্রস্তুত করিবে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, অনুদান, সাইকেলের উর্ধ্বে ওঠা বাঙালি এখন আত্মমর্যাদার সন্ধানে বাহির হইয়াছে। অস্তিত্বই যখন সংকটে, বাংলাস্তানের শ্লোগান [বাংলাদেশের সহিত পশ্চিমবঙ্গকে সংযুক্ত করিবার জিহাদি ইচ্ছা এবং ষড়যন্ত্র] ক্রমশ জোরদার হইয়া উঠিতেছে ঘরপোড়া বাঙালি এন আর সি –র দাবিতে সোচ্চার !
কিন্তু বিগত বেশ কিছু নির্বাচনে “জয়ের স্থপতি” প্রশান্ত কিশোর কি মাননীয়াকেও প্রশান্তি প্রদান করিতে পারিবেন? গাধা পিটাইয়া ঘোড়া বানাইবার শিক্ষক আদ্যিকালে বিদ্যমান ছিল শোনা যায়। সাফল্যের ঔজ্জ্বল্য দেখিয়া অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির কোনো উপাচার্যকে যদি জয় মোল্লা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়, তাহার পরিণতি কি হইতে পারে সহজেই অনুমেয়। গোলাপ, রজনীগন্ধা বিক্রয়ে দুরন্ত সাফল্যের পর বিখ্যাত সেলসম্যানটিকে যদি ঘেঁটু বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়, তিনি কি অনুরূপ সাফল্যই অর্জন করিবেন? উত্তরটি জানা। প্রশান্ত কিশোরের সাফল্যের সম্ভাবনা কীরূপ? কেন শতকরা একশ ভাগ ! হ্যাঁ তিনি এই রাজ্যেও সাফল্যের নমুনা দেখাইতে পারেন। তবে কতিপয় শর্ত আছে। হাঁ, নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করিতে পারিলেই কেল্লা ফতেহ ! ১] ২০২১ এর পূর্বে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের জোয়ার। রাজ্য সরকারি, কর্পোরেট সেক্টর সর্ব ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে বেকার যুবক যুবতীর নিয়োগ। ধাপা চাপা দেওয়া স্কুল সার্ভিস কমিশন পুনরায় চাঙ্গা করিয়া তোলা। চপ, তেলেভাজা, সাইকেল, অনুদান ইত্যাদি দিয়ে অশিক্ষিত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন জয় করা গেলেও অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়া সম্ভব নয়। মুসলমান সম্প্রদায়ের একটি বৃহৎ অংশ দিনে পাঁচ বার নামাজ পড়িতে পারিলেই খুশি। কর্মব্যস্ত মানুষের পক্ষে [সরকারি অথবা কর্পোরেট যে বিভাগেই হোক] এটি অসম্ভব। শিল্প উদ্যোগ, কর্পোরেট সেক্টরে কর্মসংস্থান ইত্যাদিতে তাঁহাদের তেমন উৎসাহ নাই কারণ উপযুক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মানসিকতার অভাব। কেবল এ রাজ্য অথবা দেশ নহে, বিশ্বের সর্বত্রই ইহারা অনুদান তথা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অর্থে জীবন ধারণ করে থাকে। কোনোমতে প্রাণ ধারণ করিয়া ধর্ম পালন করিতে পারিলেই তাঁহারা সন্তুষ্টি লাভ করেন। কিন্তু সংখ্যাগুরু জনতার কথা ভাবিলে কর্মসংস্থান অত্যন্ত জরুরি।
২] রাজ্য সরকারি কর্মচারিদিগের প্রাপ্য ভাতা এবং বেতন প্রদান। পে কমিশনের মেয়াদ বাড়াইতে বাড়াইতে রাজ্য সরকারি কর্মচারির অসন্তোষের পারদ যে কোন উচ্চতায় পৌঁছাইয়াছে তাহার কূল কিনারা নাই।
