নতুন বৌ ও ঠাকুর ডাকাত
বর্তমান বাংলাদেশের খুলনা জেলার ঘটনা। ঘটনার শুরু আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে।
এলাকার আতঙ্ক এক আলখাল্লা পরা ডাকাত। ডাকাতি করে ডাকাতের দল যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। দারোগার সব চেষ্টা ইতিমধ্যেই ব্যর্থ। এলাকায় ঘটে যাওয়া দু: সাহসিক ডাকাতির একটাও কিনারা হয়নি।
এই যখন এলাকার অবস্থা, তখন ফের আরেকবার ডাকাত পড়লো পলাশডাঙার তালুকদার মহাদেব সমাদ্দারের ঘরে।
মাত্র দিন দশেক আগে ছেলে সুবিমলের বিয়ে দিয়ে পাশের গ্রামের জমিদার কন্যা গৌরীকে বৌমা করে ঘরে এনেছেন সমাদ্দার মশাই।
তারপরেই এক রাতে এই ডাকাত পড়লো।
ডাকাতরা ধরে রেখেছে সুবিমলকে। সিন্দুকের চাবি চাইছে। না দিলে অনর্থ হয়ে যেতে পারে।
ডাকাতের পা দুটো জড়িয়ে ধরলো নতুন বৌ গৌরী। চাবির বিনিময়ে স্বামীর প্রাণভিক্ষা চাইলো।
এদিকে সহজেই চাবি পেয়ে ডাকাতরা সুবিমলকে ছেড়ে দিয়ে সিন্দুক খুলে সর্বস্ব নিয়ে দুখানি ছিপ নৌকো নিয়ে বলেশ্বরী নদী বেয়ে চলে গেল।
পরের দিন থেকেই একদম চুপচাপ হয়ে গেল নতুন বৌ। সবাই ভাবে, গয়নার জন্যই বুঝি তার ভীষণ দু: খ হয়েছে। সেজন্য সেকরাকে নতুন গয়নার অর্ডার দেওয়া হলো। শেষে নতুন বৌ জানিয়ে দিলো, না, গয়নার জন্য তার মনে কোনো দু: খ হয়নি। এরপর নতুন বৌ বায়না ধরলো, গুরুদেবের শ্রীচরণ দর্শন করতে চাই।
পরের দিন সাত বেহারার পালকি চেপে নতুন বৌ গেল গুরুদেবের আশ্রমে।
কচুয়া থানার মোহনপুর গ্রামে গুরুদেব অভয়ানন্দ স্বামীর আশ্রম। গুরুদেবের নাম— স্বামী অভয়ানন্দ এবং তাঁর নামেই আশ্রম।
মোহনপুরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী বিষখালী। এলাকার মাটি খুবই ঊর্বর। ধান, মসুর, কচু প্রভৃতি কৃষি ফসলে কৃষকের খামার ভরে থাকে সব সময়। কচুর অতিরিক্ত ফলনের জন্যই তো থানার নাম “কচুয়া।” এর আশেপাশের গ্রামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রামচন্দ্রপুর, ময়ালপুর ও দৈবজ্ঞহাটি।
এছাড়া কাছেই কাঠ ও মধুর এক সমৃদ্ধ ভাণ্ডার— সুন্দরবন। মহাজনী নৌকো ভিড়ে বিষখালীর ঘাটে। আবার বালাম চাল, সীতাশাল চাল, সুন্দরবনের কাঠ ও মধু বোঝাই করে চলে যায় কলকাতায়।
এই মোহনপুরেই অভয়ানন্দ স্বামীর আশ্রম। তাঁর আসল নাম জানে না কেউ। ব্রাহ্মণ পুত্র, অকৃতদার, গরীবের মা বাপ তিনি। বিপদে আপদে সবাইকে অভয় দেন বলে মানুষজন তাঁর নাম দিয়েছে “অভয়ানন্দ স্বামী।”
এলাকার কোনো মেয়ের বিয়ে না হলে টাকা দিয়ে সাহায্য করেন, কলেরা ওলাওঠা হলে রোগিদের নিজের হাতে সেবা করেন, হোমিওপ্যাথি ওষুধ দেন।
আশ্রমের সামনে ফুলের বাগান। মাঝে পায়ে চলা রাস্তা। সামনে একটি বড়ো মাপের আটচালা। পিছনে চালাঘরে ঠাকুর ঘর, সেখানে মা কালীর নিত্য পূজো হয়। আর দু’ ধারে দুটো চালাঘর। একটিতে স্বামী অভয়ানন্দ থাকেন, অন্যটিতে শিষ্য-ভক্ত-অতিথিরা থাকে।
পলাশডাঙার সমাদ্দার বাড়ির নতুন বৌয়ের পালকি এসে থামে আশ্রমের দরজায়।
বিয়ের পর প্রণাম করে গুরুদেবের আশীর্বাদ নিয়ে গেছে গৌরী। সুতরাং, আশ্রমটা তার জানা।
শিষ্যর বৌমাকে সাদরে আহ্বান জানান গুরুদেব। গৌরী কোনো কথা না বলে গুরুদেবের পা জড়িয়ে কাঁদতে থাকে। সে নাকি অলুক্ষণে ! তা না হলে বিয়ের দশ দিনের মাথায় সংসারের এমন সর্বনাশ হয়?
