অপারেশন ট্রাইডেণ্ট: নৌ দিবসে নৌবাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য
৪ঠা ডিসেম্বর। ‘নেভি ডে’ বা নৌ দিবস। এই দিনেই ভারতীয় নৌবাহিনী ১৯৭১য়ের বাংলাদেশ যুদ্ধে করাচি বন্দরকে কার্যত ধোঁয়ায় মিশিয়ে দেয়। যুদ্ধের শুরুটা হয় পাকিস্তানের ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য। লক্ষ লক্ষ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের দেশছাড়া করে পাক সেনা এবং রাজাকাররা।
তা আটকাতেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যুদ্ধ ঘোষণা করেন ভারতের পয়লা নম্বর শত্রু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচি বন্দর উড়িয়ে দেয় ভারতীয় নৌবাহিনী। সেই অসামান্য বীরগাথা নিয়েই এই গল্প।
অক্টোবর, ১৯৭১
পুরোদমে যুদ্ধ তখন লেগে গেছে উপমহাদেশে। এমনই এক সময়ের কোনো এক দিনে তৎকালীন নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল এস. এম. নন্দা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যান দেখা করতে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল যদি নৌবাহিনীকে নিজেদের জলসীমা অতিক্রম করে শত্রুকে আক্রমণ করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক বাধার সম্মুখীন হবে কিনা তা জানা।
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘If there is a war, there is a war.’ উত্তর পেয়ে নন্দা তখনই ঠিক করে নেন হামলার পরিকল্পনা করার ব্যাপারে।
পূর্ব পরিকল্পনা মত ৪ঠা ডিসেম্বর হামলার দিনে করাচি থেকে ২৫০ কিমি দূরে পুরো ওয়েস্টার্ন কমাণ্ডের ডেস্ট্রয়ার, এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারসহ বৃত্তাকারে দাড়িয়ে পড়ে। সন্ধে হতেই তারা দ্রুত করাচি উপকূল থেকে ১৫০ কিমি দূরত্বে চলে আসে। তারপর শুরু হয় গভীর রাতে আক্রমণের জন্য প্রতিক্ষা।
ঠিক হয় মিসাইল দিয়ে হানা হবে আক্রমণ। আক্রমণের পরপরই তারা ফের ১৫০ কিমি দূরের জায়গায় চলে আসবে যাতে পাকিস্তানী বোমারু বিমানের নাগালের বাইরে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়। মিসাইলগুলি সরাসরি জাহাজ থেকে ছোঁড়া হয়নি সেদিন। সাবেক সোভিয়েত থেকে আনানো ‘ওসা’ শ্রেণির মিসাইল বোট ব্যাবহৃত হয়েছিল হামলার জন্য।
সেরকমই একটি মিসাইলের স্কোয়াড্রন সামলেছিলেন কমাণ্ডার ববরু যাদব। তিনি করাচি থেকে ৪০ কিমি দূরে তখন। সময় রাত ১০ টা বেজে ২০ মিনিট। এমন অবস্থায় রাডারে ধরা পড়ে একটি পাকিস্তানী যুদ্ধজাহাজ ‘পিএনএস খাইবারে’ র গতিপ্রকৃতি। তৎক্ষনাৎ যাদব নির্দেশ দেন করচির দিকে না এগিয়ে জাহাজের উপর হামলা করার।
সেইমত মিসাইল উৎক্ষেপণও হয় একটু সময় বাদে পরপর দুবার। নিমেষে ধ্বংস হয়ে যায় ‘খাইবার’। এরপর আবার আগের মতই এগোতে থাকে মিসাইল স্কোয়াড্রন। ফের যাদব মুখোমুখি হন দুটি পাকিস্তানী ডেস্ট্রয়ারে, ‘পিএনএস চ্যালেঞ্জার’ এবং পিএনএস শাহজাহানে’ র। তাদেরকেও সফলতার সঙ্গে ধ্বংস করে ফেলে ভারতীয় নৌবাহিনী।
পরের দিন পাক রেডিও সিগন্যাল ডিকোড করতে সমর্থ হয় মিলিটারি ইণ্টেলিজেন্স। তাতে জানা যায় একটি পাকিস্তানী যুদ্ধজাহাজকেই ভুল করে ধ্বংস করে ফেলে সেদিন রাতে অন্য একটি পাক যুদ্ধবিমান। পরেরদিন ফের দ্বিতীয় হামলার পরিকল্পনা নেয় নৌবাহিনা। যার পোষাকি নাম স্থির হয় ‘অপারেশন পাইথন’।
সেইমত ৮ই ডিসেম্বর নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার ‘আইএসএস বিনাশে’ ৩০ জন নৌসেনা সওয়ার হয়ে রওনা দেন করাচি উপকূলের দিকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনো কারণে জাহাজের বিদ্যুৎ চলে যায়। অনেক চেষ্টার পর রাত ১১টা নাগাদ জাহাজের কর্মীরা বিদ্যুৎ ফেরত আনতে সমর্থ হন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিদ্যুৎহীন অবস্থায় জাহাজ চলা এবং মিসাইল উৎক্ষেপণ সম্ভব হলেও রেডারে তার গতিপথ ধরা পড়েনা।
তাই নৌসেনারা কিছুক্ষণ অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। সবুরে মেওয়া ফলেও যায়। সেদিন বিদ্যুৎ ফেরত আনতে সমর্থ হওয়া মাত্রই দিক এবং গতিপথ স্থির করে পরপর মিসাইল ছোঁড়া হয়। প্রথম আঘাত লাগে করাচি নৌবন্দরের তেলের ট্যাঙ্কারগুলিতে। নিমেশে গ্যালন গ্যালন তেলের ট্যাঙ্কারগুলিতে আগুন লেগে যায়।
এরপর আঘাত হানা হয় বন্দরের নোঙর করে রাখা জাহাজগুলিতে। ব্রিটিশ জাহাজ হরমেটন এবং পানামার জাহাজ গল্ফস্টার ধ্বংস হয়ে যায় পুরোপুরি। তবে ধ্বংসের মাত্রা সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় তেলের ট্যাঙ্কারগুলিকে দেখে। সেখানে এতবড় অগ্নিকাণ্ড হয় যা নাকি ৬০ কিমি দূরে থেমে থাকা নৌবহর থেকেও দেখা গেছিল।
পরেরদিন যখন ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিগ বোমারু বিমানগুলি করাচিতে বোমা ফেলতে যায় কিছুই নাকি উপর থেকে দেখা না গিয়ে ফিরে আসে সেগুলি। নৌ সূত্রে শোনা যায় পরের সাত দিন এবং সাত রাত জুড়ে আগুন নেভেনি তেলের ট্যাঙ্কারগুলিতে। এভাবেই করাচি বন্দর এবং নৌঘাঁটিকে পুরোপুরি মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে অসামান্য বীরত্বের নিদর্শন রাখে ভারতীয় নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর ইতিহাসে যা চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
নৌবাহিনীর সেই বীরদের প্রতি নৌ-দিবসে রাইজিং বেঙ্গলের শ্রদ্ধার্ঘ।
ছবি সূত্র: ইন্ডিয়ান নেভির টুইটার
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.