৩] রাজ্য জুড়ে অরাজকতা, নির্লজ্জ স্বজনপোষণ, সারদা নারদার ভূত এবং স্মৃতি জন মানস থেকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা। অতি আত্মবিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রীর সদম্ভ “ছোট্ট ঘটনা” “বাচ্চা ছেলের ভুল” ইত্যাদি পর্যাক্রমিক ঘটনাবলীকে ছুমন্তর বলিয়া হাপিশ করিয়া দেওয়া।
কী কহিলেন? ইহা অসম্ভব? তাহা হইলে আর একটি উপায় আছে। যাহা সম্পন্ন করিলে উপরিউল্লিখিত শর্তগুলির একটিও না মানিলেও চলিবে। মাননীয় প্রশান্ত ভূষণ যদি অভূতপূর্ব কোনো যাদু প্রয়োগ করিয়া এই রাজ্যের মুসলমান সংখ্যালঘুর শতকরা ভাগ ২৭% হইতে কমাইয়া ২% এ পৌঁছাইয়া দেন, নিদেনপক্ষে ৯% হইলেও চলিবে ! কী ভাবিলেন? আমি উন্মাদ হইয়াছি কিনা? নহিলে এইরূপ অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা কেন বলিতেছি? ধীরে বন্ধু ধীরে। আপাত হাস্যকর এই প্রস্তাবনার পক্ষেও যুক্তি আছে। যে দুইটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই পলিটিকাল স্ট্র্যাটেজিস্ট মহাশয় তাঁহার ভেল্কি দেখাইয়াছেন সেই উড়িষ্যা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে মুসলমান জনসংখ্যা কত জানেন? উড়িষ্যায় ২.২%, অন্ধ্রপ্রদেশে ৯% ! আর এই রাজ্যে? সরকারি হিসাবে ২৭.০১% ! ছবিটি কি অদ্যাপি পরিষ্কার হইলনা? বেশ কিঞ্চিৎ বিস্তারেই নিবেদন করি। মাননীয় প্রশান্ত কুমারকে অবশ্যই বুঝিতে হইবে উড়িষ্যা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনীতি এবং নির্বাচনের প্রতিপাদ্য বিষয় পশ্চিমবঙ্গের অনুরূপ তো নহেই, বরং আকাশ পাতাল পার্থক্য বিরাজমান। অপেক্ষাকৃত কম/ নগন্য সংখ্যালঘুর উপস্থিতি ওই দুটি রাজ্যে হিন্দু মুসলমান ভোটের মেরুকরণ ঘটাতে পারে নাই, যাহা এই রাজ্যে ঘটিয়াছে। ক্রম বর্ধমান সংখ্যালঘু বৃদ্ধির হারে ঘর পোড়া হিন্দু বাঙালি যে অত্যন্ত আশঙ্কিত হইয়াছে বলাই বাহুল্য। এই রাজ্যের বেশ কিছু জেলা যেমন মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরু হইয়া উঠিয়াছে। বীরভূম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা ইত্যাদি জেলাতেও অচিরেই সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরু হইয়া উঠিবে। ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু বৃদ্ধির হার যে এই রাজ্যে একটি শক্তিশালী ভোট ব্যাঙ্ক হয়ে উঠিয়াছে তাহা আহাম্মকেও বুঝিয়া ফেলিয়াছে। পূর্ববর্তী শাসক দলটিও এই ভোট ব্যাঙ্কটির উপর নির্ভর করিত, বর্তমান শাসক দলটির ক্ষেত্রেও তাহার অন্যথা ঘটে নাই। বরং উহা শত গুণ বৃদ্ধি পাইয়াছে। ইমাম ভাতা হইতে শুরু করিয়া মাদ্রাসা খাতে বিপুল বরাদ্দ [যাহা উচ্চ শিক্ষাকে ছাপাইয়া গিয়াছে] মুসলমান তোষণের ক্ষুদ্র দুটি নমুনা মাত্র। বসিরহাট, দেগঙ্গা, নৈহাটি, ইত্যাদি ইত্যাদি অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি এবং প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ এই ক্ষোভকে সহস্র গুণ বাড়াইয়া দিয়াছে। সাম্প্রতিক কালে অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনে ডায়মণ্ডহারবার