সেদিন ছিল সোমবার। এরপর গৌরী গুরুদেবকে তাদের বাড়িতে বুধবার দিন আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে আসে। এতবড় বিপদের পর বাড়িতে গুরুদেবের প্রসাদ পাবার খুব সাধ !
গুরুদেব জানান, ময়ালপুরে যে কলেরা চলছে ! রোগিদের ফেলে কি যাওয়া যায়?
কিন্তু নতুন বৌয়ের নাছোড়বান্দা জেদের কাছে অবশেষে গুরুদেব রাজি হলেন আসতে।
বুধবার সকালেই সমাদ্দার বাড়ি থেকে পালকি গেল আশ্রমে।
যথারীতি গুরুদেব এলেন শিষ্য মহাদেব সমাদ্দারের বাড়ি।
তারপর খাওয়া-দাওয়ার পর একান্ত নিরিবিলিতে মহাদেব জানালেন, আমার সব তালুক আপনার ! এবার আপনি ডাকাতি ছেড়ে দিন বাবা !
ঘরের ভেতরে যেন বাজ পড়লো।
চিৎকার করে উঠলেন গুরুদেব, কী করে জানলে আমি ডাকাত?
এবার সামনে এলো নতুন বৌ। সে তার সন্দেহের কারণটা জানিয়ে দিল।
ঘরে ডাকাত পড়ার সময় আলখাল্লা পরা ডাকাত সর্দারের পা জড়িয়ে ধরে স্বামীর প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল গৌরী। তখন সে দেখেছিল, ডাকাত সর্দারের বাঁ পায়ে একটা লম্বা কাটা দাগ।
পরে মনে হলো, এরকম দাগ যেন সে কোথায় দেখেছে ! কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছে না কোথায় দেখেছে। তারপর থেকেই সে চুপচাপ হয়ে যায়, ভাবতে থাকে।
অবশেষে একদিন মনে পড়ে যায়, বিয়ের পর আশ্রমে গুরুদেবকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার সময় সে ওইরকম কাটা দাগ দেখেছে।
পুরো বিষয়টা জলের মতো পরিস্কার হয়ে যায় গৌরীর কাছে।
নতুন বৌ গৌরীর মুখে সবটা শুনে শেষে স্বীকার করলেন গুরুদেব, তিনিই সেই আলখাল্লাধারী ডাকাত!
তবে সেই সঙ্গে জানালেন, কচুয়ার লোকেদের দু: খ-দুর্দশা ঘোচাতেই বাগ্দীদের নিয়ে একটি ডাকাত দল করেছিলেন তিনি। বিঘে চল্লিশেক জোত জমি ও আশ্রমের প্রণামীর টাকাতেও সবটা কুলোয় না। তাই এই ডাকাতির পথ তাঁকে বেছে নিতে হয়েছে। তবে ডাকাতির একটা পয়সাও নিজে কোনোদিন ছোঁন নি, সবটাই লেগেছে মানুষের সেবায়।
এবার সমাদ্দার মশাই গুরুদেবের জনসেবার কাজে নিজের তালুক দিয়ে দিতে চাইলেন।
কিন্তু রাজি হলেন না তিনি। জানিয়ে দিলেন, না, তার দরকার নেই। কারণ, এবার থেকে জনসেবার ভার শিষ্যদের হাতে ছেড়ে দিয়ে কালী নাম জপে নিজের পাপ ক্ষয় করবেন।
বিকেলের দিকে ফের পাল্কি চেপে আশ্রমে ফিরলেন স্বামী অভয়ানন্দ।
কিন্তু এরপরই সমাদ্দার বাড়ির গোপন কথাটা কি করে যেন বাইরে বেরিয়ে এলো। সবাই জেনে গেল, অভয়ানন্দ স্বামীই হচ্ছেন আলখাল্লাধারী ডাকাত।
তারপর থেকে তাঁর নাম হয়ে গেল “ঠাকুর ডাকাত।”
না, এরপরের কথা আর জানা যায় না।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3
wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum
eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla
assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred
nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer
farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus
labore sustainable VHS.