শ্যামা বাবা কি আমার কালো রে

Known Unknown
shyama baba ki amar kalo re

দেবাশিস লাহা

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে কেন্দ্র করিয়া একটি অতীব সুস্বাদু পর্যবেক্ষণ এদেশীয় “বুদ্ধিজীবী” মহলে বিরাজ করিতেছে। “স্বাধীনতা” প্রাপ্তির কিঞ্চিৎ কাল পূর্ব হইতেই এই মুখরোচক “তথ্যটি” ঢাক ঢোল সহযোগে প্রচার করা হইতেছে এবং ফেসবুক নামক সামাজিক জনসংযোগ মাধ্যমটি অত্যধিক শক্তিশালী হইয়া ওঠায়, ইহা আরও বিপুল কলেবরে ছড়াইয়া পড়িতেছে ! কাহারা করিতেছেন? কেন আপনার আমার পরিচিত বিশ্বনিন্দিত থুড়ি বিশ্ববন্দিত বামাবতারকুল ! কী সেই পর্যবেক্ষণ? অদ্যাপি বুঝিতে পারেন নাই? আচ্ছা তবে নিবেদন করা যাক। মহান নেতাজী “কুচক্রী, সাম্প্রদায়িক হিন্দু” শ্যামাপ্রসাদকে “উদোম কেলান” কেলাইয়াছিলেন ! অশুদ্ধ বাঙ্গালায় যাহাকে “রাম প্যাঁদানি” বলা যাইতে পারে। যদিও শ্যামাপ্রসাদের সহিত আক্ষরিক অর্থে তাঁহার হাতাহাতি বা ঝাঁটা ঝাঁটি কোনোটিই ঘটেনি। শিক্ষিত মানুষ তাহা করিয়াও থাকেননা। তবে এব্যাপারে কোনোরূপ সন্দেহ নাই যে হিন্দু মহাসভার সহিত নেতাজীর আদৌ কোনো সুমধুর সম্পর্ক ছিলনা। প্রত্যক্ষ হাতাহাতি না ঘটিলেও নেতাজীর অনুগামীরা কয়েকটি ক্ষেত্রে হিন্দু মহাসভার মিটিং মিছিল ভণ্ডুল করিয়াছিল বা করবার প্রয়াস করিয়াছিল সে বিষয়েও অল্প স্বল্প হইলেও তথ্যের অভাব নাই। যদিও নেতাজী যে মুসলিম লিগের প্রতিও সমান বিরূপ ছিলেন সেই তথ্যটি সুকৌশলে ধামাচাপা দেওয়া হয়। কেবল তাহাই নহে মুসোলিনি এবং ফ্যাসিবাদের প্রতি আকর্ষিত এই “তোজোর কুকুরটি” [হ্যাঁ সমসাময়িক ভারতীয় মার্ক্সবাদীরা তাঁহাকে এই রূপেই চিত্রিত করিয়াছিলেন] যে মার্ক্সবাদী দর্শন হইতেও বহু দূরে গমন করিয়াছিলেন, ইহাও সযত্নে আড়াল করা হইয়া থাকে। কতিপয় বৃষ মস্তিষ্কের বামাবতার তো সোচ্চারে বলিয়া ফেলেন— নেতাজী মার্ক্সবাদী বামপন্থী ছিলেন ! হাসিলে কতটা হাসিব, কাঁদিলে কতটা কাঁদিব স্থির করিতে পারিনা। ইহাকেই তো রাজনীতি কহে ! নীতির রাজা হিসাবে যাহার জন্ম [মহান গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের “পলিটিক্স” গ্রন্থটি পাঠ করিলে তদ্রূপই প্রতীতি হয়। ] তাহা কীরূপে রাজার নীতি হইয়া উঠিল ভাবিলে বিস্ময়ের অবধি থাকেনা। অ্যারিস্টটল হইতে মেকিয়াভেলির দূরত্ব যে এইরূপে বর্ধিত হইবে সত্যিই কল্পনাতীত ছিল।
