পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, এন আর সি প্রয়োজন দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহারেও

National
pashimbanger moto nrc protojon bihar delhi teo
সুদীপ ভট্টাচার্য্য
এন আর সি র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে শনিবার। মোটামুটি হিন্দু থেকে মুসলমান, কংগ্রেস থেকে বিজেপি, সবাই অখুশি। প্রায় ১৯ লক্ষ লোকের নাম বাদ গেছে। লোকে বলছে এর মধ্যে বেশি নাকি হিন্দু। তবে সে সব সংখ্যাতত্ব সরকার বলে নি। এবং তাই এই নিয়ে মন্তব্য করব না।
আসামে বহিরাগতের সমস্যা আজ থেকে না। উনিশ শতক থেকেই তৎকালীন পূর্ব বঙ্গ থেকে লোক ঢুকেছে। খালি মাঠ পেয়ে চাষ বাস করতে বসেছে। এটাই বসত স্থাপনের প্রাচীন নিয়ম। তখন দেশ ভাগ হয়নি। কিন্তু বহিরাগতরা বিরক্তির কারণ হয়েছিল। এবং কত লোক এভাবে এসেছে, তাও একটা আন্দাজ করা হয়েছিল। ১৯৩১ সালে এই সংখ্যা প্রায় ১.৫ থেকে ২ লাখ বলে আন্দাজ করা হয়।
১৯৩১ সালে, তৎকালীন সেনসাস সুপারভাইজার মন্তব্য করেন” Probably the most important event in the province during the last 25 years- an event, moreover, which seems likely to alter permanently the whole feature of Assam and to destroy the whole structure of Assamese culture and civilization has been the invasion of a vast horde of land-hungry immigrant”
স্বাধীনতার পরেও এই নিয়ে আলোচনা হতে থাকে। ন্যাশলান রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেনস এর প্রয়োজন অনুভব করা হয়। ষাটের দশকে চেষ্টা করে মনে করা হয় ব্যাপারটা অসম্ভব। বলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর ওপরে আরো সমস্যা হল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৫২ সালে, আর পাকিস্তানিরা বিদেশি, এটি ফরেনার্স এ্যাক্টে ঢোকে ১৯৫৬ সালে। সদ্য স্বাধীন নতুন দেশে, দেশ ভাগ হজম করা সোজা নয়।
কিন্তু অনুপ্রবেশ সমস্যা চলে যায় নি। স্বাধীনতার পর সমানেই লোক ঢুকতে থাকে। বিভিন্ন কারণে। তবে এন আর সি করা হবে, সেই নিয়ে ভারত সরকার কথা দেয়, ১৯৮৫ সালের ১৫ অগাস্ট এ আসাম চুক্তিতে। যা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সই করেন। তার আগে এই চুক্তি নিয়ে, অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন প্রায় ছয় বছর আন্দোলন করে। যার ফল এই চুক্তি।
এ সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার, এই কাজ থেকে বারবার পিছিয়ে আসে। এই নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট ২০১৩ সালে অবিলম্বে কাজ শুরু করতে বলেন। এবং বর্তমান এন আর সির কাজ শুরু হয়। তাই বলে এটি প্রথম কাজ নয়। ১৯৫১ সালের ভোটার লিস্টকে প্রথমে নাগরিক পঞ্জি ধরা হত। এবং পরে ১৯৭২ এর ভোটার লিস্ট।
এন আর সি আসামে একটি অতি জরুরী ব্যবস্থা। যে কেউ এসে এ দেশে বসে যেতে পারে না। এ দেশের জমি দখল, চাকরি দখল, ব্যবসা দখল করতে পারে না।
ইন্দিরা মুজিব চুক্তি অনুযায়ী, ২৪ মার্চ ১৯৭১ পর যারা ভার‍তে বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক। তাই বর্তমান এন আর সি তে এটিই হল সেই দিন। মানুষকে প্রমাণ করতে হবে ওই তারিখের আগে তারা এদেশে এসেছে, থেকেছে।
সুতরাং আমাদের প্রথম যেটি বুঝতে হবে, তা হল, এন আর সি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে হচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন সময়ের সরকার গড়িমসি করেই দিন কাটিয়েছে। যেমন ছাত্ররা কঠিন বিষয় পড়াটা পিছিয়ে রেখে, পরীক্ষার আগে নাস্তানবুদ হয়। এতেও তাই হয়েছে। কিছু ভুল থাকবে।
সরকার পরিস্কার বলেছে যে যাদের নাম বাদ গেছে, তারা আবার ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবে। সুতরাং বিষয়টি আগামী এক দশক ধরে গড়ালেও অবাক হব না।
অনেকেই বলছে ক বাবু ভারতীয় সেনায় কাজ করেছেন। খ বাবু এম এল এ। তাঁদের নাম বাদ। এতে অবাক হবার কিছু নেই। এদেশে ঢুকে তিনি কাগজ বানিয়ে চাকরি করলে ভারতীয় হয়ে যান না। যদি উনি ভারতীয় না হন তাহলে নন।
বাপি মন্ডল বেড়া টপকে ঢুকে এদিকে চাকরি করছে। সে কোন ধর্মের কেউ জানে না। নাম তার ধর্ম বুঝতে দেয় না। এরকম বাপি মন্ডল সারা দেশ জুড়ে রয়েছে। মুম্বাই, ব্যাঙ্গালোর, পুনে জুড়ে। তারা এ দেশের নাগরিক না হলে, তারা বিদেশি।
হিন্দু হোক বা মুসলমান, কেউই, বিদেশ থেকে বিনা কাগজে এসে, এদেশের নাগরিক রাতারাতি বনে যেতে পারেন না।
এন আর সি, পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে করা দরকার। অতি আবশ্যক। বেয়াইনি বিদেশিরা এদেশে কেন থাকবে? তবে তার সঙ্গে সিটিজেনশিপ এমেন্ডমেন্ট বিল ও আসুক। নইলে ধর্মীয় উৎপীড়নে বাধ্য হয়ে চলে আসা হিন্দু, শিখ, খৃষ্টান, বৌদ্ধরা যাবে কই?
এন আর সি আজ নয় কাল পশ্চিমবঙ্গেও হবে। নিজেদের কাগজপত্র তৈরি রাখুন সবাই।
এবার যারা লিস্ট থেকে বাদ গেলেন কি হবে? আমার মতে প্রথমে ভোটার লিস্ট থেকে বাদ যাবে। তারপর তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবে বা ট্রাইবুনালে যাবে। ট্রাইবুনালে যেতে খরচা আছে। সে খরচা কম করা হলে ভাল। রাতারাতি তারা ভারতীয় নন, এরকম বলা যাবে না, তা সরকার বলেছে। আর দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ভারত সরকার নিঃসন্দেহে, আইনের পথেই চলবে।
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.
Anim pariatur cliche reprehenderit, enim eiusmod high life accusamus terry richardson ad squid. 3 wolf moon officia aute, non cupidatat skateboard dolor brunch. Food truck quinoa nesciunt laborum eiusmod. Brunch 3 wolf moon tempor, sunt aliqua put a bird on it squid single-origin coffee nulla assumenda shoreditch et. Nihil anim keffiyeh helvetica, craft beer labore wes anderson cred nesciunt sapiente ea proident. Ad vegan excepteur butcher vice lomo. Leggings occaecat craft beer farm-to-table, raw denim aesthetic synth nesciunt you probably haven't heard of them accusamus labore sustainable VHS.