ভারতে কোভিড সংক্রমণ এত দ্রুত হারে কমলো কী করে, ধন্দে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা

National
how did the covid infection in india decrease at such a rapid rate experts say
ভারতে যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যথার্থ অর্থে শুরু হলো, মনে হয়েছিল মৃত্যুর নিরিখে আমেরিকাকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত। প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়ছিল মৃত্যুও।

এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা ও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, ভারতের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণ জনসংখ্যার মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হওয়া। হার্ড ইমিউনিটির অর্থ জনসংখ্যার একটা বড় অংশের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাওয়া। ভারতের ন্যাশন্যাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির বিজ্ঞানী বিনীতা বালের মতে, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাওয়াই এই সংক্রমণ কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান সম্ভাব্য কারণ।

আবার অনেকের মতে, ভারতীয়দের মধ্যে আগে থেকেই এই সার্স-কভ ভাইরাসকে রোধ করার মতো ক্ষমতা তৈরি হয়ে আছে। ভারতীয়রা এমনিতেই কলেরা, টাইফয়েড. যক্ষ্মা জাতীয় রোগের শিকার হন। ফলে তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেক উন্নত দেশের মানুষের চেয়ে বেশি বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ আবার অন্য একটা মত পোষণ করছেন। তাঁদের মতে, ভারতে আদতে হার্ড ইমিনিউনিটি তৈরি এখনও হয়নি। শহর বা শহরাঞ্চলে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাতে এক ধরনের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে সেটা ঠিক। তবে বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে হার্ড ইমিনিউনিটি তৈরি হয়নি। ভারতে যে হেতু জনসংখ্যার বড় একটা অংশ গ্রামে থাকে এবং তাদের সঙ্গে শহরের খুব একটা যোগাযোগ হয় না, তাই সংক্রমণ বা ইমিউনিটি কোনওটাই তাদের হয়নি।
এটা ঠিক যে অতিমারী তৈরি হওয়ার গোড়ার দিক থেকে লকডাউন কঠোর ভাবে শুরু হয়েছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিস্তর অসুবিধা ও বিরোধী দলগুলির তুমুল সমালোচনার মুখেও মোদী সরকার লকডাউনের সিদ্ধান্ত থেকে সরেনি। কিন্তু লকডাউন উঠতেই চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে সংক্রমণ ও মৃত্যু। মাস্ক-বিধি চালু থাকলেও সচেতনতা কম ছিল, তার সঙ্গে ছিল মানুষের গা-জোয়ারি মনোভাব। তা সত্ত্বেও একটা সময়ের পরে কী করে সংক্রমণ নাটকীয় ভাবে কমতে শুরু করলো, সেটাই ধন্দে ফেলেছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতের বিজ্ঞানীরাও সম্ভবত জানেন না, কী ভাবে সংক্রমণের হার এত কমে গেল। কারণটা জানা গেলে হয়তো আরও সফল ভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে। দিল্লির অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস-বিশেষজ্ঞ ডঃ শাহিদ জামিল বলেন, কী কারণে সংক্রমণ কমছে তা জানা গেলে সেইগুলো এড়ানো যেত, যার থেকে সংক্রমণ বাড়ে। এটা ঠিক যে অন্য অনেক দেশের মতোই ভারতও হয়তো কোভিড সংক্রমণ ও মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা রিপোর্ট করে না।

তবে ভারতের হাসপাতালগুলির উপর কোভিড-রোগীর চাপ ক্রমে কমছে। নভেম্বরে যখন রেকর্ডেড কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ৯০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যখন দিল্লির হাসপাতালগুলির ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেডের ৯০ শতাংশেই কোভিড রোগীরা ভর্তি ছিলেন। সেটা কমে এসেছে মাত্র ১৬ শতাংশে। এই সাফল্যের পেছনে ভ্যাকসিনের অবদান আছে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞেরা। কারণ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে অতি সম্প্রতি, জানুয়ারিতে। তবে যত বেশি সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন, সংক্রমণের হারও তত কমবে বলে আশা।
তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে এটাও বলছেন যে এক-একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় বড় জনসংখ্যার মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেলেও এখনই রাশ শিথিল করার সময় আসেনি। সেটা করা হলে সংক্রমণের নিরিখে কিন্তু বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে ফের পড়তে পারে ভারত। এই কথাটা প্রতিটি ভারতবাসীকে বুঝতে হবে। হার্ড ইমিউনিটি কোভিড ভাইরাসের একটি স্ট্রেনের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়ার অর্থ এই নয় যে তা ওই ভাইরাসের অন্য নতুন স্ট্রেনকেও রুখে দেবে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডঃ বলরাম ভার্গবের সতর্কবাণী হলো, ভারতের একটা বড় অংশের মানুষ এই সংক্রমণের আওতা থেকে বাইরে আছেন এখনও, তাঁদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। যেটা এর সঙ্গে ভাবাচ্ছে যেটা হলো, ভাইরাসের নতুন বেশ কয়েকটি স্ট্রেন বিশ্বের নানা দেশে হানা দিয়েছে, এবং ভারতেও সেগুলো এসে পৌঁছচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হবে বোঝা যাচ্ছে না।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে আসবে কি না, আর তা এলে ভারত তা প্রতিরোধ করতে পারবে কি না, তা বলার মতো উপযুক্ত পরিসংখ্যান এখনও কোনও স্তরেই হাতে আসেনি। ভারতে জনজীবন কার্যত স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাবধানতা থেকে সরে এলে ফের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং, মাস্ক-বিধি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সতর্কতাগুলি থেকে সরে আসার সময় এখনও আসেনি।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.