যাহাই হউক, মূল বিষয়ে আলোকপাত করি। শ্যামাপ্রসাদ তথা হিন্দু মহাসভার প্রতি নেতাজীর মনোভাবটি ঠিক কীরূপ ছিল? কী কারণে এবং কোন প্রেক্ষিতে তিনি এই অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন? হিন্দুত্বের প্রতি তাঁহার দৃষ্টিভঙ্গিটি কেমন ছিল? আসুন সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক। হিন্দু মহাসভায় যোগদানের অব্যবহিত পরেই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরিতে নেতাজীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করেন। নেতাজী তাঁকে জানান— হিন্দু মহাসভা যদি রাজনৈতিক দলের রূপ গ্রহণ করে এবং শ্যামাপ্রসাদ স্বয়ং এব্যাপারে উদ্যোগী হন, তিনি তা হতে দেবেন না। দরকার পড়লে বলপ্রয়োগ করবেন। জন্মানোর পূর্বেই এই জাতীয় উদ্যোগ বানচাল করে দেবেন। হাঁ, তিনি মুসলিম লিগ এবং হিন্দু মহাসভার প্রতি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিই পোষণ করিতেন। আর এস এস সম্পর্কে সরাসরি কোনো বক্তব্য না থাকিলেও হিন্দু মহাসভার প্রতি বিরূপতা একাধিক ক্ষেত্রেই প্রকাশ্যে আসিয়াছে। বিবিধ রচনা, বক্তব্য, বক্তৃতা ইত্যাদিতে তাহার উল্লেখও আছে। তাঁর গড়া দলটির মুখপত্র ফরওয়ার্ড ব্লক উইকলির সম্পাদকীয়তে [ ৪ই মে, ১৯৪০] তিনি লিখছেন—
‘That was a long time ago when prominent leaders of the congress could be members of the communal organisations like Hindu Mahasabha and Muslim League. But in recent times, the circumstances have changed. These communal organisations have become more communal than before. As a reaction to this, the Indian National Congress has put into its constitution a clause to the effect that no member of a communal organisation like Hindu Mahasabha and Muslim League can be a member of an elective committee of Congress.’
বাংলা তর্জমায়— দীর্ঘকাল পূর্বে কংগ্রেস দলটির উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দও বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন যেমন হিন্দু মহাসভা অথবা মুসলিম লিগের সদস্য হইতে পারিতেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে পরিস্থিতির বদল ঘটিয়াছে। এই সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলি বর্তমানে আরও অধিক পরিমাণে সাম্প্রদায়িক হইয়া উঠিয়াছে। ইহারই প্রতিক্রিয়া হিসাবে কংগ্রেস একটি নূতন বিধি প্রণয়ন করিয়াছে— হিন্দু মহাসভা অথবা মুসলিম লিগের কোনো সদস্যই কংগ্রেসের মনোনয়ন যোগ্য সমিতিতে স্থান পাইবেন না।”
কী বুঝিলেন? হাঁ, মুসলিম লিগ এবং হিন্দু মহাসভাকে তিনি একটি অভিন্ন বন্ধনীর অভ্যন্তরেই স্থাপন করিতেন। সাম্প্রদায়িক সংগঠনের প্রসঙ্গ উঠিলেই তিনি এই দুটি নাম সম গুরুত্বে উচ্চারণ করিতেন। সংক্ষেপে হইলেও আমরা অতি সহজেই এই সিদ্ধান্তে আসিতে পারি। কিন্তু এই পর্যবেক্ষণটির অন্তর্নহিত সত্য কি এইরূপ সংকীর্ণ? ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারতবর্ষে দণ্ডায়মান থাকিয়া যদি নেতাজীর এই পর্যবেক্ষণটিকে আমরা আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করি তাহা কি বিবেচকের কর্ম হইবে? প্রতিটি পর্যবেক্ষণই সমসাময়িক সামাজিক, অর্থনৈতিক তথা সাংস্কৃতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করিয়াই জন্মগ্রহন করে। তাহার সহিত যুক্ত হয় পর্যবেক্ষণকারী ব্যক্তিটির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি, কর্মকাণ্ডের রূপরেখা। সেই অভিমুখটি অজ্ঞাত থাকিলে নেতাজীর উপরিউক্ত পর্যবেক্ষণ সম্যক রূপে উপলব্ধি করা অসম্ভব। আসুন তাহার উপর কিঞ্চিৎ আলোকপাত করা যাক।
স্বাধীন ভারতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরোধী যদি একটিমাত্র মনুষ্যকে খুঁজিয়া পাওয়া যায়, তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করিয়াছিলেন সুদীর্ঘ দাসত্বের অধীনে থাকা ভারতবাসীকে গণতন্ত্রের উপযুক্ত করিয়া তুলিতে হইলে অন্তত কুড়ি বছর একটি টোটালাটেরিয়ান স্টেট অর্থাৎ কঠোর একনায়কত্বের অধীনে রাখিতে হইবে। স্বরচিত The Indian Struggle গ্রন্থটিতে তিনি ইহা বারংবার উল্লেখ করিয়াছেন। [সদ্য প্রকাশিত “অমৃতস্য পুত্রাঃ” শীর্ষক পুস্তকটিতে এবিষয়ে বিশদ আলোচনা রাখিয়াছি] তাঁর পরিকল্পিত ব্যবস্থায় হিন্দু মহাসভা, মুসলিম লিগ তো দূরের কথা, কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বই থাকিত না। ডিক্টেটরশিপ চলিলে নির্বাচন ব্যবস্থাটিই হরিবোল হইয়া যায়। রাজনৈতিক দল কি ভ্যারেণ্ডা ভাজিবে? না গাবে জ্বাল প্রদান করিবে? আধুনিক ভারতের স্বপ্ন রচনাকারী এই নেতাটি যে কোনরূপ ধর্মীয় বাতাবরণের ধুম্রজালে আগ্রহী হইবেননা তাহা বলাই বাহুল্য। স্বাধীন ভারতের কাণ্ডারী রূপে অবতীর্ণ হইলে নেতাজীর এই পর্যবেক্ষণটিই পরিপূর্ণিভাবে প্রতিষ্ঠিত হইত এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই।
কিন্তু তাহা কি ঘটিয়াছে? নেতাজী কি ভাবিয়াছিলেন কংগ্রেস দলটিই তাঁহার সহিত এরূপ বিশ্বাসঘাতকতা করিবে? আজাদ হিন্দ বাহিনী লইয়া তিনি যখন ভারত অভিমুখে অগ্রসর হইয়াছিলেন, দৃঢ় বিশ্বাস ছিল গান্ধী তথা কংগ্রেসের আহ্বানে দেশে একটি গণ অভ্যুত্থান ঘটিবে এবং দলে দলে ভারতবাসী তাঁহার পাশে দাঁড়াইয়া ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবে। বাস্তবে কি ঘটিল? ব্রিটিশ শক্তির ধামাধরা জহরলাল তাঁহাকে War criminal অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধী বলিয়া ঘোষণা করিল। নেতাজী দেশে ফিরিলে তাঁহাকে ব্রিটিশের হাতে সমর্পণ করা হইবে এই মর্মে একাধিক ঘোষণাপত্রও তাঁহার স্বাক্ষরে উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। এইরূপ বহুবিধ কারণেই নেতাজী সম্পর্কীত classified file গুলিকে জন সমক্ষে আনয়ন করা হইতেছেনা। এব্যাপারে কোন সন্দেহই নাই নেতাজী এদেশের কর্ণধার হইলে কংগ্রস সহ সবকটি রাজনৈতিক দলই