সহ বেশ কিছু এলাকায় হিন্দুদিগকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হইয়াছে। মেইন স্ট্রিম মিডিয়া প্রচার না করিলেও শারীরিক, মানসিক অত্যাচার, ভীতি প্রদর্শন কোনো কিছুই বাদ যায় নাই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই সকল ঘটনা আপামর হিন্দুর নিকট পৌঁছাইয়া গিয়াছে। কেবল এই রাজ্যই নহে সমগ্র বিশ্ব এমন সভ্য, আধুনিক মনা ইউরোপও এই মেরুকরণের শিকার হইয়া উঠিতেছে। ক্রমবর্ধমান মুসলমান বিদ্বেষ সেখানে ইসলামোফোবিয়া নামে পরিচিত। বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে যেখানেই ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়াছে সেই রাজ্য, দেশ, অঞ্চল অবধারিতভাবেই মেরুকরণের অভিমুখে গমন করিয়াছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের একটি বড় অংশ বিধর্মীদিগের সহিত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস রাখেনা। সংখ্যাধিক্য ঘটিলেই নিজদিগের ধর্ম, অনুশাসন, রীতিনীতি চাপাইয়া দেয়। বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা বন্ধ, পথ আটকাইয়া নামাজ ইত্যাদির মাধ্যমে ধর্মীয় আধিপত্য স্থাপনের প্রবণতা অন্য ধর্মের মানুষকেও প্রতিক্রিয়াশীল করিয়া তুলিবে, ইহা বলাই বাহুল্য। এই রাজ্যে তাহাই ঘটিয়াছে। তাই গেরুয়া দলটির উত্থান নিছক দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, কর্মহীনতা নয়, জিহাদি আধিপত্য তথা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিবাদ। আর এস এস, হিন্দু সংহতি ইত্যাদি সংগঠনের উল্লেখযোগ্য বিস্তার এবং জনপ্রিয়তা এই সত্যটিকেই প্রতিষ্ঠা করে। মাননীয় প্রশান্ত কিশোর কি এই জিহাদি আধিপত্য নির্মূল করিতে পারিবেন?
পেশাদারী কৌশল অপেক্ষা অনেক শক্তিশালী একটি বস্তু আছে। তাহা হইল জনগণের আবেগ। এই জলধিতরঙ্গ রুধিবার ক্ষমতা কোনো ভগবানেরও নাই, কিশোর তো মনুষ্যমাত্র। প্রশান্ত কিশোরও “গোহারা” [ অর্থাৎ গেরুয়া গোরুর দ্বারা পরাজিত ] হারিতে পারেন। তাহার নমুনা গুজরাট ! প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ অনুসরণ করিয়াও কংগ্রেস পরাজিত হইয়াছিল। অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টরও গেরুয়া দলটিকে পরাভূত করিতে পারে নাই। কারণ “হিন্দুত্বের ল্যাবরেটরি” গুজরাটে আইডেন্টিটির আবেগটিই বড় হইয়া দাঁড়াইয়াছিল ! এই রাজ্যের মেরুকরণটিও অস্তিত্বরক্ষা এবং আইডেন্টিটির আবেগকে কেন্দ্র করিয়াই ক্রমশ শক্তিশালী হইয়াছে। কোনো স্ট্র্যাটেজি বা প্রকৌশলী উহার অন্যথা ঘটাইতে পারিবেনা।
মাননীয়ার হস্ত যিনিই ধরিয়াছেন নিয়তি বিরূপ হইয়াছে। কেজরিলাল হইতে চন্দ্রবাবু নাইডু উদাহরণের সীমা নাই। নেপোলিয়নের ন্যায় “অপরাজেয়” হইয়া ওঠা পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের ওয়াটার্লু যে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন, সেবিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.