বিপন্ন হইয়া পড়িত। কামাল পাশা তুর্কিতে যে অসাধ্য সাধন করিয়াছিলেন, নেতাজীও তাহা করিয়া দেখাইতেন— সমগ্র দেশবাসীকে প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ করিয়া গড়িয়া তোলা। ইহা কি বাস্তবায়িত হইয়াছে? পাগলেও জানে। আসুন এই বার দেখিয়া লই আমরা যাহা যাহা দেখিয়াছি বা দেখিবার “সৌভাগ্য” অর্জন করিয়াছি, সেই মধুর দৃশ্যপটের কোন কোন অংশ নেতাজী দেখিয়া যাইতে পারেন নাই।
১] রক্তক্ষয়ী দেশভাগ। ধর্মের ভিত্তিতে এই দেশভাগে কত জন মনুষ্য প্রাণ হারাইয়াছিল তাহার সঠিক পরিসংখ্যান অদ্যাবধি নাই। তবে বিবিধ ঐতিহাসিক তথা সমসাময়িক পর্যবেক্ষকদিগের মতে প্রায় দশ লক্ষ। কত নারী যে ধর্ষিতা হইয়াছিল তাহারও কোনো হিসাব নাই। হিন্দু মুসলমান উভয়েই ইহার বলি হইলেও হিন্দু হত্যার সংখ্যাটিই যে বেশি তাহা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ডেমোগ্রাফি দেখিলেই বুঝিয়া লইয়া যায়। তথ্যও তাহাই বলে। কাহাদের ইচ্ছায় এই দেশভাগ? উত্তর অজানা নয়। মুসলিম লিগ এবং এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। হাঁ, তাঁহারা এই দেশটিকে নিরাপদ মনে করেন নাই। নিরাপত্তার কারণেই ভিন্ন ভূখণ্ডের দাবি তুলিয়াছিল। না, ইসলাম ধর্মের এই রূপটি নেতাজী দেখিয়া যাইতে পারেন নাই।
২] ইউরোপে মুসলিম শরণার্থীর প্রবেশ এবং সেই সকল দেশেও শরিয়া শাসনের দাবি। না, মহান নেতাজী এই দৃশ্যপটও দেখিয়া যাইতে পারেন নাই।
২] স্বাধীনতার অব্যবহিত পূর্বে এদেশে মাদ্রাসার সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৮ টি। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষায় উহা আট লক্ষ অতিক্রম করিয়াছে। না, ইহাও নেতাজী দেখিয়া যাইতে পারেন নাই।
৩] স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে ধার্মিক যাত্রার নিমিত্ত লক্ষ কোটির হজ সাবসিডি। না, নেতাজীও ইহাও দেখিয়া যাইতে পারেননাই।
৪] পেট্রো ডলার পিপাসু মিডিয়া তথা “বুদ্ধিজীবীর” পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ। হিন্দু নিপীড়নে নীরবতা, মুসলমান নিপীড়নে উচ্চ নিনাদ। ধর্ষিতার নিমিত্ত মোমবাতি প্রজ্বলনেও যাহা প্রতিভাত। না, এই বিমল, নান্দনিক দৃশ্যপটও তিনি দেখিয়া যাইতে পারেন নাই।
৫] দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, নিরীহ মানুষের হত্যাকারী সন্ত্রাসবাদীকে বাঁচাইবার নিমিত্ত “বুদ্ধিজীবীদিগের” স্বাক্ষর সংগ্রহ। না, এই অপরূপ দৃশ্যটিও নেতাজী দেখিয়া যাইতে পারেন নাই।
৬] ভোট সর্বস্ব রাজনীতির সংখ্যালঘু তোষণ, উগ্র ইসলামে মার্ক্সবাদী বামপন্থীকুলের নির্লজ্জ মদত— না, ইহাও তিনি দেখিয়া যাইতে পারেন নাই।
বলাই বাহুল্য তালিকাটি বড়ই দীর্ঘ। স্বাধীন ভারতের এই মহান ধর্মনিরপেক্ষতা যে কীরূপ ভয়ংকর হইয়া উঠিয়াছে তাহা আমাদিগের অবিদিত নহে। কুড়িটির বেশি ইসলামিক রাষ্ট্র তিন তালাক বিধি নিষিদ্ধ ঘোষণা করিলেও এদেশে তাহার রূপায়ণ অদ্যাপি অধরা। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অর্থাৎ সকল নাগরিকের নিমিত্ত সম আইন যাহা প্রতিটি সভ্য দেশে অনুসৃত হয়, এদেশে স্বপ্ন মাত্র।
এই সকল দৃশ্যপট যদি তাঁহার সম্মুখে ফুটিয়া উঠিত, এই একুশ শতকের ভারতে দাঁড়াইয়া নেতাজী কি উপরিউক্ত পর্যবেক্ষণটিতে অনড় থাকিতেন? প্রশ্ন জাগিবেনা? প্রতিটি পর্যবেক্ষণই পরিস্থিতির গর্ভজাত। নেতাজীর ক্ষেত্রেও ইহা প্রযোজ্য। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের পটভূমিকায় নেতাজী যাহা বলিয়া গিয়েছেন, তাহা কেবল সেই সময়েই প্রযোজ্য। উহাকে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত ভূমিতে তোতা পক্ষীর ন্যায় আওড়াইলেই ধ্রুব সত্যে পরিণত করা যাইবেনা। পৃথিবীর তাবড় তাবড় জননেতা তিনি লেনিনই হোন আর মুসোলিনি, পরিস্থিতি অনুযায়ী পূর্ব সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত এবং সংশোধিত করিয়াছেন।
হে সুপ্রিয় পাঠক ! এই অধমের বক্তব্যটি নিশ্চয় অনুধাবন করিয়াছেন। পরিশেষে একটি গল্প বলিয়া ইতি টানিব। আপনার পাড়ায় যদু মস্তানের বড় দাপাদাপি। উহার উগ্রতায় মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। একদিন দেখিলেন পাড়ায় আর এক মস্তানের আবির্ভাব ঘটিয়াছে। মধু মস্তান। যদু মস্তানের দাপাদাপি বন্ধ করিবার উদ্দেশ্যেই মধু মস্তানের জন্ম। কিন্তু আপনি নিপাট ভদ্রলোক। মস্তান দ্বারা মস্তানির শায়েস্তাকে বর্বরতা মনে করেন। সভ্য দেশে রাষ্ট্র তথা আইন ব্যবস্থাই এই দায়িত্ব পালন করিয়া থাকে। অতেব যদু এবং মধু উভয়কেই আপনি গুণ্ডা জ্ঞান করেন এবং উভয়ের সহিতই সমান দূরত্ব রাখেন। স্বপ্ন দেখেন একদিন আপনি স্বয়ং এলাকার কাণ্ডারী হইয়া উঠিবেন এবং এই দুই মস্তানকেই উপযুক্ত শিক্ষা দান করিবেন। আপনার পাড়ায় মস্তানি চলিবেনা। আইনের মাধ্যমেই তাহার সমাধান করিবেন। কিন্তু একদিন দেখিলেন যদু গুণ্ডা তাহার সাঙ্গ পাঙ্গ লইয়া আপনার ভিটে মাটিও দখল করিয়া লহিতেছে, প্রিয় জনের জীবনও বিপন্ন। আপনি পুলিশের শরণাপন্ন হইলেন। বাঁচিবার সর্বশেষ রাস্তা। হা হতোস্মি! থানায় ঢুকিয়া দেখিলেন সেই ভয়ংকর যদু মস্তান ওসির সহিত সেল্ফি তুলিতেছে। অগত্যা ঘটি বাটি লইয়া কোন মতে পলায়ণ করিতেছেন। এমন সময়ে মধু গুণ্ডার সহিত সাক্ষাৎ। এমতাবস্থায় আপনি কি পূর্বের সিদ্ধান্তটিই বহাল রাখিবেন? অর্থাৎ উভয়ের সহিত সম দূরত্ব রাখিবার আদর্শ পন্থা ! নাকি মধুকে আপনার যন্ত্রণার ইতিবৃত্ত শোনাইয়া প্রাণ রক্ষার প্রয়াস করিবেন? ভাবুন, ভাবা প্র্যাকটিস করুন !
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.